মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশের উপরেই আস্থা রাখছে নিহত চিকিৎসকের পরিবার৷

R G Kar murder update: মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশের উপরই এখনও আস্থা! সন্দেহের তালিকায় কারা, মুখ খুললেন নির্যাতিতার বাবা

সুুবীর দে, সোদপুর: সোমবার দুপুরেই উত্তর চব্বিশ পরগণার সোদপুরে আর জি করের নিহত ডাক্তারি পড়ুয়ার বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে নির্যাতিতার বাবা মা এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি৷ এর পরেই কলকাতা পুলিশকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, সাত দিনের মধ্যে কিনারা না হলে আর জি কর কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআই-কে দেওয়া হবে৷

মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মুখ খুললেন আর জি কর কাণ্ডে নিহত মহিলা চিকিৎসকের বাবা৷ সোমবার রাতে তিনি বলেন, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর উপরে পূর্ণ আস্থা রেখেছি। বিভিন্ন সংগঠন থেকে আসা মানুষের কাছে আমরা একটাই দাবি রেখেছি, আমরা ন্যায় বিচার চাই। ডাক্তার থেকে শুরু করে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ যাঁরাই এসেছেন, আমরা একই কথা বলেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে তাঁরা বলেছেন,এটা একজনের কাজ নয়। পুলিশ তদন্ত করছে। পুলিশের উপরে আস্থা রেখেছি।’

আরও পড়ুন: বিতর্কিত সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যালেও আপত্তি! গেট পাহারায় পড়ুয়ারা, ঘরে তালা

কিন্তু মেয়ের এই নৃশংস পরিণতির জন্য কাকে বা কাদের সন্দেহ করছেন তাঁরা? নিহত চিকিৎসকের বাবা চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে বলেন, ‘আর জি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টে যারা রয়েছে, তাদেরকেই আমরা সন্দেহের তালিকায় রেখেছি৷’

সোমবার সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই মামলাটা ফাস্টট্র্যাক কোর্টে তুলব যাতে দ্রুত বিচার হয়৷ দোষীর ফাঁসি চাওয়া হবে৷ কিছু লোক এখনও সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যে আছে৷ মেয়েদের গায়ে হাত দেওয়া যে কত বড় অপরাধ, তার উপর এরকম অত্যাচার করেছি৷ ওখানে নার্সরা ছিলেন, হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরা ছিলেন, তার পরেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল আমি এখনও বুঝতে পারছি না৷’

এর পরেই পুলিশকে সময় বেঁধে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ‘ওঁর (নিহত চিকিৎসক) বাবা মা আমাকে বললেন ভিতরের কেউ জড়িত আছে৷ যদি তাই হয় ওঁর বন্ধুবান্ধব সহ যাদের উপরেই সন্দেহ হচ্ছে তাঁদের ডেকে কথা বলা হবে৷ যিনি প্রথম বাড়িতে ফোন করে খবর দিয়েছিলেন, তাকেও ডাকা হবে৷ আমি চাই পুলিশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তদন্ত শেষ করুক৷ তার পরেও যদি রবিবার পর্যন্ত যদি তাঁরা কুলকিনারা করতে না পারেন, তাহলে এই কেসটা আমরা সিবিআইকে দিয়ে দেব৷ কারণ ভিতরেরও তো অনেকে আছে৷ আমি প্রথম থেকেই বলছি, এখানে আমাদের লেনাদেনা কিছু নেই৷’