নয়াদিল্লি: গ্রামীণ ভারতে ডিজিটাল পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিল গেটসের সঙ্গে কথোপকথনে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মোদি বলেছেন, “ভারতে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে মহিলারা অনেক বেশি তৎপর”।
বিল গেটস বলছিলেন, প্রযুক্তি সবার জন্য উপলব্ধ হওয়া উচিত। তখনই ‘ড্রোন দিদি’ প্রকল্পের কথা বলেন মোদি। তিনি জানান, গ্রামের মহিলারা শুধু মাঠে গরু চরাবেন বা দুধ বিক্রি করবেন কেন! তাঁরা ড্রোন-ও ওড়াবেন। ‘ড্রোন দিদি” প্রকল্প বিস্তারে ব্যাখ্যাও করেন প্রধানমন্ত্রী। বিল গেটসকে বলেন, “এক মহিলা খুব খুশি। তিনি বলেছিলেন, আমি সাইকেল চালাতেও জানি না। কিন্তু আজ ড্রোন উড়িয়ে আমি পাইলট”।
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে সব বুথেই ওয়েব কাস্টিং? তৈরি হচ্ছে রিপোর্ট, বেনজির সিদ্ধান্তের পথে কমিশন
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিশ্বের সামনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসছে বলে বিল গেটসকে বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে এআই-এর গুরুত্বও রয়েছে। এর জন্য ব্যাপক প্রশিক্ষণে জোর দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স উৎপাদিত কনটেন্টে ‘ওয়াটারমার্ক’ দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন মোদি, যাতে সহজেই আলাদা করা যায়। কথোপকথনের সময় বিল গেটসকে মোদি নমো অ্যাপে এআই প্রযুক্তির ব্যবহারও দেখান।
আরও পড়ুন: আরও কাছে! উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের দূরত্ব কমল ১০০ কিমি! অসম্ভব কাজটা কীভাবে হল জানেন?
ডিপফেক নিয়ে তোলপাড় গোটা বিশ্ব। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তো বটেই, রাজনৈতিক নেতারাও ডিপফেকের শিকার। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারণা করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই ধরনের কনটেন্ট লেবেল করা উচিত। পাশপাশি এর সোর্সও জানাতে হবে। অনেক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞই আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের নিয়ন্ত্রণে আইন আনার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এদিন মোদির মুখেও শোনা যায় একই কথা। বিল গেটসকে মোদি জানিয়েছেন, এআই ও ডিপফেক প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে তিনি সুবিবেচিত আইন কাঠামো প্রতিষ্ঠার পক্ষে।
মোদি বলেন, “শুধু প্রযুক্তি বা পরিষেবায় মন দেবার বদলে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত আমাদের”। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “স্বাস্থ্য, কৃষি ও শিক্ষার মতো ক্ষেত্রে আমরা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। যেমন ভারতের গ্রামে ২ লাখ আরোগ্য মন্দির হেলথ সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে সেরা হাসপাতালগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে সেই সব সেন্টার”।