কোহলির রেকর্ড ভাঙলেন বাবর, করাচিতে ইংল্যান্ডকে ছেলে খেলা করে হারাল পাকিস্তান

#করাচি: মহম্মদ রিজওয়ান আউট হতে পারতেন ২৩ রানে। শুরুর জুটি ভাঙতে পারত ৪৬ রানে। হল না তার কিছুই। জীবন পেয়ে বিস্ফোরক এক ইনিংস খেললেন রিজওয়ান। দুঃসময় পেছনে ফেলে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি উপহার দিলেন বাবর আজম। তাদের রেকর্ড জুটিতে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল পাকিস্তান। করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের জয় ১০ উইকেটে।

২০০ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে যায় ৩ বল হাতে রেখে। এই সংস্করণে কোনও উইকেট না হারিয়ে সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয়ের রেকর্ড এটি। ২০১৬ সালে হ্যামিল্টনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নিউ জিল্যান্ডের ১০ উইকেটে জয় ছিল আগের সর্বোচ্চ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই প্রথম দেড়শর বেশি রান তাড়ায় জিতল পাকিস্তান।

২০১০ সালে দুবাইয়ে ১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয় ছিল তাদের আগের রেকর্ড। ২০ ওভারের ক্রিকেটে যে কোনো উইকেটে এই প্রথম দুইশ রানের (২০৩*) জুটি পেল পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তো বটেই, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়ায় প্রথম দুইশ রানের জুটিও এটিই। আগের রেকর্ড জুটিও ছিল বাবর ও রিজওয়ানের।

গত বছর সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার ২০৩ রান তাড়ায় দলের ৯ উইকেটের জয়ে উদ্বোধনী জুটিতেই দুজন তুলেছিলেন ১৯৭ রান। সেই ম্যাচে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন বাবর। আরেকটি দুর্দান্ত রান তাড়ায় এবার তিনি করলেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ৬৬ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ১১০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা পাকিস্তান অধিনায়ক।

কিপার-ব্যাটসম্যান রিজওয়ান ৫১ বলে করেন ৮৮ রান। ৫ চার ও ৪ ছক্কায় গড়া তার ইনিংসটি। পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরি হল রেকর্ড ১০টি। তিনি ছাড়িয়ে গেলেন প্রাক্তন অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হককে (৯ সেঞ্চুরি)।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২১৮ ইনিংসে ৮০০০ রান স্পর্শ করলেন বাবর। বিরাট কোহলির লেগেছিল ২৪৩ ইনিংস। শীর্ষে রয়েছেন ক্রিস গেইল (২১৩) ইনিংস। এশিয়া কাপে ছন্দে না থাকলেও বাবরের ফর্মে ফেরা পাকিস্তানের কাছে সুখবর।