অলিম্পিক্সে কেন পদক জিতে কামড় দেন অ্যাথলিটরা? রয়েছে বড় একটা কারণ

কলকাতা: পদক জিতে তাতে কামড় বসিয়েছেন অ্যাথলিট! এই ছবি তো অনেকেই দেখেছেন! তবে কখনও কি ভেবে দেখেছেন, একজন অ্যাথলিট অলিম্পিক্স বা অন্য কোনও গেমসে পদক জিতে এমনটা কেন করেন!

 সাধারণত সোনার পদক জয়ী অ্য়াথলিটরা এমনটা বেশি করেন। অ্যাথলিটদের এই অভ্যেস অনেক পুরনো। যে কোনও ইভেন্টে তিনটি পদক থাকে। সোনা, রুপো, ব্রোঞ্জ।

এবার প্রশ্নে ফিরে আসি, কেন খেলোয়াড়রা পদক জয়ের পর তাতে কামড় বসায়? ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ অলিম্পিক হিস্টোরিয়ান্সের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ওলেনচিনস্কি জানিয়েছিলেন, ক্রীড়াবিদরা এমনটা করেন কারণ ফটোগ্রাফাররা তাঁদের করতে বলে।

আরও পড়ুন- দায়িত্ব নিয়েই ৩ নতুন প্রতিভার খোঁজ দিলেন গম্ভীর!শক্তি অনেকটাই বাড়ল টিম ইন্ডিয়ার

প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে অলিম্পিক্স পদকে কামড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু আজকের সময়ে ফটোগ্রাফাররা অলিম্পিক্সে পদক জয়ীদের এই ধরনের ছবি তুলতে রাজি করান। এই ধরনের ছবি বিভিন্ন আঙ্গিক থেকে সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিনে তুলে ধরা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে ফটোগ্রাফাররা এই ছবিটি তোলার জন্য জোর দিয়ে থাকেন। তবে কবে থেকে কীভাবে পদক কামড়ানো শুরু হয়েছে সেই বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

দাঁত দিয়ে সোনার পদক কামড়ানোর প্রথা অনেক পুরনো। স্পোর্টিং নিউজ ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৮০০ সালে সোনার পদকে কামড়ানোর প্রথা শুরু হয়েছিল। সেই সময় পদক কামড়ে দেখে নেওয়া হত, সোনা আসল নাকি নকল!

আরও পড়ুন- বদলে যাবে আইপিএলের খোলনলচে! বোর্ডের সঙ্গে দলের মেগা বৈঠকের আগেই সব ফাঁস, আপডেট

আসল সোনা নরম। দাঁত দিয়ে কামড় দিলে তাতে কামড়ের দাগ পড়ে যায়। না হলে দাঁত দিয়ে যতই নকল সোনা কামড়ে ফেলুন না কেন, দাগ পড়বে না।

খাঁটি সোনার তৈরি পদক শেষবার দেওয়া হয়েছিল ১৯১২ সালে। এর পর থেকে আর পদকে খাঁটি সোনা দেওয়া হয় না।