প্রতীকী ছবি

Calcutta HC on RG Kar Doctor Case:সাবধান! সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি কর ধর্ষিতার ছবি-তথ্য পোস্ট করা যাবে না, কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

কলকাতা: আরজি করে ধর্ষিত ও খুন হওয়া চিকিৎসকের ছবি এবং তথ্য প্রচার করা যাবে না, কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। চিকিৎসক খুনের ঘটনায় এমনিতেই উত্তাল বাংলা। রাজ্য ছাড়িয়ে বিক্ষোভের আঁচ এখন দেশ জুড়ে। বিদেশ থেকেও প্রতিবাদ-মিছিল দেখা গিয়েছে প্রবাসীদের।

তবে, এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে চলেছে মৃত চিকিৎসক তরুণীর একের পর এক ছবি। এমনকী প্রকাশ্যে এসেছে মৃত্যুর পর সেমিনার রুমে পড়ে থাকা নির্যাতিতার ক্ষতবিক্ষত দেহের ছবিও। এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। হাইকোর্টের নির্দেশে এ বার কেউ যদি ধর্ষিতার ছবি প্রকাশ্যে আনেন,  তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

আরও পড়ুন- মাথায় হেলমেট না থাকার মাশুল দিলেন স্কুটিচালক! পথেই সব শেষ

আইন অনুযায়ী, ধর্ষিতার ছবি, নাম কিংবা অন্যান্য তথ্য প্রকাশ্যে আনা দণ্ডনীয় অপরাধ। জনতা সে কথা গ্রাহ্য না করেই দেদার ছড়িয়ে দিচ্ছেন ছবি, বিভিন্ন মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে ধর্ষিত এবং খুন হওয়া সেই ডাক্তারি পড়ুয়ার ছবি। এ পরিস্থিতিতে রাশ টানতেই তৎপর হল হাইকোর্ট।

অন্য দিকে, মহিলাদের রাত দখলের রাতেই আরজি কর হাসপাতালে বুধবার মধ্যরাতে ভাঙচুর চালায় কিছু দুষ্কৃতী। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর। ভাঙচুরের সময়কার ছবি দিয়ে কয়েকজনকে চিহ্নিত করে সমাজ মাধ্যমে শেয়ারও করেছে কলকাতা পুলিশ। আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় মোট তিনটি মামলা রুজু করা হয়েছিল পুলিশের তরফে।

আন্দোলনরতদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে জনস্বার্থ মামলাকারীদের নির্দেশ প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের। কোলকাতা পুলিশ ও আরজি কর হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে আলাদা করে হলফনামা দিয়ে পুরো ঘটনা রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে এ বার। সিবিআইকে তদন্তের প্রাথমিক অগ্রগতি রিপোর্ট পেশ করতে বলেছে আদালত। বুধবার পরবর্তী শুনানি।

আরও পড়ুন- মাফিয়ারাজ চালাতেন সন্দীপ! আরজি করের প্রাক্তন সহকর্মীর বিরুদ্ধে কী বললেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল সুপার?

আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তার- নার্সদের যথাযথ সুরক্ষার ব্যবস্থা করতেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও, এখনই কেন্দ্রীয়বাহিনী আরজি কর হাসপাতালে মোতায়নের আবেদন মনজুর করল না কলকাতা হাইকোর্ট।