পঞ্চ অঙ্গের সমাহার, তাই জ্যোতিষশাস্ত্রের ভাষায় একে বলা হচ্ছে পঞ্চাঙ্গ বা পঞ্চিকা, সেখান থেকে অপভ্রংশে পঞ্জিকা। আদতে এটি গ্রহ-নক্ষত্র, বিশেষ করে চান্দ্র-সৌর অবস্থানের উপরে ভিত্তি করে রচিত প্রাচীন দিনপঞ্জি। যেখানে উল্লেখ মুহূর্তের। প্রচলিত বিশ্বাস- এই মুহূর্তগুলিতে যে কাজ করা হচ্ছে, সেই অনুসারে শুভাশুভ ফললাভ হয়ে থাকে। এবার নিউজ18 বাংলার জন্য কলম ধরলেন প্রখ্যাত দূরদর্শী জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা। দেখে নেওয়া যাক ১৫ জুন-এর পঞ্চাঙ্গ সম্পর্কে কী বলছেন তিনি। তাঁর কাছ থেকেই জেনে নেওয়া যাক তিথি-নক্ষত্র, শুভ ও অশুভ মুহূর্ত ইত্যাদি।
তিথি: শুক্লা নবমী
নক্ষত্র: হস্তা
করণ: বলব
পক্ষ: শুক্লপক্ষ
যোগ: ব্যাতিপাত – সন্ধ্যা ০৭.৫৮.৩১
বার: শনিবার
সূর্য এবং চন্দ্র গণনা:
সূর্যোদয়: ভোর ০৫.১১.৩৪
সূর্যাস্ত: সন্ধ্যা ০৬.৫৮.০৯
চন্দ্রোদয়: দুপুর ১২.৫৭.৪৩
চন্দ্রাস্ত: রাত ১২.৩৪.৫১
চান্দ্র রাশি: কন্যা
ঋতু: গ্রীষ্ম
আরও পড়ুন : আশীর্বাদের বদলে তছনছ জীবন! হিতে বিপরীত এড়াতে জানুন কখন রুদ্রাক্ষ পরবেন, কখন পরবেন না?
হিন্দু মাস এবং বছর:
শক সম্বত: ১৯৪৬
বিক্রম সম্বত: ২০৮১
মাস অমান্ত: জ্যৈষ্ঠ
মাস পূর্ণিমান্ত: জ্যৈষ্ঠ
অশুভ মুহূর্ত:
রাহু কাল: সকাল ০৮.৩৮.১৩ থেকে সকাল ১০.২১.৩৩
যমগণ্ড: দুপুর ০১.৪৮.১১ থেকে দুপুর ০৩.৩১.৩১
গুলিকা কাল: ভোর ০৫.১১.৩৪ থেকে সকাল ০৬.৫৪.৫৪
শুভ মুহূর্ত:
অভিজিৎ: সকাল ১১.৩৭.০০ থেকে দুপুর ১২.৩১.০০
কলকাতা: পঞ্চ অঙ্গের সমাহার, তাই জ্যোতিষশাস্ত্রের ভাষায় একে বলা হচ্ছে পঞ্চাঙ্গ বা পঞ্চিকা, সেখান থেকে অপভ্রংশে পঞ্জিকা। আদতে এটি গ্রহ-নক্ষত্র, বিশেষ করে চান্দ্র-সৌর অবস্থানের উপরে ভিত্তি করে রচিত প্রাচীন দিনপঞ্জি। যেখানে উল্লেখ মুহূর্তের। প্রচলিত বিশ্বাস- এই মুহূর্তগুলিতে যে কাজ করা হচ্ছে, সেই অনুসারে শুভাশুভ ফললাভ হয়ে থাকে। এবার নিউজ18 বাংলার জন্য কলম ধরলেন প্রখ্যাত দূরদর্শী জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা। দেখে নেওয়া যাক ২৪ এপ্রিলের পঞ্চাঙ্গ সম্পর্কে কী বলছেন তিনি। তাঁর কাছ থেকেই জেনে নেওয়া যাক তিথি-নক্ষত্র, শুভ ও অশুভ মুহূর্ত ইত্যাদি।
আরও পড়ুন- বিমানের দেহকাঠামো আসলে কী দিয়ে তৈরি? এয়ারক্রাফটের ‘বডি’-কে কী বলে জানেন ?
তিথি: কৃষ্ণ প্রতিপদ
নক্ষত্র: স্বাতী
করণ: বলভ
পক্ষ: কৃষ্ণপক্ষ
যোগ: ২৫ এপ্রিল ভোর ৪টে ৫২ মিনিট ১৩ সেকেন্ড পর্যন্ত সিদ্ধি
বার: বুধবার
সূর্য এবং চন্দ্র গণনা:
সূর্যোদয়: ভোর ৫টা ৩২ মিনিট ৩০ সেকেন্ড
সূর্যাস্ত: সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড
চন্দ্রোদয়: সন্ধ্যা ৭টা ০০ মিনিট ৫১ সেকেন্ড
চন্দ্রাস্ত: ভোর ৫টা ৩০ মিনিট ৫০ সেকেন্ড
মুন সাইন: তুলা
ঋতু: বসন্ত
হিন্দু মাস এবং বছর:
শক সম্বত: ১৯৪৬
বিক্রম সম্বত: ২০৮১
মাস অমান্ত: চৈত্র
মাস পূর্ণিমান্ত: চৈত্র
অশুভ মুহূর্ত:
রাহুকাল: দুপুর ১২টা ০২ মিনিট ৩২ সেকেন্ড থেকে দুপুর ১টা ৪০ মিনিট ০০৩ সেকেন্ড
যমগণ্ড: সকাল ৭টা ১০ মিনিট ০০০ সেকেন্ড থেকে সকাল ৮টা ৪৭ মিনিট ৩১ সেকেন্ড
গুলিকা কাল: সকাল ১০টা ২৫ মিনিট ০০১ সেকেন্ড থেকে দুপুর ১২টা ০২ মিনিট ৩২ সেকেন্ড
শুভ মুহূর্ত:
অভিজিৎ: সকাল ১১টা ৩৬ মিনিট ০০ সেকেন্ড থেকে দুপুর ১২টা ২৮ মিনিট ০০ সেকেন্ড
কলকাতা: পঞ্চ অঙ্গের সমাহার, তাই জ্যোতিষশাস্ত্রের ভাষায় একে বলা হচ্ছে পঞ্চাঙ্গ বা পঞ্চিকা, সেখান থেকে অপভ্রংশে পঞ্জিকা। আদতে এটি গ্রহ-নক্ষত্র, বিশেষ করে চান্দ্র-সৌর অবস্থানের উপরে ভিত্তি করে রচিত প্রাচীন দিনপঞ্জি। যেখানে উল্লেখ মুহূর্তের। প্রচলিত বিশ্বাস- এই মুহূর্তগুলিতে যে কাজ করা হচ্ছে, সেই অনুসারে শুভাশুভ ফললাভ হয়ে থাকে।
এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ১৮ এপ্রিলের কিছুটা পড়েছে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ৫ বৈশাখ। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল বৃহস্পতি এবং এই দশমী তিথি থাকবে ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ১২ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে শুক্লপক্ষের একাদশী তিথি।
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৮ এপ্রিল সূর্যোদয় হবে সকাল ৫টা ২৯ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ০৬ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ১৮ এপ্রিল দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ১৯ এপ্রিল রাত ২টো ৪৮ মিনিটে।
এই ১৪৩১ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথির নক্ষত্র হল অশ্লেষা। ১৮ এপ্রিল, সকাল ৯টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত অশ্লেষা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে মঘা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন মেষ রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন কর্কট রাশিতে ১৮ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ সকাল ৭টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত, এর পরে গমন করবেন সিংহ রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৮ এপ্রিল মাহেন্দ্রযোগ পড়েছে ভোর ৫টা ২৯ মিনিট – সকাল ৭টা ১০ মিনিট, সকাল ১০টা ৩২ মিনিট – দুপুর ১টা ০৩ মিনিট কালীন সময়ে। অমৃতযোগ ১৮ এপ্রিল পড়েনি। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ১৮ এপ্রিল রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে দুপুর ২টো ৫৭ মিনিট – বিকেল ৪টে ৩১ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।
কলকাতা: পঞ্চ অঙ্গের সমাহার, তাই জ্যোতিষশাস্ত্রের ভাষায় একে বলা হচ্ছে পঞ্চাঙ্গ বা পঞ্চিকা, সেখান থেকে অপভ্রংশে পঞ্জিকা। আদতে এটি গ্রহ-নক্ষত্র, বিশেষ করে চান্দ্র-সৌর অবস্থানের উপরে ভিত্তি করে রচিত প্রাচীন দিনপঞ্জি। যেখানে উল্লেখ মুহূর্তের। প্রচলিত বিশ্বাস- এই মুহূর্তগুলিতে যে কাজ করা হচ্ছে, সেই অনুসারে শুভাশুভ ফললাভ হয়ে থাকে।
এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ২৫ মার্চের কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ১১ চৈত্র। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল সোম এবং এই পূর্ণিমা তিথি থাকবে ২৫ মার্চ সকাল ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ তিথি।
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হবে পূর্ণিমা ব্রত এবং শ্রীরাধাকৃষ্ণের দোলযাত্রা উৎসব।
সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৫ মার্চ সূর্যোদয় হবে সকাল ৫টা ৫১ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ৫৭ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ২৫ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা ০৯ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ২৬ মার্চ সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে।
এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথির নক্ষত্র হল উত্তরফাল্গুনী। ২৫ মার্চ, সকাল ১০টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে হস্তা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবেন মীন রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন কন্যা রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৫ মার্চ মাহেন্দ্রযোগ পড়েছে দুপুর ৩টে ৩২ মিনিট – বিকেল ৫টা ০৯ মিনিট কালীন সময়ে। অমৃতযোগ ২৫ মার্চ পড়েছে ভোর ৫টা ৫১ মিনিট – সকাল ৭টা ২৮ মিনিট, সকাল ১০টা ৪১ মিনিট – দুপুর ১টা ০৭ মিনিট, সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট – রাত ৯টা ০৭ মিনিট তিন সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৫ মার্চ রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে সকাল ৭টা ২২ মিনিট – সকাল ৮টা ৫২ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।