কলকাতা: প্যারিস ২০২৪ অলিম্পিক্সে মহিলাদের কুস্তির ৫০ কেজি ক্যাটাগরিতে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিলেন ভিনেশ ফোগট। ফলে তাঁর সোনা জয়ের আশায় বুক বেঁধেছিলেন গোটা দেশের মানুষ। কিন্তু ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ। ওজন বেশি থাকায় ফাইনালে নামেত পারেননি তিনি।
ভিনেশের জয়ের পরে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এক্স (পূর্বে ট্যুইটার)-এ হ্যাশট্যাগ দঙ্গল ট্রেন্ড করছে। আসলে ২০১৬ সালে ব্লকবাস্টার বলে প্রমাণিত হয়েছিল বায়োপিক ধর্মী ছবি ‘দঙ্গল’। তাতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল আমির খানকে।
এবার সেই ব্লকবাস্টার ছবির সিক্যুয়েল চাইছেন নেটিজেনরা। কারণ কিউবার ইয়ুসনেলিস গুজম্যান লোপেজকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়ে দুর্ধর্ষ জয় পেয়েছেন ভিনেশ ফোগট।
আরও পড়ুন- রাহুল দ্রাবিড়ের নতুন চাকরি! হচ্ছেন ‘এই’ দলের কোচ, সৌরভ দিলেন খবর
এর ফলে তিনিই হয়ে উঠেছেন প্রথম ভারতীয় মহিলা, যিনি অলিম্পিকে কুস্তির ফাইনালে পৌঁছতে পেরেছেন। তবে ভিনেশের সঙ্গে সঙ্গে দেশবাসীর স্বপ্নও চুরমার হয়ে গিয়েছে।
আসলে ওজনের কারণে মহিলাদের ৫০ কেজির ক্যাটাগরি থেকে ডিসকোয়ালিফায়েড হয়ে গিয়েছেন ভিনেশ। জানা গিয়েছে যে, তাঁর ওজন ৫০ কেজির থেকে কয়েক গ্রাম বেশি হয়েছে। সেই কারণেই এমন বেদনাদায়ক পরিণতি।
তবে সেমিফাইনালে ভিনেশের দুর্ধর্ষ জয়ের পরেই তাঁর অনুপ্রেরণাদায়ক সফরের উপর একটি ছবি করার জন্য গলা ফাটাতে শুরু করেন ভক্তরা। এক ব্যবহারকারী মজা করে লিখেছেন, “দঙ্গল ২: আমি তো বসে পড়েছি এখন থেকেই। আর প্রেক্ষাগৃহের কর্মীরা ভয় পেয়ে গিয়ে আমায় বলছেন চলে যান। কারণ এই ছবিটার ঘোষণা এখনও হয়নি। কারা অভিনয় করবেন, সেটাও চূড়ান্ত হয়নি। কিন্তু তা-ও আমি এখন থেকেই বসে পড়েছি।”
আর এক ব্যবহারকারী রিও ২০১৬, টোকিও ২০২০ এবং প্যারিস ২০২৪ অলিম্পিকস-এ ভিনেশের একটি মন্তাজও শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, “এবার ‘দঙ্গল ২’-এর সময়।”
তৃতীয় ব্যবহারকারী লিখেছেন, মুখ্য ভূমিকায় ভিনেশ ফোগটকে নিয়েই ‘দঙ্গল’ বানানো উচিত আমির খানের। বলিউডের সর্বোচ্চ আয়কারী ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘দঙ্গল’।
আরও পড়ুন- বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দিয়েছিলেন ‘এই’ পরামর্শ, আজও মেনে চলেন সৌরভ! বড় রহস্য ফাঁস
সারা বিশ্বে মোট ২০০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে এই ছবি। ছবিতে মহাবীর সিং ফোগটের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল আমির খানকে। যিনি একজন কুস্তিগীর।
দুই কন্যা গীতা ফোগট এবং ববিতা কুমারী যাতে ভারতের প্রথম বিশ্বমানের মহিলা কুস্তিগীর হতে পারেন, তাঁর জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন মহাবীর সিং ফোগটই। প্রাপ্তবয়স্ক ফোগট বোনেদের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল ফতিমা সানা শেখ এবং সানিয়া মালহোত্রাকে। তাঁদের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সাক্ষী তনওয়ার।
ফাইনাল পর্যন্ত ভিনেশ ফোগটের সফরটা অসাধারণের তুলনায় কিছু কম নয়। ১৬ নম্বর রাউন্ডে বিশ্বসেরা এবং ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জাপানের ইয়ুয়ি সুসাকিকে হারিয়ে জয়ের পথ প্রশস্ত করেছিলেন ভারতীয় এই তারকা কুস্তিগীর।
প্রসঙ্গত টোকিও ২০২০ অলিম্পিকসের সময় থেকেই একবারের জন্যও হারানো যায়নি এই সুসাকিকে। তবে ঐতিহাসিক ভাবে তাঁকে হারিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন ভিনেশ ফোগট।
এর পর তিনি কোয়ার্টার-ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছেন ইউক্রেনের ওকসানা লিভাচের। কম ব্যবধানে তাঁকে হারিয়ে জয়ের পথে এগিয়েছেন ভিনেশ।