কোচবিহার: কোচবিহারের বড় বাজার কিংবা অন্যান্য বাজারে এলাকায় লক্ষ্মীপুজোর সময় প্রচুর বিক্রেতাদের ফুটপাতে বসতে দেখা যায়। প্রতি বছর কোজাগরি লক্ষ্মীপুজোর সময় এই দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা। তবে বছরের অন্যান্য সময় এভাবে দোকান করেন না তাঁরা। সেই সময় তাঁরা অন্যান্য পেশায় নিযুক্ত থাকেন। কেউ টোটো চালান, কেউ কৃষিকাজ করেন, আবার কেউ সংসার সামলাতে ব্যস্ত থাকেন। মূলত কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আগে কিছুটা বেশি টাকা লাভের আশায় এই দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেন তাঁরা।
এক বিক্রেতা পম্পা ঘোষ জানান, সারা বছর বাড়ির কাজকর্ম সামলে এইভাবে দোকান দেওয়া হয় না। তবে লক্ষ্মীপুজোর আগে দরকারি সামগ্রী নিয়ে এই ধরনের দোকান দিয়ে বসেন তিনি। তাতে দুটো টাকা বেশি রোজগার করা যায়। এবং খুব একটা অসুবিধা হয় না। দীর্ঘ সময় ধরে এভাবেই দোকান করছেন তিনি। বহু মানুষ লক্ষ্মীপুজোর বাজার করতে এসে এই দোকানগুলি থেকে জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যান। মূলত পুজোর সমস্ত উপকরণ পাওয়া যায় এই দোকানে। তাই এগুলির চাহিদা থাকে।
কোচবিহারের আরও দুই ফুটপাত ব্যবসায়ী তুষার কুমার গুপ্ত এবং সৌমেন দাস জানান, বর্তমান সময়ে একটি পেশায় নিযুক্ত থেকে বেশি মুনাফা অর্জন করা যায় না। তাই বছরের এই বিশেষ সময়ে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আগে এই ধরনের দোকান দেন তাঁরা। এতে কিছু টাকা বেশি লাভ হয়। ঠাকুরের ছোট মূর্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পুজোর সামগ্রী বিক্রি করেন তাঁরা। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো প্রায় প্রতিটি বাঙালির বাড়িতে হওয়ার কারণে বহু মানুষের প্রয়োজন পড়ে এই সামগ্রীর।
দীর্ঘ বহু সময় ধরে এমন ভাবেই প্রতি বছর দোকান দিয়ে আসছেন এই মানুষেরা। ফলে লাভের আশায় এই দোকান দিতে ভুলে যান না এই বিক্রেতারা। লক্ষ্মীপুজোর দু’তিনদিন আগে থেকে এই দোকানগুলি দেখতে পাওয়া যায়। ভিড় থাকে বেশ অনেকটাই বেশি।
সার্থক পণ্ডিত