কলকাতা: ১৫ বছরের বাণিজ্যিক গাড়ি বাতিল KMA এলাকায়, কলকাতা মহামান্য উচ্চ আদালতের রায়ে ২০০৯ জুলাই। ২০০৯ সালে কলকাতার মহামান্য উচ্চ আদালতের রায়ে ১৫ বছরের বয়সসীমার উপরে বাণিজ্যিক গাড়ি বাতিল হয়েছিল। আবার সেই ২০২৪। এইমুহূর্তে একটি জিজ্ঞাসা, ১৫ বছরের বয়সের উপরে গাড়ি বাতিল কেবলমাত্র কলকাতা না ভারতবর্ষের অন্য রাজ্যের জন্য এই নিয়ম বলবৎ হয়েছে, প্রশ্ন তুলছেন বাস মালিকরা।
সূত্রের খবর, এই নিয়ম অনেক রাজ্যে আর সেভাবে নেই৷ বাস মালিক সংগঠনের নেতা তপন বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা দূষণমুক্ত সমাজ চাই, কিন্তু তার জন্য একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক পরিকল্পনা ও পরিকাঠামো দরকার। পরিকল্পনা ও পরিকাঠামো ঠিকমতো না করে ভারতের মতো একটি দেশে এই ভাবে কেবলমাত্র ব্যাণিজিক গাড়ি বাতিল করে দূষণ মুক্ত সমাজ করা যেতে পারে না।’’
তিনি উল্লেখ করেছেন, বিগত দিনে এই দূষণকে কীভাবে আয়ত্তে আনা যায় তার জন্য জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট পরিবেশবিদ ও দূষণ নিয়ে যারা ভাবেন তাদেরকে নিয়ে একাধিক সেমিনার করেছে। কখনও পরিবেশবিদ চির দত্ত, সুজয় বসু, আবার কখনও বিচারপতি ভগবতী প্রসাদ ব্যানার্জি মহাশয়দের মতো মানুষদের নিয়ে ও পুলিশের আধিকারিকদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বার বার সেখান থেকে উঠে এসেছে, দূষণ যদি আয়ত্তে আনা যায় একটি সম্পূর্ণ গাড়ি কেন বাতিল হবে? অপরিশোধিত ডিজেল থেকে দূষণ হয়। সুতরাং বিজ্ঞান ভিত্তিক বিবেচনা করিলে একটি সম্পূর্ণ গাড়ি বাতিল করিতে হয় না, বলে দাবি তপনের।
তাঁর দাবি, দূষণ কেবলমাত্র গাড়ি থেকেই না, রাস্তার দু’পাশে দেখা যায়৷ প্রচুর দোকান যারা জেনারেটরের মাধ্যমে এবং অনেকে স্টোভ ব্যাবহার করেন ব্যবসার জন্য, এখানে কাটা তেল ব্যাবহার হয়। দূষণ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে না বাতাসের সাথে ঘুরতে থাকে, সুতরাং এই সার্বিক বিষয় গুলো পুনরায় মাননীয় আদালতের কাছে আবেদন এই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করাবার জন্য।
তিনি জানান, এই বিষয়টি ২০০৭ সাল থেকে তাঁরা একদিকে আইনের আশ্রয় নিয়ে, আবার অন্যদিকে পরিবেশবিদদের নিয়ে একাধিকবার আলোচনা করেছেন। বাসমালিক সংগঠন নেতা তপন বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমরা রাজ্যসরকারের কাছে আবেদন করেছি, Covid 19 এর সময় যে গাড়ি গুলো ৩ বছরের মতো ঠিক মতো চলতে পারে নি তাদের বয়স সীমা ২ বছর বারিয়ে দেওয়া হোক। আর কিছু দিনের মধ্যেই দেখা যাবে সেই ২০০৯ দৃশ্য, আমরা চাইনা, মানুষ ও চায় না।’’