*উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নেটওয়ার্কের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সেকশনে অটোমেটিক ব্লক সিগনালিং সিস্টেম (এবিএস) এবং ইন্টারমিডিয়েট ব্লক সিগনালিং সিস্টেম (আইবিএস) বাস্তবায়নের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই উন্নয়নমূলক কাজের ফলে তিনটি প্রধান সেকশন উপকৃত হবে।*ওল্ড মালদহ-নিউ জলপাইগুড়ি, নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি ও কুমেদপুর-কাটিহার-মুকুরিয়া সেকশন। অঞ্চলটিতে রেল পরিষেবার বর্ধিত চাহিদা পূরণ করতে উন্নত ও আধুনিকীকরণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কৌশলগত এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল জোনের পরিচালনমূলক দক্ষতা, সুরক্ষা এবং সামগ্রিক ক্ষমতার উন্নয়ন।*বারসই ও আলুয়াবাড়ি হয়ে ওল্ড মালদহ-নিউ জলপাইগুড়ির প্রশস্ততার আওতাভুক্ত ২৩১ রুট কিলোমিটার (আরকেএম)। এই সেকশনে ৩৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে এবিএস সিস্টেম বাস্তবায়িত করা হয়েছে, যা এই রুটের ট্রেন পরিচালনের ক্ষমতা উন্নত করবে। এই প্রশস্ততার মধ্যে ৬৬ আরকেএম প্রশস্তে এবিএস চালু করা হয়েছে।*একইভাবে, ৬৪ আরকেএম আওতাভুক্ত কুমেদপুর-কাটিহার-মুকুরিয়া প্রশস্ততার পাশাপাশি ৪০৭ আরকেএম বিস্তৃত নিউ কোচবিহার ও রঙিয়া হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি সেকশনটিতে ৫৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এবিএস বাস্তবায়ন করার প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে।*এবিএস সিস্টেমের মাধ্যমে সর্বমোট ৭০২ আরকেএম রেলওয়ে ট্র্যাক উপকৃত হবে, জোনের সুরক্ষা ও দক্ষতা উভয়ই বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান অর্থবর্ষ ২০২৪-২৫-এর জন্য উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে ১০২ আরকেএম ওল্ড মালদহ-বারসই-আলুয়াবাড়ি-নিউ জলপাইগুড়ি সেকশনে এবং ৫৬ আরকেএম নিউ জলপাইগুড়ি-নিউ কোচবিহার-রঙিয়া-গুয়াহাটি সেকশনে এবিএস কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। অবশিষ্ট সেকশনগুলির জন্য টেন্ডার ইতিমধ্যে প্রদান করা হয়েছে অথবা চূড়ান্ত হওয়ার পর্যায়ে রয়েছে, ইতিমধ্যে যথেষ্ট পরিমাণের কাজ চলছে।*উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের অন্তর্গত আলিপুরদুয়ার-রাজা ভাত খাওয়া সেকশন ও বাগরাকোট-সেবক সেকশনের পাশাপাশি রঙিয়া ডিভিশনের অন্তর্গত আজারা-কামাখ্যা সেকশনে তিনটি ইন্টারমিডিয়েট ব্লক সিগনালিং সিস্টেম (আইবিএস) সফলভাবে চালু করেছে। এগুলি নিয়ে ২০২৪-র জুলাই মাস পর্যন্ত উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে মোট সাতটি আইবিএস স্থাপন করা হয়েছে।*রেলওয়ের দীর্ঘ সেকশনগুলিকে ছোটো ছোট ব্লকে ভাগ করে ট্রেন পরিচালন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আইবিএস এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যার ফলে একইসঙ্গে উন্নত সুরক্ষা ও দক্ষতার সঙ্গে বেশি ট্রেন চলাচল করতে পারে। এই সিস্টেমের ফলে ট্রেনের বিলম্বতা হ্রাস পায়, লাইনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং ট্রেন পরিচালনের সামগ্রিক নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়, যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেনের জন্য সুগম ও দ্রুত পরিবহণ নিশ্চিত হয়।*পরিকাঠামোর এই উন্নয়ন রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সেকশনাল ক্ষমতা যথেষ্ট বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হয়েছে, পাশাপাশি উন্নত সুরক্ষার সাথে ট্রেনের উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি পরিচালন করতেও সক্ষম হবে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে।*এবিএস এবং কবচ সিস্টেম বাস্তবায়নের ফলে ট্রেনের মধ্যে হেডওয়ে হ্রাস হবে, সময়ানুবর্তিতার উন্নতি ঘটবে এবং যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিষেবার জন্য এক বৃহৎ নির্ভরযোগ্যতা প্রদান করবে। এই উন্নতির ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার পাশাপাশি অধিক দক্ষ রেল পরিবহণের সুবিধার দ্বারা অঞ্চলটির অর্থনৈতিক কার্যকলাপও বৃদ্ধি লাভ করবে।
