প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরোলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা৷ ৬টা ৪০ মিনিটে কালীঘাটে শুরু হয়েছিল বৈঠক। ডাক্তারদের তরফে আশফাকুল্লা নাইয়া জানান, ‘পুলিশ কমিশনারের বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার পদত্যাগের বিষয়ে রাজি হয়েছেন। তবে তবে স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণ নিয়ে এখনো সমস্যা রয়েছে।’ কর্মবিরতি তোলা নিয়ে কিছু বলেননি চিকিৎসকরা।কয়েকটি দাবিতে মতপার্থক্য রয়েছে। তবে বিস্তারিত তাঁরা ধরনামঞ্চে গিয়েই বলবেন।
সোমবার সকালেই মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকের ডাক পেয়েছেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তরােরা। সব মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে পোঁছন তাঁরা। তবে এবারেও ছিল শর্ত। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে মুখ্যসচিবকে মেইল করা হয় ৩টে ৫৩ মিনিটে। সেখানে জানানো হয়, ভিডিওগ্রাফি করতে হবে অথবা ভিডিও রেকর্ড করে তার কপি মিটিং শেষ হওয়ার মাত্রই ছাত্রদের দিতে হবে অথবা সমস্ত মিটিংয়ের বিবরণ দুপক্ষের সই-সহ তুলে দিতে হবে।
রাজ্যের তরফ থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে পাল্টা মেইল করে জানানো হয়, জুনিয়র ডাক্তারদের যে তৃতীয় শর্ত, সেটা মেনেই বৈঠক হবে।অর্থাৎ মিটিংয়য়ের কার্যবিবরণী বা মিনিটসে দুপক্ষের সই থাকবে বলে জানানো হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারেরা তাঁরা কার্য বিবরণী লেখার লোক নিয়ে যান। সকলে সই করার পর সেটা তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এক ঘণ্টা পরে সিজিও থেকে বের হলেন টালা থানার ওসির স্ত্রী! ‘আমাদের তলব করেনি…’ দাবি আইনজীবীর
সোমবার সকালেই আন্দোলনকারীদের ফের ডাকা হয় বৈঠকে। সোমবার বিকাল ৫টায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠক হবে। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের তরফ থেকে ইমেল পান জুনিয়র ডাক্তারেরা। জানানো হয়, সরকারের তরফ থেকে এটিই ‘পঞ্চম এবং শেষ চেষ্টা’।