বর্তমানে ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-এর সিজন ২-এ ভক্তদের মন জয় করছেন কমেডি কিং কপিল শর্মা। সুনীল গ্রোভার, কিকু শারদা এবং অন্যান্যদের সঙ্গে দর্শকদের আনন্দ দিচ্ছেন তিনি। কেরিয়ারের প্রথম দিকে এই তারকা কীভাবে লড়াই করেছেন, সেই বিষয়ে বেশিরভাগ মানুষই অবগত নন। দারিদ্র্য থেকে সরাসরি খ্যাতির শীর্ষে - কীভাবে তিনি পৌঁছেছেন, সেটাই আজ দেখে নেওয়া যাক।

Kapil Sharma: এক সময় মাসিক আয় ছিল মাত্র ৫০০ টাকা, সেখান থেকে আজ ৩০০ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তির মালিক! রীতিমতো তাক লাগাবে কপিল শর্মার সাফল্যের জয়যাত্রা

বর্তমানে ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-এর সিজন ২-এ ভক্তদের মন জয় করছেন কমেডি কিং কপিল শর্মা। সুনীল গ্রোভার, কিকু শারদা এবং অন্যান্যদের সঙ্গে দর্শকদের আনন্দ দিচ্ছেন তিনি। কেরিয়ারের প্রথম দিকে এই তারকা কীভাবে লড়াই করেছেন, সেই বিষয়ে বেশিরভাগ মানুষই অবগত নন। দারিদ্র্য থেকে সরাসরি খ্যাতির শীর্ষে - কীভাবে তিনি পৌঁছেছেন, সেটাই আজ দেখে নেওয়া যাক।
বর্তমানে ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-এর সিজন ২-এ ভক্তদের মন জয় করছেন কমেডি কিং কপিল শর্মা। সুনীল গ্রোভার, কিকু শারদা এবং অন্যান্যদের সঙ্গে দর্শকদের আনন্দ দিচ্ছেন তিনি। কেরিয়ারের প্রথম দিকে এই তারকা কীভাবে লড়াই করেছেন, সেই বিষয়ে বেশিরভাগ মানুষই অবগত নন। দারিদ্র্য থেকে সরাসরি খ্যাতির শীর্ষে – কীভাবে তিনি পৌঁছেছেন, সেটাই আজ দেখে নেওয়া যাক।
আদতে অমৃতসরের বাসিন্দা কপিল শর্মা। সেখান থেকেই স্কুলের পাঠ শেষ করেন তিনি। প্রথমে কমার্শিয়াল আর্টস এবং কম্পিউটার্স নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপরে নিজের খরচ চালানোর জন্য কলেজ পড়ুয়াদের থিয়েটারের পাঠ দিতেন কপিল। কিন্তু পুলিশবাহিনীতে কর্মরত বাবার মৃত্যুর পরে সংসারের একমাত্র রোজগেরে হয়ে ওঠেন তিনি। প্রসঙ্গত, কপিল শর্মার এক দাদা রয়েছেন। যিনি নিজেও পুলিশবাহিনীতে রয়েছেন। সেই সঙ্গে সংসারে ছিলেন কপিলের বোন এবং মা জানকী। ছেলের জনপ্রিয় শো দ্য কপিল শর্মা শো-এর একটা পর্বও মিস করেন না তিনি।
আদতে অমৃতসরের বাসিন্দা কপিল শর্মা। সেখান থেকেই স্কুলের পাঠ শেষ করেন তিনি। প্রথমে কমার্শিয়াল আর্টস এবং কম্পিউটার্স নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপরে নিজের খরচ চালানোর জন্য কলেজ পড়ুয়াদের থিয়েটারের পাঠ দিতেন কপিল। কিন্তু পুলিশবাহিনীতে কর্মরত বাবার মৃত্যুর পরে সংসারের একমাত্র রোজগেরে হয়ে ওঠেন তিনি। প্রসঙ্গত, কপিল শর্মার এক দাদা রয়েছেন। যিনি নিজেও পুলিশবাহিনীতে রয়েছেন। সেই সঙ্গে সংসারে ছিলেন কপিলের বোন এবং মা জানকী। ছেলের জনপ্রিয় শো দ্য কপিল শর্মা শো-এর একটা পর্বও মিস করেন না তিনি।
অনেকেই হয়তো জানেন না যে, দশম শ্রেণী পাশ করার পরে পিসিও-তে কাজ করতেন কপিল শর্মা। বাবার মৃত্যুর পরে খরচ চালানোর জন্য একাধিক অদ্ভুত কাজ করতে হয়েছে তাঁকে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন যে, “দশম শ্রেণীর পরে আমাকে পিসিও-তে কাজ করতে হয়েছে পকেট মানির জন্য। এখন আমি বাবাকে মিস করি। কিন্তু সেই সময় আমি তাঁকে বকুনি দিয়ে বলতাম, বাবা তুমি নিজের খেয়াল রাখছো না। তাই তোমার ক্যানসার হয়ে গেল। আসলে বাবাকে যন্ত্রণার মধ্যে দেখে আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলাম, যেন তাঁকে নিয়ে যান!’’
অনেকেই হয়তো জানেন না যে, দশম শ্রেণী পাশ করার পরে পিসিও-তে কাজ করতেন কপিল শর্মা। বাবার মৃত্যুর পরে খরচ চালানোর জন্য একাধিক অদ্ভুত কাজ করতে হয়েছে তাঁকে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন যে, “দশম শ্রেণীর পরে আমাকে পিসিও-তে কাজ করতে হয়েছে পকেট মানির জন্য। এখন আমি বাবাকে মিস করি। কিন্তু সেই সময় আমি তাঁকে বকুনি দিয়ে বলতাম, বাবা তুমি নিজের খেয়াল রাখছো না। তাই তোমার ক্যানসার হয়ে গেল। আসলে বাবাকে যন্ত্রণার মধ্যে দেখে আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলাম, যেন তাঁকে নিয়ে যান!’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘সেই সময় আমাদের হাতে একটা পয়সাও ছিল না। আমরা ভাড়া বাড়িতে থাকতাম। মা আমাকে বলেছিলেন যে, ‘বাবা মাইনে পেয়েই তা দিয়ে প্রথম ২ দিন মদ্যপান করতেন এবং চিকেন খেতেন ঘরেই। এরপর সারা মাস ধরে খাটতেন’। তাই আজ কোথাও কিছু ভাল হলে আমি বাবাকে মিস করি। আজ বাবা বেঁচে থাকলে তাঁর জন্য আমি সেরা স্কচটা নিয়ে আসতাম। যখন বাবার ক্যানসার ধরা পড়েছিল, তখন আমি প্রচুর কেঁদেছিলাম। একবার আমি তাঁকে মদ্যপান করার সময় ধরে ফেলেছিলাম। তিনি বলেছিলেন যে, ভুলে যাও ওসব। আমি এমনিতেই মারা যাব।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘সেই সময় আমাদের হাতে একটা পয়সাও ছিল না। আমরা ভাড়া বাড়িতে থাকতাম। মা আমাকে বলেছিলেন যে, ‘বাবা মাইনে পেয়েই তা দিয়ে প্রথম ২ দিন মদ্যপান করতেন এবং চিকেন খেতেন ঘরেই। এরপর সারা মাস ধরে খাটতেন’। তাই আজ কোথাও কিছু ভাল হলে আমি বাবাকে মিস করি। আজ বাবা বেঁচে থাকলে তাঁর জন্য আমি সেরা স্কচটা নিয়ে আসতাম। যখন বাবার ক্যানসার ধরা পড়েছিল, তখন আমি প্রচুর কেঁদেছিলাম। একবার আমি তাঁকে মদ্যপান করার সময় ধরে ফেলেছিলাম। তিনি বলেছিলেন যে, ভুলে যাও ওসব। আমি এমনিতেই মারা যাব।”
‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জ’ সিজন ৩-এ জয়ের পরে ২০১৩ সালে ‘কমেডি নাইটস উইথ কপিল’-এর মতো শো সঞ্চালনা করার সুযোগ পান। সেখান থেকেই তিনি ভারতীয় টেলিভিশনের সর্বোচ্চ আয়কারী কমেডিয়ান হয়ে গিয়েছিলেন। ২০২৪ সালে কপিল নিজের কমেডি শো লঞ্চ করেন। এখানে এক-একটি পর্ব থেকেই কপিল আয় করতে শুরু করেন ৫ কোটি টাকা। একাধিক রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, কপিল শর্মার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকারও বেশি।
‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জ’ সিজন ৩-এ জয়ের পরে ২০১৩ সালে ‘কমেডি নাইটস উইথ কপিল’-এর মতো শো সঞ্চালনা করার সুযোগ পান। সেখান থেকেই তিনি ভারতীয় টেলিভিশনের সর্বোচ্চ আয়কারী কমেডিয়ান হয়ে গিয়েছিলেন। ২০২৪ সালে কপিল নিজের কমেডি শো লঞ্চ করেন। এখানে এক-একটি পর্ব থেকেই কপিল আয় করতে শুরু করেন ৫ কোটি টাকা। একাধিক রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, কপিল শর্মার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকারও বেশি।
এখানেই শেষ নয়, সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উঠেছেন কপিল। জায়গা করে নিয়েছেন ফোর্বস ম্যাগাজিনে। তবে বিমানে নিজের সহ-অভিনেতা সুনীল গ্রোভারের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়েছেন ভারতের কমেডি কিং। আবারও জোরদার কামব্যাক করেন কপিল শর্মা। ২০১৯ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনের ৫৩-তম স্থান লাভ করেন তিনি। বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রির ধনীতম কমেডিয়ানদের মধ্যে অন্যতম তিনি। নিজের রসবোধের মাধ্যমে দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো-এ সকলের মন জয় করে নিচ্ছেন কপিল। এক সময় অনটনের সঙ্গে লড়াই করা মানুষটা আজ বিলাসবহুল জীবন উপভোগ করেন। মুম্বইয়ে রয়েছে তাঁর অসাধারণ একটি বাড়ি। আর পঞ্জাবে রয়েছে একটি ফার্ম হাউজও। মার্সিডিজ বেঞ্জ, ভলভো, রেঞ্জ রোভার-সহ রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল গাড়িও। ছুটি কাটানোর জন্য ঘুরে বেড়ান বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে।
এখানেই শেষ নয়, সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উঠেছেন কপিল। জায়গা করে নিয়েছেন ফোর্বস ম্যাগাজিনে। তবে বিমানে নিজের সহ-অভিনেতা সুনীল গ্রোভারের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়েছেন ভারতের কমেডি কিং। আবারও জোরদার কামব্যাক করেন কপিল শর্মা। ২০১৯ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিনের ৫৩-তম স্থান লাভ করেন তিনি। বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রির ধনীতম কমেডিয়ানদের মধ্যে অন্যতম তিনি। নিজের রসবোধের মাধ্যমে দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো-এ সকলের মন জয় করে নিচ্ছেন কপিল। এক সময় অনটনের সঙ্গে লড়াই করা মানুষটা আজ বিলাসবহুল জীবন উপভোগ করেন। মুম্বইয়ে রয়েছে তাঁর অসাধারণ একটি বাড়ি। আর পঞ্জাবে রয়েছে একটি ফার্ম হাউজও। মার্সিডিজ বেঞ্জ, ভলভো, রেঞ্জ রোভার-সহ রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল গাড়িও। ছুটি কাটানোর জন্য ঘুরে বেড়ান বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে।