সান ট্রানজিট ২০২৪: গ্রহদের রাজা সূর্য ১৩ এপ্রিল রাত ৯.১৫ মিনিটে মেষ রাশিতে প্রবেশ করবে এবং ১৪ মে পর্যন্ত মেষ রাশিতে থাকবে। এই কারণে, মেষ রাশিতে একটি বৃহস্পতি-সূর্য সংযোগ তৈরি হবে যা মেষ এবং বৃষ সহ কিছু রাশিচক্রের জন্য দুর্দান্ত সুবিধা দেবে। এই লোকেরা সম্পদ ও সমৃদ্ধি পাবে।

Panjika: পঞ্জিকা ২৩ মার্চ: দেখে নিন নক্ষত্রযোগ, শুভ মুহূর্ত, রাহুকাল এবং দিনের অন্য লগ্ন

পঞ্চ অঙ্গের সমাহার, তাই জ্যোতিষশাস্ত্রের ভাষায় একে বলা হচ্ছে পঞ্চাঙ্গ বা পঞ্চিকা, সেখান থেকে অপভ্রংশে পঞ্জিকা। আদতে এটি গ্রহ-নক্ষত্র, বিশেষ করে চান্দ্র-সৌর অবস্থানের উপরে ভিত্তি করে রচিত প্রাচীন দিনপঞ্জি। যেখানে উল্লেখ মুহূর্তের। প্রচলিত বিশ্বাস- এই মুহূর্তগুলিতে যে কাজ করা হচ্ছে, সেই অনুসারে শুভাশুভ ফললাভ হয়ে থাকে।

এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?

ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ২৩ মার্চের কিছুটা পড়েছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে, বঙ্গাব্দের তারিখ ৯ চৈত্র। এই বঙ্গাব্দ গণনা করা শুরু হয়েছিল পঞ্জিকা নির্ণয়ের প্রথম এবং প্রাচীন পদ্ধতি সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে, পরবর্তীকালে যাকে সংস্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয় দৃকসিদ্ধান্ত বা বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত মত। বাংলার জনমানসে বহুল জনপ্রিয়তার কারণে এখানে সূর্যসিদ্ধান্তসম্মত ফলাফল উল্লেখ করা হল। বার হল শুক্র এবং এই ত্রয়োদশী তিথি থাকবে ২৩ মার্চ সকাল ৭টা ৩৯ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তিথি।

সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৩ মার্চ সূর্যোদয় হবে সকাল ৫টা ৫৩ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ৫৭ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ২৩ মার্চ বিকেল ৪টে ৩১ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ২৪ মার্চ ভোর ৫টা ১৬ মিনিটে।

এই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী তিথির নক্ষত্র হল পূর্বফাল্গুনী। ২৪ মার্চ, সকাল ৭টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পরে তিথিতে অবস্থান করবে উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র।

সূর্য অবস্থান করবেন মীন রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবেন সিংহ রাশিতে।

শুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৩ মার্চ মাহেন্দ্রযোগ পড়েনি। অমৃতযোগ ২৩ মার্চ পড়েছে সকাল ৯টা ৫৪ মিনিট – দুপুর ১টা ০৭ মিনিট, রাত ৮টা ২০ মিনিট – রাত ১০টা ৪৩ মিনিট দুই সময়ে। এই মাহেন্দ্রযোগ এবং অমৃতযোগকে বাংলা পঞ্জিকার অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।

অশুভ মুহূর্ত- সূর্যসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ২৩ মার্চ রাহুকাল বা কালবেলা পড়েছে ভোর ৫টা ৫৩ মিনিট – সকাল ৭টা ২৩ মিনিট, বিকেল ৪টে ২৬ মিনিট – বিকেল ৫টা ৫৭ মিনিট কালীন সময়ে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।