প্রথম ভারতীয় মহিলা অ্যাথলিট হিসেবে কৃতিত্ব

Paris Olympics: প্যারিস অলিম্পিক্সে প্রথম বারের জন্য মহিলাদের ১০০ মিটার হার্ডলে জ্যোতি ইয়ারাজি, এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন স্বয়ং নীতা আম্বানি

নয়াদিল্লি: হাওয়ার থেকেও যেন ক্ষিপ্র তাঁর গতি! ফলে যখন দ্রুততম ভারতীয় হার্ডলার জ্যোতি ইয়ারাজি প্যারিস অলিম্পিকস ২০২৪-এর ময়দানে অবতীর্ণ হবেন, তখন চমক আসতে বাধ্য! আসলে অলিম্পিকসে মহিলাদের ১০০ মিটার হার্ডলে প্রথমবারের জন্য ভারতীয় মহিলা হিসেবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চলেছেন জ্যোতি। তাঁকে সাহায্য করছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন।

প্রসঙ্গত ১৯৭২ সাল থেকে প্রত্যেক অলিম্পিকসের অংশ হিসেবে রয়েছে মহিলাদের ১০০ মিটার হার্ডল ইভেন্ট। কিন্তু এই বারই প্রথম সেই ইভেন্টের তারকা তালিকায় থাকতে চলেছেন একজন ভারতীয়।

আরও পড়ুন – Lionel Messi Record: এক গোলে অনেক কিছু, কোপাতে প্রথম গোল মেসির, করলেন নতুন রেকর্ড, দেখুন ভিডিও

এই প্রসঙ্গে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারপার্সন নীতা এম আম্বানি বলেন যে, “আমরা যারপরনাই উচ্ছ্বসিত এবং গর্বিত আমাদের রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের অ্যাথলিট জ্যোতি ইয়ারাজির জন্য। কারণ তিনিই প্রথম ভারতীয়, যিনি অলিম্পিকসে মহিলাদের ১০০ মিটার হার্ডলে কোয়ালিফাই করেছেন। জ্যোতির সফর, তাঁর অধ্যবসায় এবং অতুল্য কৃতিত্ব আসলে স্বপ্ন এবং কঠোর পরিশ্রমের শক্তির প্রতীক। সেই সঙ্গে তিনিও ভারতের তরুণদের চেতনা, প্রতিভা এবং সহনশীলতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।”

নীতা আম্বানি আরও বলেন যে, “জ্যোতি এবং আমাদের সমস্ত তরুণ অ্যাথলিটদের সব রকম ভাবে সাহায্য করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। প্যারিস গেমসের জন্য জ্যোতি এবং গোটা ভারতীয় দলকে আমরা শুভকামনা জানাই! যেভাবে তাঁরা ১.৪ বিলিয়ন ভারতীয়ের স্বপ্ন, আশা এং প্রার্থনাকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরছেন, সেভাবেই যেন তাঁরা ভারতের তেরঙাকেও আরও উঁচুতে নিয়ে যান।”

—- Polls module would be displayed here —-

এখানেই শেষ নয়, জাতীয় রেকর্ডধারী জ্যোতি এশিয়ান গেমসেও দুর্দান্ত কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তিনি প্রথম মহিলা, যিনি মহিলাদের ১০০ মিটার হার্ডলে পদক জয়ী হয়েছেন। ওই গেমসে চমকপ্রদ কৃতিত্ব দেখিয়ে ছিনিয়ে নিয়েছেন রুপোর পদক। জ্যোতির ব্যক্তিগত সেরাটা হল ১২.৭৮ এস। চলতি বছর গোড়ার দিকে ফিনল্যান্ডের মোটোনেট জিপি-তে এই সীমা ছুঁয়েছিলেন তিনি। এমনকী সাম্প্রতিক সিনিয়র ইন্টার-স্টেট অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি সোনাও জিতেছেন।

জ্যোতি ইয়ারাজির অলিম্পিকের এই সফরে শুধুই রেকর্ড ভাঙার কাহিনি প্রতিফলিত হয়, তা কিন্তু নয়। একই সঙ্গে তিনি গোটা দেশকেও অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছেন। তাঁর কৃতিত্ব এবং সহনশীলতা দৃঢ় সঙ্কল্পের গুরুত্বকে নির্দেশ করে। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা যে আন্তর্জাতিক ক্রীড়ার উচ্চতর পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম, সেটাও জ্যোতি প্রমাণ করে দিয়েছেন।

প্যারিসে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ভারতীয়দের মনে আশার আলো জ্বালিয়ে দিয়েছেন জ্যোতি। তাঁর ইতিহাস রচনার সাক্ষী হতে অধীর অপেক্ষায় রয়েছে গোটা দেশ। আর সেই সঙ্গে অলিম্পিকসে জ্যোতির উপস্থিতি ভারতীয় মহিলা হার্ডলারদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পথ প্রদর্শন করবে।

জ্যোতির কৃতিত্ব ভারতে ক্রীড়ার ক্রমবর্ধমান উন্নতির একটি প্রমাণ, বিশেষ করে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে। তাঁর সাফল্য হয়তো আরও তরুণ ক্রীড়াবিদদের ময়দানে অবতীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা জোগাবে। যা ভারতীয় ক্রীড়ার সামগ্রিক বৃদ্ধি এবং বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।