Tag Archives: High Court

Marriage: সম্মতি না নিয়েই অপ্রকৃতস্থ যৌন সম্পর্ক স্বামীর, স্ত্রীর অভিযোগ শুনে কী বলল হাইকোর্ট?

ভোপাল: স্বামী তাঁর সম্মতি না নিয়েই অপ্রকৃতস্থ যৌনাচারে বাধ্য করছে৷ এমনই অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা এক মহিলা৷ যদিও স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর আনা এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট৷ পুলিশে দায়ের করা এফআইআর-ও খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷

ইন্ডিয়া টুডে-তে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্দেশ দিতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট জানিয়েছে, ভারতীয় আইনে বৈবাহিক ধর্ষণকে স্বীকৃতি দেয় না৷ ফলে এ ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীর অনুমতি নিয়েছিলেন কি না, সেই বিষয়টির কোনও গুরুত্ব নেই বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট৷

আরও পড়ুন: আজই স্বস্তির বৃষ্টি নামতে পারে দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায়, কলকাতায় আশা আছে? জানাল হাওয়া অফিস

বিচারপতি গুরপাল সিং আহলুওয়ালিয়া নির্দেশ দিতে গিয়ে আরও বলেন, স্ত্রীর বয়স যেহেতু ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে, তাই অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার আগে স্ত্রীর সম্মতি নিয়েছিলেন কি না, তা ধর্তব্যের মধ্যে আসবে না৷
বিচারপতি আরও ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশোধিত ৩৭৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনও মহিলার পায়ুদ্বারে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানো ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হলেও স্ত্রীর বয়স ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে হলে তাঁর সঙ্গে স্বামীর শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণ নয়৷ এই পরিস্থিতিতে স্বামী স্ত্রীর সম্মতি নিয়ে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন কি না, সেই বিষয়টি গুরুত্ব হারায়৷ কারণ বৈবাহিক ধর্ষণ আইনি ভাবে স্বীকৃতই নয়৷

তবে আদালত একই সঙ্গে জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশে স্বামী এবং স্ত্রী আলাদা থাকার সময় যদি স্বামী স্ত্রীর সম্মতি না নিয়ে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন, তাহলে তা ধর্ষণ হিসেবেই গণ্য করা হবে৷

প্রাথমিকের মামলায় বিচারপতি বদল! মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন

বিচারব্যবস্থায় একের পর এক শোরগোল। এবার বদল হল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিচার্য বিষয়। প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা সরল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে।

100 Days Work: ১০০ দিনের কাজে ভুয়ো জব কার্ড কত? বড় সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের

কলকাতা: ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি৷  ১০০ দিনের কাজে ভুয়ো জব কার্ড কত? ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট।

কমিটিতে থাকবে রাজ্য, কেন্দ্র, ক্যাগ এবং অ্যাকাউন্টটেন্ট জেনারেলের একজন করে প্রতিনিধি । ওই কমিটিকে জেলা অনুযায়ী তথ্য খতিয়ে দেখবে। প্রতিটি জেলার মহকুমায় যেতে হবে এই কমিটিকে।

আরও পড়ুন – IMD Weather Alert: ঘণ্টায় ২৫০ কিমি গতিতে হাওয়া, চার-চারটি ঘূর্ণাবর্ত, হাল খারাপ করে দেওয়া আবহাওয়ার প্রকোপ চলবেই

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, সঠিক জব কার্ড যাচাই করবে ৪ সদস্যের কমিটি। দ্রুত এই কমিটি গঠন করা হবে। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি ওই দিন কমিটির প্রতিনিধিদের নাম রাজ্য এবং কেন্দ্রকে জানাতে হবে।

Arnab Hazra

কামাসক্তি নয়, ভালবাসা! নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রেমিককে জামিন দিল আদালত

নাগপুর: ১৩ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তারই প্রেমিকের বিরুদ্ধে৷ যদিও ২৬ বছর বয়সি ওই যুবককে জামিন দিল বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ৷ জামিনের নির্দেশ দিতে গিয়ে বিচারপতি যুক্তি দিয়েছেন, ওই নাবালিকা এবং তার প্রেমিকের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ভালবাসা থেকেই৷ এর পিছনে কোনওরকম কামাসক্তি ছিল না৷

রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি ঊর্মিলা যোশী-ফালকে বলেন, নাবালিকা নিজেই পুলিশকে জানিয়েছিল যে সে স্বেচ্ছায় নীতীন ধাবেরাও ওই যুবকের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল এবং তাঁর সঙ্গে থেকেছিল৷ বিচারপতি আরও বলেন, অভিযুক্ত যুবকের বয়সও ২৬ বছর৷ ফলে তিনি তাঁরও খুব একটা পরিণতি বোধ আসেনি৷

বিচারপতি বলেন, ‘ভালবাসার সম্পর্ক থেকেই ঘনিষ্ঠ হয়েছিল ওই যুবক এবং নাবালিকা৷’

আরও পড়ুন: ‘স্বামী হিংস্র’, ছেলেকে খারাপ করছে! খুনের আগে ঘুম পাড়ানি গান গেয়ে…সূচনা-কাণ্ডে চাঞ্চল‍্যকর সত‍্যি এল সামনে

বিচারপতি বলেন, সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে দু জন অল্প বয়সি ছেলেমেয়ের মধ্যে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ থেকেই শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে এবং মনে হচ্ছে না যে আবেদনকারী কোনওভাবে ওই নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করেছে৷

২০২০ সালের অগাস্ট মাসে ওই নাবালিকার বাবা তাঁর মেয়ে নিখোঁজ বলে পুলিশে অভিযোগ করেন৷ পুলিশ ওই নাবালিকাকে খুঁজে বের করার পর সে জানায় যে নিজের ইচ্ছেতেই সে বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছে এবং ওই যুবকের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে৷

ওই নাবালিকা আরও জানায় যে ওই যুবক তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং সেই কারণেই নিজের বাড়ি থেকে সোনা এবং নগদ চুরি করে নিয়ে এসেছিল সে৷

ওই নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতেই নীতীন ধাবেরও নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহ একাধিক ধারা এবং পকসো আইনে মামলা করে পুলিশ৷ এর পর জামিন পাওয়ার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই যুবক৷

Delhi High Court: স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ তুলেই বন্ধ করা যাবে না অন্তর্বর্তীকালীন ভরণ-পোষণ; জানাল দিল্লি হাইকোর্ট

নয়াদিল্লি: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ তুলে স্ত্রীকে তাঁর অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। স্পষ্ট জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট।

সম্প্রতি একটি মামলার প্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে, শুধুমাত্র বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ তুলেই গার্হস্থ্য হিংসা আইন ২০০৫-এর অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধা থেকে স্ত্রীকে বঞ্চিত করা যাবে না।

বিচারপতি অনুপকুমার মেন্দিরাত্তা এক ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেছেন। ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে ভরণ-পোষণ দিতে অস্বীকার করে নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন হাইকোর্টে। জানা গিয়েছে, ট্রায়াল কোর্ট রায় দিয়েছিল স্ত্রীর বাড়ি ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে ৬,০০০ টাকা, মাসিক অন্তর্বর্তীকালীন ১১,৪৬০ টাকা এবং দুই নাবালিকা কন্যার খরচ বাবদ ৯,৮০০ টাকা দিতে হবে।

আরও পড়ুন– পৌষ সংক্রান্তির আগেই হু হু করে নামছে পারদ! আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জেনে নিন

কিন্তু ওই ব্যক্তি স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে থাকার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলাটি খারিজের দাবিও করেন।

সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে আদালত বলেছে, নিম্ন আদালতের দেওয়া খোরপোষ সংক্রান্ত আদেশে হস্তক্ষেপ করার কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ নেই।

আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, রেকর্ড অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি বাড়ি বিক্রি করে স্ত্রী ও সন্তানকে বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন। কোনও ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা না করেই তাঁদের ভাড়া বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আদালত বলেছে, প্রাথমিক ভাবে স্বামীর আচরণ ও কাজকর্ম দেখে ‘গার্হস্থ্য হিংসার’ মামলাই করা উচিত। কারণ, স্ত্রী আর্থিক সংস্থান থেকে বঞ্চিত ছিলেন। এই আর্থিক সংস্থান স্ত্রীর আইনি অধিকার। শুধু তাই নয়, যে বাড়িতে স্ত্রীর অধিকার রয়েছে সেই বাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগটি ডিভি অ্যাক্টের ৩ নম্বর ধারায় ‘অর্থনৈতিক অপব্যবহারের’ আওতায় পড়ে।

আরও পড়ুন– রাম মন্দির প্রসঙ্গে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন বলিউডের এই অভিনেতা; সোশ্যাল মিডিয়ায় ধেয়ে এল কটাক্ষ !

বিচারপতি মেন্দিরাট্টা আরও বলেছেন, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ এবং অনৈতিক ট্রাফিক আইনের বিধানের অধীনে ওই ব্যক্তি এফআইআর করেছেন অনেক পরে। তার আগেই স্ত্রী গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলে আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাই, শুধুমাত্র বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগের ভিত্তিতে ডিভি আইনের অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এখনও সেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সত্যতা প্রমাণিত হয়নি। রেকর্ড অনুসারে, গার্হস্থ্য হিংসা আইনের ১২ নম্বর ধারার অধীনে বিচার বাতিল করার আবেদন যুক্তিগ্রাহ্য নয়।

নিম্ন আদালত উল্লেখ করেছে ওই ব্যক্তির মাসিক আয় ছিল প্রায় ৫৭,৩০০ টাকা। আর বাইরে তাঁর ৩২,৭৩,৬৯৩ টাকার ব্যাঙ্ক ব্যালান্সও ছিল। কিন্তু স্ত্রীর কাছে নিজের এবং সন্তানদের ভরণপোষণের জন্য আয়ের কোনও উৎস ছিল না। ফলে স্বামীকেই এই ভরণ-পোষণের দায় নিতে হবে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বড়, স্পষ্ট হরফে লিখতে হবে প্রেসক্রিপশন! চিকিৎসকদের নির্দেশ দিল ওড়িশা হাইকোর্ট

ভুবনেশ্বর: জড়ানো, অস্পষ্ট লেখা নয়৷ ইংরেজিতে বড়হাতের হরফে প্রেসক্রিপশন লিখতে হবে রাজ্যের সব চিকিৎসককে৷ ওড়িশার স্বাস্থ্য দফতরকে এই মর্মেই নির্দেশিকা দিল ওড়িশা হাইকোর্ট৷ শুধু প্রেসক্রিপশন নয়, পোস্ট- মর্টেম এবং মেডিকো-লিগাল ডকুমেন্টসের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ মানতে হবে চিকিৎসকদের৷

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রেসক্রিপশনে থাকা চিকিৎসকদের হাতের লেখা বুঝতে অসুবিধা হয় সাধারণ মানুষের৷ এমন কি, অনেক ক্ষেত্রে তো চিকিৎসকদের হাতের লেখা বুঝতে না পেরে ভুল ওষুধ বিক্রি করার ঘটনাও ঘটে৷ ওষুধের ডোজ বা কতবার খেতে হবে, সেই সংক্রান্ত পরামর্শ বুঝতেও অসুবিধা হয় রোগী এবং তাঁদের পরিবারের৷

ডেঙ্কানল জেলার হিন্দোলের বাসিন্দা রসানন্দ ভয় নামে এক ব্যক্তির করা আবেদনের ভিত্তিতেই এই নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা হাইকোর্ট৷ সাপের কামড়ে বড় ছেলের মৃত্যুর পর আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি৷ আবেদন খতিয়ে দেখেই চিকিৎসকদের স্পষ্ট হরফে প্রেসক্রিপশন লেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট৷ যাতে প্রেসক্রিপশনে লেখা ওষুধের নাম সহজেই বোঝা যায়৷

আরও পড়ুন: ‘কুণাল ঘোষের সঙ্গে বেশ বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে’, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যে তুঙ্গে শোরগোল

এই নির্দেশ দিতে গিয়ে ওড়িশা হাইকোর্টের বিচারপতি এস কে পানিগ্রাহি মন্তব্য করেন, অধিকাংশ চিকিৎসকই আঁকা বাঁকা অথবা জড়ানো হরফে প্রেসক্রিপশন অথবা অন্যান্য নথি লেখেন৷ ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিচার ব্যবস্থার পক্ষে সেই হাতের লেখা বুঝতে অসুবিধা হয়৷

ওড়িশার মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্ট জানিয়েছে, অবিলম্বে এই নির্দেশিকা রাজ্যের সমস্ত চিকিৎসা কেন্দ্র, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পাঠিয়ে দিতে হবে৷ যাতে সরকারি, বেসরকারি সব চিকিৎসকের কাছেই এই নির্দেশিকা পৌঁছয়৷