মস্কো: রক্তাক্ত মস্কো। কনসার্ট হলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাল জঙ্গিরা। মৃত ৬০, আহত প্রায় ১০০। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট। কনসার্ট হলেও আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। রাশিয়ায় জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দুদিনের সফরে ভুটান গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকেই এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “মস্কোর জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের প্রার্থনা আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। ভারত এই শোকের মুহূর্তে রাশিয়ান ফেডারেশনের সরকার এবং জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে’।
মস্কোর এই জঙ্গি হামলার সঙ্গে অনেকেই ২৬/১১-এর মিল পাচ্ছেন। শুক্রবার গভীর রাতে সেনা পোশাকে ক্রকাস সিটির কনসার্ট হলে ঢুকে পড়ে ২ থেকে ৫ জন সশস্ত্র জঙ্গি। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই চলতে থাকে এলোপাথাড়ি গুলি। হলে ‘পিকনিক’ রক ব্যান্ডের অনুষ্ঠান ছিল। এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স।
‘রিয়া নাভোস্তি’-র এক সাংবাদিক জানান, হলে ঢুকেই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। গ্রেনেড এবং অগ্নিসংযোগকারী বোমাো ছোঁড়ে। চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি বিবৃতিতে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট। তবে রাশিয়া এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি দিমিত্রি মেদভেদভ বলেছেন, “ইউক্রেনের নেতাদের যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে ওঁদের ধ্বংস করা হবে”।
Congress?s Mallikarjun Kharge condemns ?dastardly terrorist attack? in Moscow
Read @ANI Story | https://t.co/iMwmqVEi9G#MallikarjunKharge #MoscowAttack #Russia pic.twitter.com/HYx4Wgolqx
— ANI Digital (@ani_digital) March 23, 2024
জঙ্গি হামলার পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মস্কোর উত্তরাঞ্চলে ক্রাসনোগর্স্ক শহরের ক্রকাস সিটি কনসার্ট হল। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। কর্তৃপক্ষ রাশিয়ান নিউজ আউটলেটকে জানিয়েছে, দমকল কর্মীরা হলের বেসমেন্ট থেকে প্রায় ১০০ জনকে উদ্ধার করেছে। পিকনিক রক ব্যান্ডের সদস্যদের উদ্ধার করা হয়েছে। জঙ্গিরা একটা ভ্যানে চেপে পালিয়ে যায়, এখনও পর্যন্ত কাউকে ধরা যায়নি।
কনসার্ট হলে জঙ্গি হামলার পরে রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন উপ-প্রধানমন্ত্রী তাতায়ানা গোলিকোভা। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন”। পুতিন জঙ্গি হামলা নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি।
আমেরিকা ‘ভয়াবহ’ জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছে। তবে জানিয়েছে, এর সঙ্গে ইউক্রেনের কোনও যোগ নেই। ইউক্রেন আবার এই ঘটনায় ‘রাশিয়ান স্পেশাল সার্ভিস’-এর ঘাড়ে দায় চাপিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, এটি “রুশ সমাজে ইউক্রেন বিরোধী উন্মাদনায় ইন্ধন যোগাতে ক্রেমলিনের পরিকল্পিত উস্কানি”।