Joint Parliament Session: যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির কথায় উঠে এল নিট প্রশ্নফাঁস প্রসঙ্গ! জরুরি অবস্থা নিয়েও কড়া মন্তব্য দ্রৌপদী মূর্মূর

নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদির ৩.০ সরকারের প্রথম যৌথ অধিবেশনে প্রথমবার নিজের বক্তব্য প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূ৷ তাঁর এক পাশে উপস্থিত ছিলেন উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং অন্যপাশে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা৷ এদিন রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় সরকারের নানা কাজের কথা বলার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য ভাবে উঠে আসে জরুরি অবস্থা থেকে শুরু করে নিট-নেট প্রশ্নফাঁস দুর্নীতির কথা৷

এদিন রাষ্ট্রপতি জানান, ১ জুলাই থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা লাগু হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘ব্রিটিশরাজে গোলামি ব্যবস্থায় শাস্তির বিধান ছিল। সেই আইন বদলের সাহস দেখিয়েছে সরকার। এবার শাস্তির বদলে ন্যায়ে বিশেষ জোর দেওয়া হবে। সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে।’’

আরও পড়ুন: কবে হবে নব নির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণ? এবার আন্দোলনে পথে নামছেন সায়ন্তিকা-রেয়াদ

রাষ্ট্রপতি জানান, চার দশক পরে ওয়ান র‍্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন চালু হয়েছে৷ যুবদের কথা শুরু হতেই বিরোধীদের তরফে ‘নিট নিট’ বলে চিৎকার শুরু হয়৷ ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারির কথা উঠতেই ‘নিট নিট’ বলে চিৎকার শুরু করেন বিরোধীরা। এরপরেই ১-২ সেকেন্ডের জন্য থেমে যান রাষ্ট্রপতি৷

তারপরেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূ বলেন, ‘‘পরীক্ষা নিরপেক্ষ করাতে বিল এনেছে আমার সরকার। পরীক্ষায় কোনও কারণে বাধা তৈরি হওয়া উচিত নয়। সম্প্রতি কয়েকটি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। আগে অনেক রাজ্যেও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে। সংসদেও কঠোর আইন আনা হয়েছে।’’ সর্বোচ্চ তদন্ত করে আসল সত্যি সামনে আনার কথা উল্লেখ রাষ্ট্রপতির।

আরও পড়ুন: শপথ নিয়ে রেয়াত-সায়ন্তিকার পাশেই স্পিকার বিমান, প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার হুঁশিয়ারি

একই ভাবে এদিন রাষ্ট্রপতির কথায় উঠে আসে জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গও৷ তিনি বলেন, ‘‘সংবিধানের উপরে হামলা হয়েছে একাধিকবার। আজ ২৭ জুন। ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন জরুরি অবস্থা ঘোষণা সংবিধানে আক্রমণ ছিল। আমাদের সরকার চেষ্টা করে সংবিধান যেন জনচেতনার অংশ হয়। জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধান লাগু হয়েছে।’’