কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত চিকিৎসক এবং ডাক্তারি পড়ুয়াদের অবিলম্বে পরিষেবা চালু করার অনুরোধ কেন্দ্রের। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আর্জি জানানো হয় দেশ জুড়ে বিক্ষোভে শামিল হওয়া নবীন চিকিৎসকদের। কেন্দ্রের আশ্বাস, চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (ফোরডা), ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) এবং দিল্লির সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার সমিতির প্রতিনিধিরা চলমান বিক্ষোভের মধ্যে নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সঙ্গে দেখা করেছেন। তার পরেই তাঁদের পরিষেবা চালু করার আর্জি জানায় কেন্দ্র।
এ দিকে, সিবিআই-এর হাতে তদন্তের ভার স্থানান্তরিত হওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও ধোঁয়াশা না কাটায় ক্ষুব্ধ নবীন চিকিৎসকরা। সংগঠনের তরফে ডাক্তার রুমালিকা কুমার বলেন, “অস্বচ্ছতার কারণে তদন্ত প্রক্রিয়া কলকাতা পুলিশ থেকে সিবিআই-এ স্থানান্তরিত হয়েছে। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা পরেও আমাদের যে ন্যায়বিচারের দাবি ছিল তা আদৌ পূরণ হয়নি। স্বাধীনতার আগের দিনে যখন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রাজপথে নেমেছিলেন, ঠিক সেই রাতেই পরিকল্পিতভাবে আরজি কর-এ জঘন্য হামলা চালানো হয়।”
এই আচমকা আক্রমণ আসলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা, এমনই মনে করছেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে সে দিন আরজি করের নার্সদেরও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান রুমালিকা। তাঁর কথায়, “এমারজেন্সি রুমে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সামাজিক ন্যায়বিচারের আন্দোলন থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার একটি বিদ্বেষপূর্ণ প্রচেষ্টা ছিল আর কিছুই না।”
এর পরই জুনিয়র ডকটরস ফ্রন্টের পক্ষ থেকে রুমালিকা জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ বলে যে রব উঠেছে তা আদতেই সত্যি নয়। তাঁদের দক্ষ অধ্যাপকরা আউটডোর এবং এমারজেন্সি ভাল ভাবেই সামলাচ্ছেন বলে দাবি জানান।