২৫ মার্চ

Panjika: পঞ্জিকা ২৫ মার্চ: দেখে নিন নক্ষত্রযোগ, শুভ মুহূর্ত, রাহুকাল এবং দিনের অন্য লগ্ন

কলকাতা: পঞ্চ অঙ্গের সমাহার, তাই জ্যোতিষশাস্ত্রের ভাষায় একে বলা হচ্ছে পঞ্চাঙ্গ বা পঞ্চিকা, সেখান থেকে অপভ্রংশে পঞ্জিকা। আদতে এটি গ্রহ-নক্ষত্র, বিশেষ করে চান্দ্র-সৌর অবস্থানের উপরে ভিত্তি করে রচিত প্রাচীন দিনপঞ্জি। যেখানে উল্লেখ মুহূর্তের। প্রচলিত বিশ্বাস- এই মুহূর্তগুলিতে যে কাজ করা হচ্ছে, সেই অনুসারে শুভাশুভ ফললাভ হয়ে থাকে।

এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?

ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ২৫ মার্চের কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ১১ চৈত্র। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল সোম এবং এই পূর্ণিমা তিথি থাকবে ২৫ মার্চ সকাল ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ তিথি।

আরও পড়ুন: বলুন তো নিজেকে নিজে ‘সুড়সুড়ি’ দেওয়া যায় না কেন…? শুনেই মাথা চুলকাচ্ছেন ৯৯% মানুষ! আপনি জানুন ‘আসল’ কারণ

এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হবে পূর্ণিমা ব্রত এবং শ্রীরাধাকৃষ্ণের দোলযাত্রা উৎসব।

সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৫ মার্চ সূর্যোদয় হবে সকাল ৫টা ৫১ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ৫৭ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ২৫ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা ০৯ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ২৬ মার্চ সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে।

আরও পড়ুন: দূর দূর করে তাড়াবে ইঁদুর…! বাপ বাপ বলে পালাবে ‘নেংটি’…! এই সস্তার ফল ব্রক্ষ্মাস্ত্র! ইঁদুর ঘেঁষতে দেবে না ঘরে, গ্যারান্টি

এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথির নক্ষত্র হল উত্তরফাল্গুনী। ২৫ মার্চ, সকাল ১০টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে হস্তা নক্ষত্র।

সূর্য অবস্থান করবেন মীন রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন কন্যা রাশিতে।

শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৫ মার্চ মাহেন্দ্রযোগ পড়েছে দুপুর ৩টে ৩২ মিনিট – বিকেল ৫টা ০৯ মিনিট কালীন সময়ে। অমৃতযোগ ২৫ মার্চ পড়েছে ভোর ৫টা ৫১ মিনিট – সকাল ৭টা ২৮ মিনিট, সকাল ১০টা ৪১ মিনিট – দুপুর ১টা ০৭ মিনিট, সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট – রাত ৯টা ০৭ মিনিট তিন সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।

অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৫ মার্চ রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে সকাল ৭টা ২২ মিনিট – সকাল ৮টা ৫২ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।