আর্থিক তছরুপ মামলায় বলিউড তারকা শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রার জুহুর ফ্ল্যাট, পুনের বাংলো এবং ৯৮ কোটি টাকার ইক্যুইটি শেয়ার বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। প্রসঙ্গত, ওয়েব সিরিজে কাজের সুযোগ দেওয়ার নামে জোর করে পর্ন শ্যুটিংয়ের অভিযোগে ২০২১-এর জুলাইয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল মুম্বই পুলিশ। সেপ্টেম্বরে আর্থার জেল থেকে ছাড়া পান রাজ কুন্দ্রা।

Raj Kundra Bitcoin Fraud: বিটকয়েন পঞ্জি স্ক্যামে রাজ কুন্দ্রা জড়িয়ে গেলেন কীভাবে? শিল্পা শেঠির স্বামীর বিরুদ্ধে আর কী কী অভিযোগ রয়েছে?

আর্থিক তছরুপ মামলায় বলিউড তারকা শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রার জুহুর ফ্ল্যাট, পুনের বাংলো এবং ৯৮ কোটি টাকার ইক্যুইটি শেয়ার বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। প্রসঙ্গত, ওয়েব সিরিজে কাজের সুযোগ দেওয়ার নামে জোর করে পর্ন শ্যুটিংয়ের অভিযোগে ২০২১-এর জুলাইয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল মুম্বই পুলিশ। সেপ্টেম্বরে আর্থার জেল থেকে ছাড়া পান রাজ কুন্দ্রা।
আর্থিক তছরুপ মামলায় বলিউড তারকা শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রার জুহুর ফ্ল্যাট, পুনের বাংলো এবং ৯৮ কোটি টাকার ইক্যুইটি শেয়ার বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। প্রসঙ্গত, ওয়েব সিরিজে কাজের সুযোগ দেওয়ার নামে জোর করে পর্ন শ্যুটিংয়ের অভিযোগে ২০২১-এর জুলাইয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল মুম্বই পুলিশ। সেপ্টেম্বরে আর্থার জেল থেকে ছাড়া পান রাজ কুন্দ্রা।
বিটকয়েন পঞ্জি স্ক্যাম কী: ২০১৭ সালে অজয় ভরদ্বাজ, মহেন্দর ভরদ্বাজ এবং অমিত ভরদ্বাজ ভেরিয়েবল টেক প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি খোলেন। এর মাধ্যমেই শুরু হয় গেইন বিট কয়েন পঞ্জি স্কিম। বলা হয়, বিটকয়েনে বিনিয়োগ করলেই বিশাল মুনাফা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। অনেক বিনিয়োগকারীই এই স্কিমে টাকা ঢেলেছিলেন। কিন্তু লাভ তো দূরের কথা, বিপুল টাকা গচ্চা যায়। দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে কোম্পানির নামে এফআইআর দায়ের করতে শুরু করেন বিনিয়োগকারীরা। এরপরই এই স্ক্যাম সামনে আসে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ভেরিয়েবেল টেকের কর্তাব্যক্তিরা বিটকয়েন মাইনিংয়ের মাধ্যমে ক্রিপ্টো অ্যাসেটে বিনিয়োগে প্রতি মাসে ১০ শতাংশ হারে রিটার্ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬,৬০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন।
বিটকয়েন পঞ্জি স্ক্যাম কী: ২০১৭ সালে অজয় ভরদ্বাজ, মহেন্দর ভরদ্বাজ এবং অমিত ভরদ্বাজ ভেরিয়েবল টেক প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি খোলেন। এর মাধ্যমেই শুরু হয় গেইন বিট কয়েন পঞ্জি স্কিম। বলা হয়, বিটকয়েনে বিনিয়োগ করলেই বিশাল মুনাফা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। অনেক বিনিয়োগকারীই এই স্কিমে টাকা ঢেলেছিলেন। কিন্তু লাভ তো দূরের কথা, বিপুল টাকা গচ্চা যায়। দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে কোম্পানির নামে এফআইআর দায়ের করতে শুরু করেন বিনিয়োগকারীরা। এরপরই এই স্ক্যাম সামনে আসে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ভেরিয়েবেল টেকের কর্তাব্যক্তিরা বিটকয়েন মাইনিংয়ের মাধ্যমে ক্রিপ্টো অ্যাসেটে বিনিয়োগে প্রতি মাসে ১০ শতাংশ হারে রিটার্ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬,৬০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন।
এখন প্রশ্ন হল, এর মধ্যে রাজ কুন্দ্রা কীভাবে জড়ালেন? ইডি-র বিবৃতি অনুযায়ী, রাজ কুন্দ্রা ইউক্রেনে বিটকয়েন মাইনিং ফার্ম তৈরির জন্য গেইন বিটকয়েন পঞ্জি স্ক্যামের মাস্টারমাইন্ড অমিত ভরদ্বাজের কাছ থেকে ২৮৫ বিটকয়েন নিয়েছিলেন। যার বাজারমূল্য ১৫০ কোটি টাকারও বেশি। মোটা লাভের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিনিয়োগকারীদের টাকায় অমিত ভরদ্বাজ এই বিটকয়েনগুলো কিনেছিলেন বলে জানিয়েছে ইডি। রাজ কুন্দ্রা অবশ্য এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত নন। ২০১৮ সালের জুন মাসে ইডি তাঁকে প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
এখন প্রশ্ন হল, এর মধ্যে রাজ কুন্দ্রা কীভাবে জড়ালেন? ইডি-র বিবৃতি অনুযায়ী, রাজ কুন্দ্রা ইউক্রেনে বিটকয়েন মাইনিং ফার্ম তৈরির জন্য গেইন বিটকয়েন পঞ্জি স্ক্যামের মাস্টারমাইন্ড অমিত ভরদ্বাজের কাছ থেকে ২৮৫ বিটকয়েন নিয়েছিলেন। যার বাজারমূল্য ১৫০ কোটি টাকারও বেশি। মোটা লাভের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিনিয়োগকারীদের টাকায় অমিত ভরদ্বাজ এই বিটকয়েনগুলো কিনেছিলেন বলে জানিয়েছে ইডি। রাজ কুন্দ্রা অবশ্য এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত নন। ২০১৮ সালের জুন মাসে ইডি তাঁকে প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
রাজ কুন্দ্রার নামে অন্যান্য মামলা: পর্ন র‍্যাকেট চালানোর অভিযোগে ২০২১ সালে রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। তাঁকেই এই চক্রের মাথা বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন পুনম পান্ডে, শার্লিন চোপড়া, সাগরিকা সোনা সুমনের মতো মডেল এবং অভিনেত্রীরা।
রাজ কুন্দ্রার নামে অন্যান্য মামলা: পর্ন র‍্যাকেট চালানোর অভিযোগে ২০২১ সালে রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। তাঁকেই এই চক্রের মাথা বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন পুনম পান্ডে, শার্লিন চোপড়া, সাগরিকা সোনা সুমনের মতো মডেল এবং অভিনেত্রীরা।
রাজস্থান রয়্যালস দলের মালিক রাজ কুন্দ্রা এবং তাঁর স্ত্রী শিল্পা শেঠি। ২০১৩ সালে এই দলের এস শ্রীসন্থ, অজিত চান্ডিলা, এবং অঙ্কিত চৌহান ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। দলের মালিক কুন্দ্রা এবং আইসিসি প্রধান শ্রীনিবাসনের জামাতা গুরুনাথ মায়াপ্পানের বিরুদ্ধেও স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। কুন্দ্রা তখন পুলিশের কাছে এক বুকির মাধ্যমে বাজি ধরার কথা স্বীকার করেছিলেন। কুন্দ্রা এবং মায়াপ্পানকে সাসপেন্ড করা হয়।
রাজস্থান রয়্যালস দলের মালিক রাজ কুন্দ্রা এবং তাঁর স্ত্রী শিল্পা শেঠি। ২০১৩ সালে এই দলের এস শ্রীসন্থ, অজিত চান্ডিলা, এবং অঙ্কিত চৌহান ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। দলের মালিক কুন্দ্রা এবং আইসিসি প্রধান শ্রীনিবাসনের জামাতা গুরুনাথ মায়াপ্পানের বিরুদ্ধেও স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। কুন্দ্রা তখন পুলিশের কাছে এক বুকির মাধ্যমে বাজি ধরার কথা স্বীকার করেছিলেন। কুন্দ্রা এবং মায়াপ্পানকে সাসপেন্ড করা হয়।