পশ্চিম মেদিনীপুর: ধীরে ধীরে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা। দানা প্রভাবে লন্ডভন্ড হওয়ার আশঙ্কা উপকূলীয় এলাকায়। ইতিমধ্যেই বাংলা উড়িষ্যার সীমানা এলাকার দাঁতন মোহনপুর সহ একাধিক জায়গায় ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। কাঁচা বাড়িতে থাকা, শতাধিক মানুষজনকে নিয়ে আসা হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় প্রস্তুত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। বাংলা-ওড়িশা প্রশাসন ও NDRF পক্ষ থেকে মাইকে সতর্কবার্তা প্রচার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৩৫ টি রেসকিউ সেন্টার করা হয়েছে।
জেলার মধ্যে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে বাংলা-ওড়িশা সীমান্ত দাঁতন এলাকা। বৃহস্পতিবার দাঁতনের তররূই হাইস্কুল ও বাইপাটনা, মোহনপুর সহ জেলার একাধিক জায়গা পরিদর্শন করলেন রাজ্যে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সুরেন্দ্র গুপ্তা। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, এসডিও যোগেশ পার্টিল অশোক রাও, দাঁতন বিধানসভার বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান সহ অন্যান্যরা।
বুধবার থেকে রাজ্যের একাধিক ত্রাণ শিবির, ফ্লাড সেন্টারগুলিতে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। এই ব্যাপারে জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী বলেন, জেলায় মোট ২৩৫টি রেসকিউ সেন্টার করা হয়েছে। জেলার প্রতিটি এলাকায় সিভিল ডিফেন্স প্রস্তুত রয়েছে। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ও আমি সহ পুলিশ সুপার আমরা এলাকা ভিজিট করছি। তিনি আরও বলেন, রাতের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, তাই ওষুধ থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঘাটাল,নারায়ণগড়, দাঁতন সহ প্রতিটি এলাকায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে যে বিপদ কি আসছে আমরা সেটা ম্যানেজ করতে পারব। পুরো জেলায় ৯২ টি অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন। কোনও রকম বিপদ এড়াতে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা জেলা প্রশাসনের।
রঞ্জন চন্দ