Tag Archives: Jagannath

Puri Jagannath Mandir: পুরী জগন্নাথ মন্দিরে রত্ন ভাণ্ডারে বিরাট প্রাপ্তি! খুলতেই মিলল অতি দুর্লভ এই জিনিস, নিজের চোখে দেখেও বিশ্বাসই করতে পারলেন না অনেকে

প্রায় ৪৬ বছর পরে গত রবিবার পুরী জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার খুলেছেন সরকারি কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা। আর সেই সময় রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরের কক্ষে অমূল্য ধাতু দিয়ে তৈরি কিছু প্রাচীন মূর্তির দেখা মিলেছে।
প্রায় ৪৬ বছর পরে গত রবিবার পুরী জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার খুলেছেন সরকারি কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা। আর সেই সময় রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরের কক্ষে অমূল্য ধাতু দিয়ে তৈরি কিছু প্রাচীন মূর্তির দেখা মিলেছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, এই ধরনের ৫ থেকে ৭টি সামগ্রীর আবার উল্লেখ ছিল না আগের বর্ণনামূলক তালিকায়। আর বছরের পর বছর ধরে ওই সামগ্রীগুলি প্রায় কালো হয়ে গিয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, এই ধরনের ৫ থেকে ৭টি সামগ্রীর আবার উল্লেখ ছিল না আগের বর্ণনামূলক তালিকায়। আর বছরের পর বছর ধরে ওই সামগ্রীগুলি প্রায় কালো হয়ে গিয়েছে।
রত্ন ভাণ্ডারে কী কী রয়েছে, তা দেখার জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ রথ। তিনি বলেন যে, বিগত প্রায় ৪ বছর ধরে এই প্রাচীন ছোট্ট মূর্তিগুলি প্রায় কালো হয়ে গিয়েছে। রথ টাইমস অফ ইন্ডিয়ার কাছে বলেন, সঙ্গে সঙ্গে কমিটির সদস্যরা একটি প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে মূর্তিগুলির আরাধনা করেন।
রত্ন ভাণ্ডারে কী কী রয়েছে, তা দেখার জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ রথ। তিনি বলেন যে, বিগত প্রায় ৪ বছর ধরে এই প্রাচীন ছোট্ট মূর্তিগুলি প্রায় কালো হয়ে গিয়েছে। রথ টাইমস অফ ইন্ডিয়ার কাছে বলেন, সঙ্গে সঙ্গে কমিটির সদস্যরা একটি প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে মূর্তিগুলির আরাধনা করেন।
১৮ জুলাই এই মূর্তিগুলিকে একটি অস্থায়ী দুর্ভেদ্যপ্রকোষ্ঠে স্থানান্তরিত করা হবে। এর পাশাপাশি মূর্তিগুলির ওজন এবং সেগুলি নির্মাণ সংক্রান্ত বিশদ বিবরণ একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তালিকার পরেই নির্ধারণ করা হবে।
১৮ জুলাই এই মূর্তিগুলিকে একটি অস্থায়ী দুর্ভেদ্যপ্রকোষ্ঠে স্থানান্তরিত করা হবে। এর পাশাপাশি মূর্তিগুলির ওজন এবং সেগুলি নির্মাণ সংক্রান্ত বিশদ বিবরণ একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তালিকার পরেই নির্ধারণ করা হবে।
সেবাইতরা মনে করেন যে, এই মূর্তিগুলি আগে ভাণ্ডার পরিচালকদের দ্বারা সম্মানিত হত। বহু সময় আগে সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করতেন এই ভাণ্ডার পরিচালকেরা। ওই টিমের সদস্যরা স্বীকার করে নিয়েছেন যে, অভ্যন্তরীণ প্রকোষ্ঠের অন্দরে এবং আলমারিতে কী কী সামগ্রী রাখা রয়েছে, সেই বিষয়ে তাঁদের কোনও ধারণাই নেই।
সেবাইতরা মনে করেন যে, এই মূর্তিগুলি আগে ভাণ্ডার পরিচালকদের দ্বারা সম্মানিত হত। বহু সময় আগে সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করতেন এই ভাণ্ডার পরিচালকেরা। ওই টিমের সদস্যরা স্বীকার করে নিয়েছেন যে, অভ্যন্তরীণ প্রকোষ্ঠের অন্দরে এবং আলমারিতে কী কী সামগ্রী রাখা রয়েছে, সেই বিষয়ে তাঁদের কোনও ধারণাই নেই।
অভ্যন্তরীণ প্রকোষ্ঠে নানা প্রকার মূল্যবান সামগ্রী রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হল লকেট, রুপোলি সিংহাসন, ব্রেসলেট, হিরে এবং মুক্তো খচিত নেকলেস, স্বর্ণ খচিত ময়ূর চন্দ্রিকা, সোনা এবং বাঘের নখ, সোনার পুষ্পস্তবক, স্বর্ণ চাকা, স্বর্ণ পুষ্প এবং সোনার মোহর (মুদ্রা)।
অভ্যন্তরীণ প্রকোষ্ঠে নানা প্রকার মূল্যবান সামগ্রী রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হল লকেট, রুপোলি সিংহাসন, ব্রেসলেট, হিরে এবং মুক্তো খচিত নেকলেস, স্বর্ণ খচিত ময়ূর চন্দ্রিকা, সোনা এবং বাঘের নখ, সোনার পুষ্পস্তবক, স্বর্ণ চাকা, স্বর্ণ পুষ্প এবং সোনার মোহর (মুদ্রা)।
দুর্গা প্রসাদ দাসমহাপাত্র নামে এক সেবাইত ওই দলের সদস্য ছিলেন। ফলে তিনি রত্নভাণ্ডারে প্রবেশ করেছিলেন। ওই সেবাইতের বক্তব্য, বাইরের প্রকোষ্ঠের অভ্যন্তরে তাঁরা শুধু সোনা এবং রুপোর সামগ্রীর হদিশই পেয়েছেন। প্রসঙ্গত দেবতাদের সুবিধার জন্য বার্ষিক উৎসবের সময় ওই ঘরটি খোলা হয়।
দুর্গা প্রসাদ দাসমহাপাত্র নামে এক সেবাইত ওই দলের সদস্য ছিলেন। ফলে তিনি রত্নভাণ্ডারে প্রবেশ করেছিলেন। ওই সেবাইতের বক্তব্য, বাইরের প্রকোষ্ঠের অভ্যন্তরে তাঁরা শুধু সোনা এবং রুপোর সামগ্রীর হদিশই পেয়েছেন। প্রসঙ্গত দেবতাদের সুবিধার জন্য বার্ষিক উৎসবের সময় ওই ঘরটি খোলা হয়।

LIVE Puri Rath Yatra 2024: জগন্নাথদেবের উল্টো রথ, সাজো সাজো রব পুরীতে! দেখুন পুরীর ছবি

উল্টোরথ। সোজা রথ থেকে ন'দিনের মাথায় আয়োজন করা হয় উল্টো রথের। উল্টো রথ উপলক্ষে শ্রীক্ষেত্র পুরীতে প্রায় ২০ লক্ষ ভক্ত সমাগম হয়েছে। একবার প্রভু কে দর্শন করে রথের দড়ি স্পর্শ করতে হাজির হয়েছেন।
উল্টোরথ। সোজা রথ থেকে ন’দিনের মাথায় আয়োজন করা হয় উল্টো রথের। উল্টো রথ উপলক্ষে শ্রীক্ষেত্র পুরীতে প্রায় ২০ লক্ষ ভক্ত সমাগম হয়েছে। একবার প্রভু কে দর্শন করে রথের দড়ি স্পর্শ করতে হাজির হয়েছেন।
সোমবার সকাল দশটার পরেই গুন্ডিচা মন্দির থেকে বলভদ্র, সুভদ্রা ও জগন্নাথ কে বের করে নিয়ে আসা হয়। পরে পুরীর রাজা এসে রথের সুচনা করে। এক এক করে রথের চাকা এগোতে থাকে প্রধান মন্দিরের দিকে।
সোমবার সকাল দশটার পরেই গুন্ডিচা মন্দির থেকে বলভদ্র, সুভদ্রা ও জগন্নাথকে বের করে নিয়ে আসা হয়। পরে পুরীর রাজা এসে রথের সূচনা করে। এক এক করে রথের চাকা এগোতে থাকে প্রধান মন্দিরের দিকে।
উল্টা রথ, বহুদা যাত্রা বা উল্টো রথ নামে পরিচিত, হল পুরী জগন্নাথ রথযাত্রার রথের প্রত্যাবর্তন যাত্রা।গুন্ডিচা মন্দির আট দিন পর। আষাঢ় মাসের সপ্তম দিনে শুরু হয় ফিরতি যাত্রার প্রস্তুতি।
উল্টা রথ, বহুদা যাত্রা বা উল্টো রথ নামে পরিচিত, হল পুরী জগন্নাথ রথযাত্রার রথের প্রত্যাবর্তন যাত্রা।গুন্ডিচা মন্দির আট দিন পর। আষাঢ় মাসের সপ্তম দিনে শুরু হয় ফিরতি যাত্রার প্রস্তুতি।
এটি জগন্নাথ রথযাত্রার সমাপ্তি চিহ্নিত করে। সুভদ্রার (দেবদালন) রথটি মাঝখানে, তার পরে পশ্চিমে বলভদ্রের (তালধ্বজা) রথ এবং সবশেষে পূর্বে জগন্নাথের (নন্দীঘোষ) রথ। মাঝখানে সুভদ্রা, ডানে জগন্নাথ এবং বামদিকে বলভদ্র। রথভোগ হল একটি বিশেষ শুকনো খাবার যা অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে পরিবেশন করা হয়।
এটি জগন্নাথ রথযাত্রার সমাপ্তি চিহ্নিত করে। সুভদ্রার (দেবদালন) রথটি মাঝখানে, তার পরে পশ্চিমে বলভদ্রের (তালধ্বজা) রথ এবং সবশেষে পূর্বে জগন্নাথের (নন্দীঘোষ) রথ। মাঝখানে সুভদ্রা, ডানে জগন্নাথ এবং বামদিকে বলভদ্র। রথভোগ হল একটি বিশেষ শুকনো খাবার যা অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে পরিবেশন করা হয়।

Ratha Yatra 2024: পুরীর পর দেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম, ৬২৮ বছরে মাহেশের রথযাত্রা

হুগলি: রবিবার ধুমধাম করে বাংলাজুড়ে পালিত হয়েছে রথযাত্রা। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে রথযাত্রা গোটা বিশ্বজুড়েই বিখ্যাত। তবে পিছিয়ে নেই বাংলা। এখানকার মাহেশের রথযাত্রার ঐতিহ্য‌ও কম নয়। এবার ৬২৮ বছর পূর্ণ করেছে এখানকার রথযাত্রা। সেই উপলক্ষে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়েছিল।

স্নান যাত্রার পর অবসর কাল কাটিয়ে রবিবার নবযৌবন লাভ করেন প্রভু জগন্নাথ। ধর্মীয় ঐতিহ্য ও প্রথা মেনে গতকাল বন্ধ গর্ভগৃহের দরজা খুলে মন্দির দালানে ভক্তদের দর্শন দেন জগন্নাথ। মাহেশের রথযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই এই সমস্ত ধর্মীয় আচার-আচরণ দেখার জন্য ভিড় বাড়তে শুরু করে। যা রথের রশিতে টান পড়ার সময় রেকর্ড জায়গায় গিয়ে পৌঁছয়।

আরও পড়ুন: দোকান থেকে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন কর্মচারী, ছুটে এসে উড়িয়ে দিল বাইক!

বিকেল পাঁচটা নাগাদ জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রাকে রথে তোলার পর প্রথম রথের রশিতে টান পড়ে। লক্ষাধিক ভক্ত সমাগমের মধ্য দিয়ে ৬২৮ বছরের মাহেশের রথযাত্রা এগিয়ে যায় মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে।

স্বপ্নাদেশে পাওয়া নিমকাঠ দিয়ে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি ছয় শতকের বেশি সময় ধরে পূজিত হয়ে আসছে মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে। খিচুড়ি, অন্ন, পায়েস এই তিন নিয়ে মাহেশ। পুরীর পর দেশের দ্বিতীয় প্রাচীন রথযাত্রা হল হুগলির শ্রীরামপুরের মাহেশ রথযাত্রা। মার্টিন বার্ন কোম্পানির তৈরি লোহার রথের বয়স ১৩৮ বছর। এটাই বর্তমানে ব্যবহৃত হয়। আগে ছিল কাঠের রথ। বর্তমানে এই রথের দেখভাল করেন কলকাতার শ্যামবাজারের বসু পরিবার। ৯ চুড়া বিশিষ্ট এই রথ ৫০ ফুট উচ্চতার। লোহার ১২ টি চাকা রয়েছে।

লক্ষাধিক ভক্ত সমাগমকে সামাল দেওয়ার জন্য রবিবার পুলিশ ও প্রশাসনের তরফ থেকে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। দুপুর থেকেই বন্ধ ছিল জিটি রোডের যান চলাচল। জিটি রোড ধরে জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রাকে নিয়ে সুসজ্জিত রথ মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে এগিয়ে যায়।

রাহী হালদার

Ratha Yatra 2024: রথে হাজার হাজার জগন্নাথ পাড়ি দেবে বর্ধমানের এই জায়গা থেকে

পূর্ব বর্ধমান: রথযাত্রা উপলক্ষ্যে বর্ধমানের নতুনগ্রামের শিল্পীদের ব্যস্ততা বর্তমানে তুঙ্গে উঠেছে। সম্পুর্ণ গ্রাম জুড়ে তৈরি হচ্ছে প্রায় ১২ হাজার জগন্নাথ। নতুনগ্রামের তৈরি এইসকল জগন্নাথ পাড়ি দেবে কলকাতা সহ আরও বিভিন্ন জায়গায়। গ্রামের প্রত্যেক শিল্পী এখন ব্যস্ত জগন্নাথ তৈরিতে। গ্রামে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই শিল্পীরা জগন্নাথ মূর্তি তৈরি করছেন। তবে শুধু পুরুষরা নয়, এই কাজে হাত লাগিয়েছেন বাড়ির বধূরাও।

প্রত্যেক বছর‌ই রথযাত্রা উপলক্ষ্যে হাজার হাজার জগন্নাথ তৈরি হয় নতুনগ্রাম জুড়ে। কাঠের জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা নিয়ে শিল্পীরা রথযাত্রার আগের দিন পাড়ি দেন বিভিন্ন জায়গায়। লক্ষ্মীলাভের আশায় সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন গ্রামের শিল্পীরা। এই প্রসঙ্গে নতুনগ্রামের শিল্পী গৌরাঙ্গ ভাস্কর বলেন, এই সময় আমরা জগন্নাথ তৈরিতে ব্যস্ত থাকি। সব বাড়িতে বাড়িতে এখন জগন্নাথ তৈরি হচ্ছে। গ্রাম জুড়ে প্রায় ১২-১৩ হাজার জগন্নাথ মূর্তি তৈরি হচ্ছে। দমদম, নাগেরবাজার, শ্রীরামপুর, গুপ্তিপাড়া, কালীঘাট সহ যেখানে রথের মেলা হয় আমরা বিভিন্ন জায়গায় এই জগন্নাথ মূর্তি নিয়ে যাই।

আরও পড়ুন: লরির ধাক্কায় উড়ে গেল বাইক চালক! ভয়ঙ্কর কাণ্ড হাওড়ার রাস্তায়

সাধারণত বর্ধমানের নতুনগ্রামে শিল্পীরা কাঠের পেঁচা, গৌর নিতাই, ফার্নিচার সহ বিভিন্ন আধুনিক জিনিসও তৈরি করেন। বর্তমানে ভাল কদর বেড়েছে এই গ্রামের শিল্পীদের। এখনকার তৈরি জিনিস এখন বিদেশেও পাড়ি দেয়। আবার অনেকসময় বিদেশীরাও আসেন বর্ধমানের এই গ্রামে। তবে বছরের অন্যান্য সময় শিল্পীরা বিভিন্ন জিনিস তৈরি করলেও রথযাত্রার আগের এই সময়টায় ব্যস্ত থাকেন জগন্নাথ মূর্তি তৈরিতে। ছোট থেকে বড় নানান মাপের মূর্তি তৈরি করেন শিল্পীরা। এই বিষয়ে নতুনগ্রামের শিল্পী সুব্রত ভাস্কর বলেন, ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকার বেশি দামের জগন্নাথ আমরা বিক্রি করি। এবার আমি ২৫ হাজার টাকার জগন্নাথ মূর্তিও তৈরি করেছি। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা তিনটে মূর্তি আমরা একটা সেট হিসেবেও বিক্রি করি। এই সময় আমাদের বিক্রি ভাল হয়। রথযাত্রার বেশ কয়েক মাস আগে থেকে আমরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিই।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Jagannath Snana Yatra: বাঁকুড়ায় উঠে এল এক টুকরো পুরী! দেখুন সেই দুর্দান্ত দৃশ্য

বাঁকুড়া: প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে প্রভু জগন্নাথ, ভাই বলভদ্র ও বোন সুভদ্রাকে হাজারো স্রোতে স্নান করানো হয়। স্নানের জন্য ১০৮ টি কলস ব্যবহার করা হয়। জলে ফুল, চন্দন, জাফরান ও কস্তুরীও মেশানো হয়। বিকেলে হাতি বেশে সাজেন জগন্নাথদেব। এই সবকিছুই হয় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। তবে এবার সেটাই হল বাঁকুড়া শহরেও।

‘জয় জগন্নাথ’ বোল তুলে একেবারে জগন্নাথ ভাবাবেগে মশগুল হয়ে উঠল বাঁকুড়া শহর। দুই হাত উপরে তুলে আধমাত্মিক রসে ডুবলেন শত শত মানুষ। বাঁকুড়া শহরের বুকেই পুরী এবং মায়াপুরের স্বাদ। ১০৮ টা কলস ব্যাবহার করে স্নান করানো হল জগন্নাথ দেবকে। বছরে একবারই স্নান করেন জগন্নাথ দেব। এই অনুষ্ঠানের নাম মহাস্নান যাত্রা। স্নান সেরে জগন্নাথ সাজবেন গজ রূপে। তারপর হবে রাজভোগ আরতি, বাজবে নহবত সানাই, যা জগন্নাথের খুবই প্রিয়। এরপরই জ্বর এসে অসুস্থ হয়ে পড়বেন প্রভু। আবার রথযাত্রার দিন সুস্থ হয়ে তিনি ভক্তদের দর্শন দেবেন।

আর‌ও পড়ুন: বছরভর জলের তলায় খেলার মাঠ, আন্দুলে আজব অবস্থা

রথযাত্রার আগে সব রীতি মেনেই ইসকনের হাত ধরে এই অনুষ্ঠান পালিত হল বাঁকুড়ার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কামারপাড়ার ইসকন অনুমোদিত শ্রী শ্রী হরে কৃষ্ণ নামহট্ট সংঘে। বাঁকুড়াতেই যেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ভাবাবেগ খুঁজে পেল মানুষ। এদিন প্রভু জগন্নাথের দর্শন লাভের জন্য উপচে পড়ল ভক্তদের ভিড়।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Jagannath Snana Yatra: প্রভু জগন্নাথের স্নানযাত্রায় ইসকনে উপচে পড়ল ভিড়

নদিয়া: প্রভু জগন্নাথের স্নানযাত্রা ধুমধামের সঙ্গে পালিত হল। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের পাশাপাশি এই বাংলার মন্দির নগরী মায়াপুরের রাজাপুর মন্দিরে মহা সমারোহে পালিত হল জগন্নাথ, বলরাম ও বোন সুভদ্রার স্নানযাত্রা উৎসব। এই উপলক্ষে ভক্তদের আগমন ছিল চোখে পড়ার মতো।

নদিয়া জেলার মায়াপুরের সবথেকে বড় উৎসব জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব। তার আগে আয়োজিত হয় এই স্নানযাত্রা। এই স্নানযাত্রা উৎসবে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহকে ডাবের জল, গঙ্গা জল, দুধ ও দই দিয়ে স্নান করানো হয় ভক্তি সহকারে। এই উপলক্ষে অসংখ্য ভক্তের সমাগম হয়েছিল মায়াপুর রাজাপুর জগন্নাথ দেবের মন্দিরে।

আর‌ও পড়ুন: চাকরির পরীক্ষায় পাশ করেও মেলেনি সুযোগ, মাদুর বুনে টিকে আছেন প্রতিবন্ধী গণেশ

কথিত আছে, এই স্নানযাত্রার পরই জগন্নাথদেব জ্বরে ক্রান্ত হন। ফলে তিনি বিশ্রামে চলে যান। পুনরায় রথযাত্রার দিন জ্বর থেকে সুস্থ হয়ে উঠে তিনি স্বমহিমায় আবির্ভূত হবেন এবং পুনরায় ভক্তদের দর্শন দেবেন। মায়াপুরের শাখা রাজাপুর জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে সুসজ্জিত রথে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা দেবীর আগমন ঘটে পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইসকন চন্দ্রোদয় মন্দিরে।

শনিবার ভোর সাড়ে চারটে থেকে মায়াপুরের শাখা কেন্দ্র মায়াপুর জগন্নাথ মন্দিরে মঙ্গল আরতি দিয়ে নান যাত্রা উৎসবের সূচনা করা হয়েছে। সারাদিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলতে থাকবে। এই মহা অভিষেকে উপস্থিত থাকতে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দেশ বিদেশের হাজার হাজার ভক্ত বৃন্দ এখানে হাজির হয়েছেন।

মৈনাক দেবনাথ

Jaganath Dev Snan Yatra Tithi and Timings: রাত পোহালেই জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা, জানুন ঠিক কোন সময়ে হবে পুজো

রথযাত্রার আগে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হল স্নানযাত্রা। আর এই দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় রথের কাউন্ট ডাউন। ১০৮ ঘড়া জলে স্নান করে গরমের পর শরীর শীতল করেন জগন্নাথ - বলরাম - সুভদ্রা। আর তারপরই প্রবল জ্বরে কাবু হন মহাপ্রভু জগন্নাথ।
রথযাত্রার আগে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হল স্নানযাত্রা। আর এই দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় রথের কাউন্ট ডাউন। ১০৮ ঘড়া জলে স্নান করে গরমের পর শরীর শীতল করেন জগন্নাথ – বলরাম – সুভদ্রা। আর তারপরই প্রবল জ্বরে কাবু হন মহাপ্রভু জগন্নাথ।
হিন্দু পঞ্জিকা মতে জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা। জগন্নাথের ভক্তদের কাছে এটি একটি বিশেষ মাহাত্ম্যপূর্ণ উৎসব। মনে করা হয় এই দিনটিই জগন্নাথের জন্মতিথি।
হিন্দু পঞ্জিকা মতে জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা। জগন্নাথের ভক্তদের কাছে এটি একটি বিশেষ মাহাত্ম্যপূর্ণ উৎসব। মনে করা হয় এই দিনটিই জগন্নাথের জন্মতিথি।
পুরীতে স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে কলসি কলসি জল ঢেলে স্নান করানো হয়ে থাকে। জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার দৃশ্য চাক্ষুস করতে এই সময় পুরীতে বহু মানুষ ভিড় করেন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা দর্শন করা হলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি মেলে।
পুরীতে স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে কলসি কলসি জল ঢেলে স্নান করানো হয়ে থাকে। জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার দৃশ্য চাক্ষুস করতে এই সময় পুরীতে বহু মানুষ ভিড় করেন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা দর্শন করা হলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি মেলে।
স্নানযাত্রা উপলক্ষে এই সময় অসংখ্য ভক্ত পুরীর মন্দিরে দর্শনে যান। স্কন্দ পুরাণ অনুসারে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে জগন্নাথ দেবের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার পরেই প্রথম বার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
স্নানযাত্রা উপলক্ষে এই সময় অসংখ্য ভক্ত পুরীর মন্দিরে দর্শনে যান। স্কন্দ পুরাণ অনুসারে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে জগন্নাথ দেবের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার পরেই প্রথম বার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
স্নানযাত্রার আগের দিন জগন্নাথ, বলভদ্র বা বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহের একটি বিশাল শোভাযাত্রা মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বার করে স্নানবেদীতে এনে রাখা হয়। এছাড়া তাঁদের সঙ্গে থাকে সুদর্শন চক্র। মদনমোহনের ভক্তেরা এই সময় জগন্নাথ দেবকে দর্শন করতে আসেন।
স্নানযাত্রার আগের দিন জগন্নাথ, বলভদ্র বা বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহের একটি বিশাল শোভাযাত্রা মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বার করে স্নানবেদীতে এনে রাখা হয়। এছাড়া তাঁদের সঙ্গে থাকে সুদর্শন চক্র। মদনমোহনের ভক্তেরা এই সময় জগন্নাথ দেবকে দর্শন করতে আসেন।
২২ জুন। এদিন জগন্নাথ,বলরাম ও সুভদ্রা, তিন ভাইবোনেরই সাড়ম্বরে স্নানযাত্রা হবে। সকাল ৭টা ৩২ মিনিট তিথিতে পড়ছে পূর্ণিমা। ২২ জুন সকাল ৬টা ২২ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে তিথি। যেহেতু ২২ জুন সূর্যোদয় পাওয়া যাচ্ছে, তাই স্নান যাত্রা পালন হবে শনিবারই।
২২ জুন। এদিন জগন্নাথ,বলরাম ও সুভদ্রা, তিন ভাইবোনেরই সাড়ম্বরে স্নানযাত্রা হবে। সকাল ৭টা ৩২ মিনিট তিথিতে পড়ছে পূর্ণিমা। ২২ জুন সকাল ৬টা ২২ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে তিথি। যেহেতু ২২ জুন সূর্যোদয় পাওয়া যাচ্ছে, তাই স্নান যাত্রা পালন হবে শনিবারই।
দীর্ঘগরমে ভক্তকূলের মতোই কষ্ট পান জগন্নাথ। সঙ্গে মাথা ধরে। তাই গ্রীষ্মকালে তাঁর কপালে চন্দনের প্রলেপ দেওয়া হয়, যাকে বলে চন্দন উৎসব। বর্ষাগমনের শুরুতেই স্নানযাত্রা। এদিন মনের সুখে প্রতিবছর স্নান করেন তিন ভাইবোন। আর এত স্নান করলে শরীর খারাপ তো হবেই।
দীর্ঘগরমে ভক্তকূলের মতোই কষ্ট পান জগন্নাথ। সঙ্গে মাথা ধরে। তাই গ্রীষ্মকালে তাঁর কপালে চন্দনের প্রলেপ দেওয়া হয়, যাকে বলে চন্দন উৎসব। বর্ষাগমনের শুরুতেই স্নানযাত্রা। এদিন মনের সুখে প্রতিবছর স্নান করেন তিন ভাইবোন। আর এত স্নান করলে শরীর খারাপ তো হবেই।
মানুষের বিশ্বাস, ভগবান ঘড়া ঘড়া জলে স্নান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রুদ্ধদ্বারে চলে তাঁর চিকিৎসা । এরপর আরোগ্য লাভ করে দরজা খোলে তাঁর । এ সময় ১৫ দিনের জন্য দোর দেন ভক্তের ভগবান।
মানুষের বিশ্বাস, ভগবান ঘড়া ঘড়া জলে স্নান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রুদ্ধদ্বারে চলে তাঁর চিকিৎসা । এরপর আরোগ্য লাভ করে দরজা খোলে তাঁর । এ সময় ১৫ দিনের জন্য দোর দেন ভক্তের ভগবান।
ঈশ্বরের এই দর্শনগুলিকে বলা হয় নব যুব দর্শন ও চক্ষু উৎসব এটা কে বলে আর নেত্রোৎসবের পরের দিনই পালিত হয় জমকালো জগন্নাথ রথযাত্রা উৎসব।
ঈশ্বরের এই দর্শনগুলিকে বলা হয় নব যুব দর্শন ও চক্ষু উৎসব এটা কে বলে আর নেত্রোৎসবের পরের দিনই পালিত হয় জমকালো জগন্নাথ রথযাত্রা উৎসব।