মালদহ: আরও সহজ হল সরকারি সহায়ক মূল্য ধান বিক্রি। এমনকি এই বছর সরকারি ভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে ধানের দাম। বাড়িতে বসেই এখন কৃষকেরা সরাসরি ধান বিক্রি করতে পারবেন অন লাইনে। ধান বিক্রির টাকা সরাসরি ঢুকে যাবে চাষিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। আমন মরশুমে সরকারি উদ্যোগে শুরু হচ্ছে ধান কেনার প্রক্রিয়া। কৃষকদের সুবিধার জন্য জেলায় বৃদ্ধি করা হয়েছে ধান কেনার সিপিসি সেন্টার। পাশাপাশি মোবাইল সিপিসির সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে সরকারিভাবে। প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকেরাও যাতে সরকারি সহায়ক মূল্যের ধান বিক্রি থেকে বঞ্চিত না হন তার জন্য সরকারিভাবে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
মালদহ জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মরশুমে আগামী ২ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সরকারি সহায়ক মূল্যের ধান কেনার প্রক্রিয়া। এই বছর মালদহ জেলায় ২৫ টি সিপিসি সেন্টার ও দশটি মোবাইল সিপিসি সেন্টার থেকে দান কেনা হবে কৃষকদের কাছ থেকে। এই বছর মালদহ জেলায় তিন লক্ষ ৬০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। গত মরশুমে তিন লক্ষ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। সেখানে ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ধান কেনা সম্ভব হয়েছিল।
মালদহে ৬৮ শতাংশ ধান গত বছর কিনেছিল সরকারিভাবে। এই বছর সেই লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। মালদহ জেলা খাদ্য নিয়ামক শাশ্বত সুন্দর দাস বলেন, ২ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়। এই বছর ধানের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। কৃষকেরা যেন সহজে সিপিসি সেন্টারে এসে ধান বিক্রি করতে পারেন সেই সুব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কৃষকেরা যেন সহজেই সরকারি সহায়ক মূল্যের ধান কিনতে পারেন তার সুব্যবস্থা করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বিভিন্নভাবে প্রচার অভিযান চালানো হচ্ছে। কৃষকেরা বাড়িতে বসেই অনলাইনে ধান বিক্রির জন্য স্লট বুকিং করতে পারবেন। কবে কোন সময় ধান বিক্রি করবেন সেই বিষয়গুলো ঠিক করতে পারবেন কৃষকেরা। এতে করে অনেকটাই সুবিধা হবে কৃষকদের। এই বছর সরকারি সহায়ক মূল্যে বৃদ্ধি করা হয়েছে। কুইন্ট্যাল প্রতি কৃষকেরা দাম পাবেন ২৩০০ টাকা। আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলবে ধান কেনার প্রক্রিয়া।
হরষিত সিংহ