পুরুলিয়া : লালমাটির জেলা পুরুলিয়া। পুরুলিয়ার জঙ্গলমহল এলাকার সঙ্গে আড়শার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম বেলডি সেতু। এই সেতু পুরুলিয়া শহরে যাওয়ার সবথেকে কম সময়ের রাস্তা। গত বর্ষায় কাঁসাই নদীর জলের তোড়ে বসে গিয়েছিল এই সেতু। বছর ঘুরলেও হয়নি সংস্কার। ভগ্ন সেতু দিয়ে চলছে যানবাহন। প্রাণ সংশয় জেনেও জীবিকার টানে এই সেতু দিয়েই চলাচল করছেন বহু গ্রামের মানুষ। গত বর্ষায় বেলডি সেতু বসে যাওয়ার পর এই সেতু রূপ নিয়েছে ঢেউ খেলানো আঁকা বাঁকা। মাঝে গর্ত, সেতুর রেলিংয়ে ফাটল, পিলারে ধরেছে চিড়। মুহূর্তেই ঘটে যেতে পারে বিপদ। যে কোনও সময় পুরো সেতু বসে গিয়ে বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে দিয়েই চলছে যাতায়াত, যদিওভারী যান চলাচলকরে না।।
এই সেতুর উপর দিয়ে চলছে ছোট চারচাকা গাড়ি , পিকআপ ভ্যান , ট্রেকার , টোটো সহ মোটরবাইক। দুর্ঘটনার আশঙ্কা জেনেও এই সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করছেন অনেকে। কারণ পেটের টানে কেউ দিনমজুরি, কেউ রাজমিস্ত্রির কাজ তো কেউ আবার হকারি করতে পুরুলিয়া শহরে পাড়ি দেন। এর সঙ্গে পড়াশোনা, চিকিৎসা সংক্রান্ত বা দৈনন্দিন নানান জরুরি কাজে পুরুলিয়া শহর যেতে হলে এই সেতুই একমাত্র ভরসা। ঘুরপথে পুরুলিয়া শহর যেতে হলে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। তাই বাধ্য হয়ে এই ভগ্ন সেতু দিয়েই জেলা সদর শহরে পৌঁছাতে হয়। এই সেতু সংস্কার না হলে বর্ষার সময় দশ বারোটি গ্রামের মানুষকে যাতায়াত সমস্যায় ভুগতে হবে।
এ বিষয়ে আশেপাশের এলাকার মানুষেরা বলেন , এই সেতু এই অবস্থা হয়ে যাওয়ার কারণে তারা নানান সমস্যার মধ্যে পড়ছেন। অনেকখানি বাধ্য হয়ে এই সেতুর ওপর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে। যে কোনও সময় ঘটতে পারে বড়সড় দু-র্ঘটনা তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ যাতে দ্রুত এই সেতু সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
পুরুলিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেতু বেলডি সেতু। গত বছর বর্ষার সময় থেকেই এই সেতু ধ্বসে গিয়েছে। বেশ কিছুদিন যান চলাচল বন্ধ থাকলেও পুনরায় এ সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল চলছে। এই বর্ষার মুখে কি আর সেতু সংস্কার হবে? না কি এভাবেই ভগ্ন সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলবে যাতায়াত? প্রশ্ন তুলছেন জঙ্গলমহলের আড়ষা ব্লকের ১০-১২ গ্রামের বাসিন্দারা।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি