সপ্তাহ শেষে বৃষ্টির তীব্রতা কমতে পারে উত্তরবঙ্গে। উপরের পাঁচ জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে। আজ থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টি ।দক্ষিণবঙ্গে শুক্রবার থেকে উপকূল ও পূর্ব দিকের জেলাগুলিতে মেঘলা আকাশ। বাকি কিছু জেলায় আংশিক মেঘলা আকাশ। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়বে। বৃষ্টি না হলে সেখানে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে।শনিবার দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা। কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। শনিবার ও রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে।সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। শুক্রবার বিকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫৪ থেকে ৮৭ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২৯ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি কমলেও ৪০ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা থাকবে পঞ্জাব, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের কিছু এলাকায়। এই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।এর প্রভাব পড়তে পারে রাজধানী দিল্লিতে। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে এবার। বৃহস্পতিবার থেকে এই সমস্ত রাজ্যে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির ও সম্ভাবনা।কেরল, মাহে, কর্ণাটক, কঙ্কন, গোয়া, তামিলনাডু, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা এবং সিকিম ও আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে মালদহ ও দিনাজপুরে। পার্বত্য এলাকা-সহ উপরের দিকের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা আগামী কয়েক দিনে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির তীব্রতা ও পরিমাণ কমবে।হলদিয়া পর্যন্ত ঢুকে পড়েছে বর্ষা। জুন মাসের মধ্যে বাকি অংশ ঢুকে পড়বে বলে আবহবিদদের অনুমান। আগামী ৩-৪ দিনে ছত্তিশগড়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহারের বাকি অংশ এবং উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশে ঢুকবে মৌসুমী বায়ু।হলদিয়া পর্যন্ত ঢুকে পড়েছে বর্ষা। জুন মাসের মধ্যে বাকি অংশ ঢুকে পড়বে বলে আবহবিদদের অনুমান। আগামী ৩-৪ দিনে ছত্তিশগড়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহারের বাকি অংশ এবং উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশে ঢুকবে মৌসুমী বায়ু।জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানার কিছু অংশেও ঢুকে পড়বে আগামী তিন চার দিনে।পশ্চিম, মধ্য ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ শক্তিশালী হবে। শনি-রবিবারের মধ্যে এটির নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। পূর্ব ও পশ্চিম অক্ষরেখা রয়েছে রাজস্থান থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত। যা মধ্যপ্রদেশ, বিহার এবং উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে।আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে গুজরাত থেকে ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত। এই অক্ষরেখা মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের উপর দিয়ে রয়েছে। তৃতীয় অক্ষরেখাটি মহারাষ্ট্র থেকে কেরল পর্যন্ত বিস্তৃত।শুধুমাত্র জলীয় বাষ্প বেশি থাকার কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি হবে। কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে এই অস্বস্তি বেশি হবে।আজ থেকে আবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার দমকা ঝোড়ো হওয়ার সর্তকতা। শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন। বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে।শনিবার ও রবিবার দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে নিবিড় বৃষ্টির সম্ভাবনা। ওয়াইড স্প্রেইড রেইন হবে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে।উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকা সহ উপরের দিকের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টি চলবে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টি চলবে। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সতর্কতা। আগামী কয়েকদিন মালদহ ও দিনাজপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে।
