কলকাতা: আরজি করে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য।হাসপাতাল থেকে দেহ নিয়ে বেরোনোর সময় মৃতদেহ আটকে দেওয়া হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল এবং বামনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁরা দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান, উপস্থিত ছিল বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপিও। তারও জুনিয়র ডাক্তারের দেহ ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় বাম এবং বিজেপির। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানো হয় দেহ নিয়ে যাওয়ার সময়। পড়ুয়াদের তরফে মোমবাতি মিছিলও করা হয়। ঘটনাচক্রে, বিজেপি এই বিষয় নিয়ে প্রথম থেকেই অভিযোগ করেছে যে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। একই অভিযোগ করা হয়েছে ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকেও।
প্রসঙ্গত, মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা ওই পড়ুয়ার দেহের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতচিহ্ন ছিল। পরনের পোশাক নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়। পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের পরে খুন করা হয়েছে তাঁকে। পরিবারের সদস্যরা ইতিমধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছেছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ডিন অব স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার বুলবুল মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত এই তদন্ত কমিটি।
আরও পড়ুন: অন্তিমযাত্রা সম্পন্ন, দীনেশ মজুমদার ভবন থেকে এনআরএসে বুদ্ধদেবের দেহ
জানা গিয়েছে, ৩৬ ঘণ্টা টাকা ডিউটির পরে বিশ্রাম নিতে এবং পড়াশোনার জন্য সেমিনার রুমে গিয়েছিলেন ওই মেডিক্যাল পড়ুয়া। তাঁর আগে জুনিয়রদের সঙ্গে বসে রাতের খাবার খান রাত দু’টো নাগাদ। ওই ছাত্রী যাদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেছিলেন, শেষ সময় পর্যন্ত যাদের সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের বয়ান রেকর্ড করবে পুলিশ। এমনকি কে কে ছিলেন গতকাল ডিউটিতে, সেই বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে যদিও কোনও সিসি ক্যামেরা মেলেনি।