প্রতীকী ছবি

OTT Web Series: ওটিটি-ইউটিউবে গোয়েন্দা কাহিনি দেখে ছেলে-মেয়ে? ভয়ঙ্কর মানসিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে না তো!

কলকাতা: ওটিটি প্ল্যাটফর্ম কিংবা ইউটিউবে আপনার সন্তান গোয়েন্দা কাহিনি দেখতে খুব ভালবাসে? খুব সাবধান। তার মানসিক পরিবর্তন হচ্ছে না তো! এই বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ যা বলছেন, জানলে চমকে উঠবেন। ইদানিং কালে কোনও সেন্সর ছাড়াই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম কিংবা ইউটিউবে ভয়ঙ্কর খুন কিংবা হিংসার মতো অপরাধের ঘটনা দেখানো হচ্ছে। এই বিষয়ে বিখ্যাত সাইকিয়াট্রিস্ট ডাক্তার সব্যসাচী মিত্র গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন।

তিনি জানান, এই ধরনের সিনেমা কিংবা ভিডিও ছোট শিশুরা যদি দেখে, তাহলে তাদের মধ্যে একটা মানসিক দুশ্চিন্তা তৈরি হতে পারে। তারা হঠাৎ করে ভয় পেতে পারে। আর এই পরিস্থিতি থেকে তাদের মধ্যে সাধারণ ভাবে অনেক কিছু এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এই ধরনের শিশু কিংবা কিশোররা সিনেমায় এতটাই মনোযোগী হয়ে পড়ে, যার ফলে বাস্তব জীবনকে অনেকটা মিলিয়ে ফেলে।

আরও পড়ুন: ‘চোর বলছেন, সার্টিফিকেট নিয়ে আসব’? অর্জুনের ব‍্যারাকপুরেই মোদিকে তোপ দাগলেন মমতা

তার ফলে, তারা যে কোনও ঘটনার সঙ্গে তার খারাপ অভিজ্ঞতা মিলিয়ে ফেলতে পারে। ফলে শিশু মনে আতঙ্ক তৈরি হওয়া শুরু হয়। ডাক্তার মিত্র এও বলেন, এর ফলে শিশুদের ঘুম কমে যায়। আতঙ্কে ঘুম ভেঙে যায়। যার ফলে PTSD (post traumatic stress disorder)বাড়তে পারে। শিশুরা গভীর মানসিক আতঙ্কে পড়তে পারে। এই সিনেমা গুলো ১৮ বছরের নিচে না দেখার পরামর্শ দেন তিনি।

তবে এটার ভাল গুণও রয়েছে। তিনি জানান, এই ধরনের ভিডিও কিংবা সিনেমা দেখার ফলে শিশুরা অযথা কোন প্রলোভন কিংবা কোন খারাপ মানুষ থেকে দূরে থাকার অভ্যাসটা শুরু করে। মাদক খেলে কি ক্ষতি হয়?কিংবা কোন জায়গায় দেখে যাওয়া উচিত। সেই সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করে। তবে ডাক্তার সব্যসাচী মিত্র বলেন,’দেখুন violence যেভাবেই effected হোক,সেটা বাচ্চাদের এবং বয়স্কদের উভয়ের পক্ষেই খারাপ।Violence দেখে বাচ্চারা এখান থেকে vionlence শিখতেও পারে। Violence দেখাতে মিডিয়াকে অনেকটা Responsible ভাবেই দেখাতে হবে, খারাপ দিকের প্রতি বাচ্চারা যাতে প্রভাবিত না হয়। তাদের শিশু মন যাতে আক্রান্ত না হয়।’  তবে ভারতে এই মুহূর্তে এই বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে,বিশেষজ্ঞরা বেশির ভাগ কুফল লক্ষ করেছে।