পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। সঙ্গে করছাড়ও মেলে। এই কারণেই অবসরকালীন সঞ্চয় স্কিম হিসেবে পিপিএফ এত জনপ্রিয়। তাছাড়া সরকার সমর্থিত হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।সবচেয়ে বড় কথা, পিপিএফ বিনিয়োগকে ই-ই-ই ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। মানে বিনিয়োগ, সুদ এবং ম্যাচিউরিটির পরিমাণ সম্পূর্ণ করমুক্ত। পিপিএফে বার্ষিক ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে কর ছাড় পাওয়া যায়। তবে এই বিনিয়োগ আরও বাড়ানো যায়। শুধু তাই নয়, দ্বিগুণ সুদের সুবিধাও পেতে পারেন বিনিয়োগকারী। কীভাবে?পিপিএফে বিনিয়োগ দ্বিগুণ হয় কীভাবে: পিপিএফে আয়করের ধারা ৮০সি-র অধীনে বার্ষিক ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে কর ছাড় পাওয়া যায়। বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমাও ১.৫ লাখ টাকা।বিনিয়োগকারী বছরে ১২ বার টাকা জমা দিতে পারেন। কিন্তু বিবাহিত বিনিয়োগকারীরা যদি নিজের অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি স্ত্রীর নামেও একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন তাহলে এক আর্থিক বছরে তিনি দ্বিগুণ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। পাশাপাশি উভয় অ্যাকাউন্টে সুদও মিলবে দ্বিগুণ।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য বিনিয়োগ বিকল্পের পরিবর্তে স্ত্রী বা জীবনসঙ্গীর নামে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা লাভজনক। কারণ বিনিয়োগকারীর কাছে দুটি বিকল্প থাকবে। নিজের অ্যাকাউন্ট এবং স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে মোট ৩ লাখ টাকা জমা করতে পারবেন বিনিয়োগকারী।এই দুই অ্যাকাউন্টে আলাদা আলাদা সুদও পাওয়া যাবে। তবে যে কোনও একটা অ্যাকাউন্টেই করছাড়ের সুবিধা পাওয়া যাবে। ই-ই-ই ক্যাটাগরি হওয়ায় সুদ এবং ম্যাচিউরিটির পরিমাণের উপর করছাড়ও পাবেন।আয়করের ধারা ৬৪-র অধীনে স্ত্রীর পাওয়া উপহার বা টাকা স্বামীর আয়ের সঙ্গে যোগ হয়। এটাকে বলা হয় ‘ক্লাবিং’। তবে পিপিএফ ই-ই-ই ক্যাটাগরি হওয়ায় সম্পূর্ণ করমুক্ত। ক্লাবিং এতে লাগু হয় না। ফলে ম্যাচিউরিটির সময় স্ত্রীর পিপিএফ অ্যাকাউন্টে স্বামীর প্রাথমিক বিনিয়োগ থেকে আয়ের সঙ্গে বছরের পর বছর যোগ হবে।বিবাহিতরা পিপিএফ অ্যাকাউন্টে দ্বিগুণ অবদান রাখতে পারবেন। বলে রাখা ভাল, পিপিএফ অ্যাকাউন্টের মেয়াদ ১৫ বছর। অকাল প্রত্যাহারে জরিমানা দিতে হয়।