সম্প্রতি শহরের এক প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হল ‘ও অভাগী’ ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিং। উপস্থিত ছিলেন টলিউড ফিল্ম জগতের নামি-দামি ব্যক্তিত্বরা। স্পেশ্যাল স্ক্রিনিংয়ে যোগ দিয়েছিলেন টলিউড সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। সকলেই এই ছবিটির প্রশংসা করেছেন।

O Abhagi: প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চির চেনা সংগ্রামের আধুনিক বিবরণ; সমাজের কঠোর বাস্তবটাকেই তুলে ধরেছে মিথিলার ‘ও অভাগী’

সম্প্রতি শহরের এক প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হল ‘ও অভাগী’ ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিং। উপস্থিত ছিলেন টলিউড ফিল্ম জগতের নামি-দামি ব্যক্তিত্বরা। স্পেশ্যাল স্ক্রিনিংয়ে যোগ দিয়েছিলেন টলিউড সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। সকলেই এই ছবিটির প্রশংসা করেছেন।
সম্প্রতি শহরের এক প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হল ‘ও অভাগী’ ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিং। উপস্থিত ছিলেন টলিউড ফিল্ম জগতের নামি-দামি ব্যক্তিত্বরা। স্পেশ্যাল স্ক্রিনিংয়ে যোগ দিয়েছিলেন টলিউড সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। সকলেই এই ছবিটির প্রশংসা করেছেন।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘অভাগীর স্বর্গ’ অবলম্বনেই তৈরি হয়েছে ছবিটি। অনির্বাণ চক্রবর্তী পরিচালিত এই ছবিটিতে অভাগী-র চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। এর পাশাপাশি রসিক চরিত্রে দেখা গিয়েছে আরজে সায়নকে এবং জমিদার চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুব্রত দত্ত। আর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, আরজে জিনিয়া, কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌরভ হালদার প্রমুখ।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘অভাগীর স্বর্গ’ অবলম্বনেই তৈরি হয়েছে ছবিটি। অনির্বাণ চক্রবর্তী পরিচালিত এই ছবিটিতে অভাগী-র চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। এর পাশাপাশি রসিক চরিত্রে দেখা গিয়েছে আরজে সায়নকে এবং জমিদার চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুব্রত দত্ত। আর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, আরজে জিনিয়া, কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌরভ হালদার প্রমুখ।
জাতপাত আজকের দিনেও প্রচলিত। এটাই ফুটে উঠেছে ছবির কাহিনিতে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিষেবার অভাব ও মৃত্যুর যে নিষ্ঠুর বাস্তব - সেটাও ছবির ছত্রে ছত্রে প্রতিফলিত হয়েছে। আসলে রোগের কারণে মৃত্যু আধুনিক সময়ে প্রান্তিক অংশগুলির ক্ষেত্রেও কিন্তু কঠোর বাস্তব। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাহিনির ১০০ বছর পরেও স্পষ্ট ভাবে দেখা যাবে যে, একটি ক্ষয়িষ্ণু জাতপাতের দিকে ঝুঁকে রয়েছে এই সমাজ। যেখানে আজকের দিনেও দলিত, তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর মানুষদের লাঞ্ছনা এবং হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয়।
জাতপাত আজকের দিনেও প্রচলিত। এটাই ফুটে উঠেছে ছবির কাহিনিতে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিষেবার অভাব ও মৃত্যুর যে নিষ্ঠুর বাস্তব – সেটাও ছবির ছত্রে ছত্রে প্রতিফলিত হয়েছে। আসলে রোগের কারণে মৃত্যু আধুনিক সময়ে প্রান্তিক অংশগুলির ক্ষেত্রেও কিন্তু কঠোর বাস্তব। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাহিনির ১০০ বছর পরেও স্পষ্ট ভাবে দেখা যাবে যে, একটি ক্ষয়িষ্ণু জাতপাতের দিকে ঝুঁকে রয়েছে এই সমাজ। যেখানে আজকের দিনেও দলিত, তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর মানুষদের লাঞ্ছনা এবং হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয়।
তবে ক্লাইম্যাক্সে রয়েছে দুর্দান্ত একটা ট্যুইস্ট। যেখানে শিশুটি তার মায়ের শেষ ইচ্ছার নির্মম প্রত্যাখ্যানের সাক্ষী হয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে। তবে ভেঙে পড়লেও এখানে তার বুকের ভিতর জমে থাকা রাগ-ক্ষোভ যেন একটা আলাদা মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে!
তবে ক্লাইম্যাক্সে রয়েছে দুর্দান্ত একটা ট্যুইস্ট। যেখানে শিশুটি তার মায়ের শেষ ইচ্ছার নির্মম প্রত্যাখ্যানের সাক্ষী হয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে। তবে ভেঙে পড়লেও এখানে তার বুকের ভিতর জমে থাকা রাগ-ক্ষোভ যেন একটা আলাদা মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে!
প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই নিজেদের অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে চরিত্রগুলিকে অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আর ছবিতে গ্রামের দৃশ্যপটও অসাধারণ ভাবে তুলে ধরেছেন ডিওপি মলয় মণ্ডল। ইন্ডাস্ট্রিতে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। তাঁর কথায়, “অনির্বাণদা আমায় যখন ‘ও অভাগী’-র গল্পটি শোনান, তখন থেকেই এই কাজটা নিয়ে আমি বেশ উত্তেজিত ছিলাম। আর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘অভাগীর স্বর্গ’ অনির্বাণ চক্রবর্তীর মতো করে শোনাটাও বেশ আনন্দের।”
প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই নিজেদের অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে চরিত্রগুলিকে অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আর ছবিতে গ্রামের দৃশ্যপটও অসাধারণ ভাবে তুলে ধরেছেন ডিওপি মলয় মণ্ডল। ইন্ডাস্ট্রিতে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। তাঁর কথায়, “অনির্বাণদা আমায় যখন ‘ও অভাগী’-র গল্পটি শোনান, তখন থেকেই এই কাজটা নিয়ে আমি বেশ উত্তেজিত ছিলাম। আর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘অভাগীর স্বর্গ’ অনির্বাণ চক্রবর্তীর মতো করে শোনাটাও বেশ আনন্দের।”
পরিচালক অনির্বাণ চক্রবর্তীর বক্তব্য, “প্রান্তিক গ্রামীণ জনগোষ্ঠী দূলে জাতকে যে জাতপাত এবং শোষণের শিকার হতে হয়েছে, সেই রূঢ় বাস্তবটাকেই তুলে ধরা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জটা ছিল শরৎচন্দ্রের আসল গল্পটির নির্যাস অক্ষুণ্ণ রেখে নতুন কিছু সৃষ্টি করা। সত্তরের দশকের গ্রামবাংলার সমসাময়িক বাস্তবতার কথা মাথায় রেখে নতুন চরিত্রও আনা হয়েছে।”
পরিচালক অনির্বাণ চক্রবর্তীর বক্তব্য, “প্রান্তিক গ্রামীণ জনগোষ্ঠী দূলে জাতকে যে জাতপাত এবং শোষণের শিকার হতে হয়েছে, সেই রূঢ় বাস্তবটাকেই তুলে ধরা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জটা ছিল শরৎচন্দ্রের আসল গল্পটির নির্যাস অক্ষুণ্ণ রেখে নতুন কিছু সৃষ্টি করা। সত্তরের দশকের গ্রামবাংলার সমসাময়িক বাস্তবতার কথা মাথায় রেখে নতুন চরিত্রও আনা হয়েছে।”
তৃণা সাহা
তৃণা সাহা
অভিনেত্রী রোশনি ভট্টাচার্য
অভিনেত্রী রোশনি ভট্টাচার্য
রোশনি, মিথিলা এবং বিবৃতি
রোশনি, মিথিলা এবং বিবৃতি
বিবৃতি, শুভ্রজিৎ এবং রানা
বিবৃতি, শুভ্রজিৎ এবং রানা
অভিনেত্রী বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়
অভিনেত্রী বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়
মিথিলা
মিথিলা
শুভঙ্কর মিত্র এবং মানসী সিনহা
শুভঙ্কর মিত্র এবং মানসী সিনহা