পিরিয়ডের সময় পেটের যন্ত্রণায় ভোগেন অনেক মহিলাই। এর সঙ্গে ক্লান্তি এবং মাথাব্যথাও হয়। মেজাজ পরিবর্তন হয় ঘনঘন। এই সমস্যাগুলো খুব স্বাভাবিক। তবে কখনও কখনও এগুলো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণও হতে পারে। যেমন পিসিওডি।পিসিওডি মানে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ। প্রাথমিক অবস্থায় এর লক্ষণগুলো উপেক্ষা করেন অনেকেই। ধীরে ধীরে রোগ বাড়তে থাকে। ঘরোয়া প্রতিকার এবং দৈনন্দিন জীবনে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে এই রোগ এড়ানো যায়। পাশাপাশি সহজ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাতেও পিসিওডি থেকে মুক্তি মেলে।ভারতে পিসিওডি-এর সমস্যা খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অ্যান্ড রিসার্চের সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের ১০ শতাংশ মহিলাই পিসিওডি-তে আক্রান্ত। এই রোগে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। রোগের মূল কারণ এখনও জানা যায়নি।তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ক্রমবর্ধমান মানসিক চাপ, পরিবর্তিত জীবনধারা, গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকার অভ্যাস, ধূমপান এবং মদ্যপান পিসিওডি-এর প্রধান কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পিসিওডির সমস্যা বেশি দেখা যায় নাইট শিফটে কাজ করা মহিলাদের মধ্যে। সারা রাত জেগে থাকা এবং গভীর রাতে খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি করে।অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ঋতুস্রাব একদম না হওয়া, বেদনাদায়ক ঋতুস্রাব, দীর্ঘস্থায়ী ঋতুস্রাব, মুখে অবাঞ্ছিত লোম, ব্রণ, শ্রোণিতে ব্যথা, সন্তান ধারণে অসুবিধা ইত্যাদি পিসিওডি-এর লক্ষণ। গড্ডার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডাঃ সুরভী লোকাল 18-কে বলেন, কিশোরী বা মহিলারা যদি এই ধরণের উপসর্গ দেখেন, তাহলে সবার আগে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কয়েকটি জিনিস মেনে চলতে হবে। যেমন – সঠিক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ, সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া, প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘণ্টা ব্যায়াম এবং যতটা সম্ভব সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল খেতে হবে। এর সঙ্গে ভাল হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।হোমিওপ্যাথিতে পিসিওডি-এর সহজ চিকিৎসা রয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন ডাঃ সুরভী। তিনি বলছেন, কোনওরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই হোমিওপ্যাথিক ওষুধের কয়েকটা ডোজেই এই রোগ সেরে যায়। তবে তিন থেকে চার মাস নিয়মিত ওষুধ খেয়ে যেতে হবে।
