প্রেমের কবিতা ও বলিউডের বাঙালি নায়িকার প্রেমকাহিনি সেই সময় নজর কেড়েছিল সকলের। কিন্তু এই প্রেমই নাকি ভেঙেছিল আরেক মহানায়িকার কারণে। সত্তর দশকে রুপোলি পর্দা থেকে ফিল্মি পত্রিকায় গুলজার আর রাখির প্রেমকাহিনি ছিল সুপারহিট। কিন্তু কী ঘটেছিল ওঁদের মধ্যে, যে দু’জনের একসঙ্গে থাকা সম্ভব হল না? ভেঙে গেল গুলজার-রাখির সুখের সংসার? জানুন বলিউডের ‘চুপকথা’।

Rakhee Gulzar Relationship: রাখিকে একবার চড় মেরেছিলেন গুলজার, কেন জানেন? নাম জড়িয়ে রয়েছে সুচিত্রা সেনের!

প্রেমের কবিতা ও বলিউডের বাঙালি নায়িকার প্রেমকাহিনি সেই সময় নজর কেড়েছিল সকলের। কিন্তু এই প্রেমই নাকি ভেঙেছিল আরেক মহানায়িকার কারণে। সত্তর দশকে রুপোলি পর্দা থেকে ফিল্মি পত্রিকায় গুলজার আর রাখির প্রেমকাহিনি ছিল সুপারহিট। কিন্তু কী ঘটেছিল ওঁদের মধ্যে, যে দু’জনের একসঙ্গে থাকা সম্ভব হল না? ভেঙে গেল গুলজার-রাখির সুখের সংসার? জানুন বলিউডের ‘চুপকথা’।
প্রেমের কবিতা ও বলিউডের বাঙালি নায়িকার প্রেমকাহিনি সেই সময় নজর কেড়েছিল সকলের। কিন্তু এই প্রেমই নাকি ভেঙেছিল আরেক মহানায়িকার কারণে। সত্তর দশকে রুপোলি পর্দা থেকে ফিল্মি পত্রিকায় গুলজার আর রাখির প্রেমকাহিনি ছিল সুপারহিট। কিন্তু কী ঘটেছিল ওঁদের মধ্যে, যে দু’জনের একসঙ্গে থাকা সম্ভব হল না? ভেঙে গেল গুলজার-রাখির সুখের সংসার? জানুন বলিউডের ‘চুপকথা’।
রাখির নায়িকা রূপে প্রথম বলিউডে একটি ছবি মুক্তি পায় ধর্মেন্দ্রর বিপরীতে। উত্তমকুমার সুপ্রিয়া দেবী অভিনীত বাংলা ছবির হিন্দি ভার্সন একই নামে ‘জীবন মৃত্যু’ রিলিজ করে। যে ছবি বিশাল জনপ্রিয়তা পায় এবং রাখির প্রথম হিন্দি ছবি তাঁকে বলিউডের প্রথমা নায়িকাদের সারিতে নিয়ে চলে আসে। ১৯৭২ সালে প্রথম দেখায় রাখির বাঙালি রূপের প্রেমে পড়েন গুলজার।
রাখির নায়িকা রূপে প্রথম বলিউডে একটি ছবি মুক্তি পায় ধর্মেন্দ্রর বিপরীতে। উত্তমকুমার সুপ্রিয়া দেবী অভিনীত বাংলা ছবির হিন্দি ভার্সন একই নামে ‘জীবন মৃত্যু’ রিলিজ করে। যে ছবি বিশাল জনপ্রিয়তা পায় এবং রাখির প্রথম হিন্দি ছবি তাঁকে বলিউডের প্রথমা নায়িকাদের সারিতে নিয়ে চলে আসে। ১৯৭২ সালে প্রথম দেখায় রাখির বাঙালি রূপের প্রেমে পড়েন গুলজার।
রাখির তরফ থেকেও ছিল গুলজারের প্রতি ভালবাসা। কারণ গুলজারের প্রেমের কবিতা রাখির খুব প্রিয় ছিল। তাঁদের প্রেম ও তা থেকে বিয়ে হতে বেশি সময় লাগেনি। ১৯৭৩ সালের ১৫ মে বিয়ে করেন রাখি-গুলজার। বিয়েতে দিলীপ কুমার থেকে রাজ কাপুর পরিবারের সবাই, ওদিকে অমিতাভ বচ্চন থেকে রাজেশ খান্না, জিতেন্দ্র সকলে উপস্থিত ছিলেন।
রাখির তরফ থেকেও ছিল গুলজারের প্রতি ভালবাসা। কারণ গুলজারের প্রেমের কবিতা রাখির খুব প্রিয় ছিল। তাঁদের প্রেম ও তা থেকে বিয়ে হতে বেশি সময় লাগেনি। ১৯৭৩ সালের ১৫ মে বিয়ে করেন রাখি-গুলজার। বিয়েতে দিলীপ কুমার থেকে রাজ কাপুর পরিবারের সবাই, ওদিকে অমিতাভ বচ্চন থেকে রাজেশ খান্না, জিতেন্দ্র সকলে উপস্থিত ছিলেন।
রাখির তখন হাতে অজস্র ছবি নায়িকা হিসেবে। বিপরীতে শশী কাপুর, অমিতাভ বচ্চনের মতো নায়করা। কিন্তু বিয়ের এক বছর না হতেই ১৯৭৩-এর ডিসেম্বরে জন্মান মেঘনা, গুলজার-রাখির মেয়ে। মেঘনা জন্মানোর এক বছর পরেই গুলজার-রাখির সেপারেশান হয়ে যায়। ভেঙে যায় দু’জনের সংসার। দুজন আলাদা থাকতে শুরু করেন। আজও আলাদাই তাঁরা।
রাখির তখন হাতে অজস্র ছবি নায়িকা হিসেবে। বিপরীতে শশী কাপুর, অমিতাভ বচ্চনের মতো নায়করা। কিন্তু বিয়ের এক বছর না হতেই ১৯৭৩-এর ডিসেম্বরে জন্মান মেঘনা, গুলজার-রাখির মেয়ে। মেঘনা জন্মানোর এক বছর পরেই গুলজার-রাখির সেপারেশান হয়ে যায়। ভেঙে যায় দু’জনের সংসার। দুজন আলাদা থাকতে শুরু করেন। আজও আলাদাই তাঁরা।
রাখি একবার স্পষ্ট সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, "পরিষ্কার করে লিখবেন আমরা বিবাহবিচ্ছেদ করছি না। বিয়ের সময়ে আমি গুলজারের শর্ত মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু বিয়ের পরে দেখলাম সব কিছু স্বাভাবিক ভাবেই চলছে, আমি একাই ঘরে বসে আছি। গুলজার সকাল আটটায় বেরিয়ে যায় আর ফেরে রাত বারোটা। এ যে কী অসহনীয় অবস্থা আমিই জানি। আমি আবার অভিনয়ে ফিরতে চাই। কিন্তু গুলজার আমার অভিনয়ের বিরুদ্ধে।"
রাখি একবার স্পষ্ট সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, “পরিষ্কার করে লিখবেন আমরা বিবাহবিচ্ছেদ করছি না। বিয়ের সময়ে আমি গুলজারের শর্ত মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু বিয়ের পরে দেখলাম সব কিছু স্বাভাবিক ভাবেই চলছে, আমি একাই ঘরে বসে আছি। গুলজার সকাল আটটায় বেরিয়ে যায় আর ফেরে রাত বারোটা। এ যে কী অসহনীয় অবস্থা আমিই জানি। আমি আবার অভিনয়ে ফিরতে চাই। কিন্তু গুলজার আমার অভিনয়ের বিরুদ্ধে।”
এই তিক্ততার ভার বহন করতে করতে গুলজার রাখির বিবাদ চরমে ওঠে। আর এমন সময় গুলজার শুরু করেন সুচিত্রা সেনকে নিয়ে, তাঁর ‘আঁধি’ ছবির শ্যুটিং। শ্যুটিংয়ের সময়ে রাখিও কাশ্মীরে যান গুলজারের সঙ্গে।
এই তিক্ততার ভার বহন করতে করতে গুলজার রাখির বিবাদ চরমে ওঠে। আর এমন সময় গুলজার শুরু করেন সুচিত্রা সেনকে নিয়ে, তাঁর ‘আঁধি’ ছবির শ্যুটিং। শ্যুটিংয়ের সময়ে রাখিও কাশ্মীরে যান গুলজারের সঙ্গে।
হোটেলে আলাদা আলাদা ঘর ভাড়া করা হয় সকলের। গুলজার-রাখির একটি ঘর, সুচিত্রা সেনের আলাদা ঘর, নায়ক সঞ্জীব কুমারের আলাদা ঘর। শ্যুটিং শেষের রাতে ছিল মস্ত পার্টি। সুচিত্রা সেন, সঞ্জীব কুমার, গুলজার-সহ আঁধির ফুল টিম সেলিব্রেট করছিল।
হোটেলে আলাদা আলাদা ঘর ভাড়া করা হয় সকলের। গুলজার-রাখির একটি ঘর, সুচিত্রা সেনের আলাদা ঘর, নায়ক সঞ্জীব কুমারের আলাদা ঘর। শ্যুটিং শেষের রাতে ছিল মস্ত পার্টি। সুচিত্রা সেন, সঞ্জীব কুমার, গুলজার-সহ আঁধির ফুল টিম সেলিব্রেট করছিল।
সেই সময়ে সঞ্জীব কুমার মদ্যপান করে একেবারে টালমাটাল হয়ে পড়েন। একবার পেটে মদ পড়লে সঞ্জীব কুমারের চরিত্র বদলে যেত, এমন কথা বলিউডে কান পাতলেই শোনা যায়। মদ্যপান করে সঞ্জীব কুমার নিজের বাহুতে জড়াতে চান সুচিত্রা সেনকে। সঞ্জীব নাকি সুচিত্রা সেনকে নিজের ঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্য রীতিমতো হাত ধরে টানতে থাকেন। সুচিত্রাও বেশ জোরে চেঁচিয়ে বাধা দেন।
সেই সময়ে সঞ্জীব কুমার মদ্যপান করে একেবারে টালমাটাল হয়ে পড়েন। একবার পেটে মদ পড়লে সঞ্জীব কুমারের চরিত্র বদলে যেত, এমন কথা বলিউডে কান পাতলেই শোনা যায়। মদ্যপান করে সঞ্জীব কুমার নিজের বাহুতে জড়াতে চান সুচিত্রা সেনকে। সঞ্জীব নাকি সুচিত্রা সেনকে নিজের ঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্য রীতিমতো হাত ধরে টানতে থাকেন। সুচিত্রাও বেশ জোরে চেঁচিয়ে বাধা দেন।
এই সময়ে রাখি ছিলেন নিজের ঘরে, কিন্তু গুলজার পার্টিতেই ছিলেন। তাই সুচিত্রাকে সঞ্জীবের হাত থেকে উদ্ধার করতে ছুটে যান তিনির। সঞ্জীব কুমারের হাত থেকে ছাড়িয়ে সুচিত্রাকে নিজের ঘরে পৌঁছে দেন গুলজার। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার আগে ও পরেও সঞ্জীব কুমার ও সুচিত্রা সেনের বন্ধুত্ব অটুট ছিল। সুচিত্রা জানতেন সঞ্জীব ছিলেন তখন নেশাগ্রস্ত।
এই সময়ে রাখি ছিলেন নিজের ঘরে, কিন্তু গুলজার পার্টিতেই ছিলেন। তাই সুচিত্রাকে সঞ্জীবের হাত থেকে উদ্ধার করতে ছুটে যান তিনির। সঞ্জীব কুমারের হাত থেকে ছাড়িয়ে সুচিত্রাকে নিজের ঘরে পৌঁছে দেন গুলজার। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার আগে ও পরেও সঞ্জীব কুমার ও সুচিত্রা সেনের বন্ধুত্ব অটুট ছিল। সুচিত্রা জানতেন সঞ্জীব ছিলেন তখন নেশাগ্রস্ত।
কিন্তু গুলজার সুচিত্রাকে পৌঁছে দিয়ে সুচিত্রার ঘর থেকে বেরোতেই দরজা খুলে দেখলেন সামনে রাখি দাঁড়িয়ে ক্রুদ্ধ মূর্তিতে। রাখি সমস্ত হোটেল চিৎকার করে তুলকালাম করেন বলে শোনা যায়। ঘরে গিয়ে গুলজারের বুকে ভেঙে পড়েন কান্নায়, বলেন "সুন্দরী নায়িকা কি আমার চেয়েও তোমার কাছে বড়? কেন তাঁকে তাঁর ঘরে তোমাকেই পৌঁছে দিতে হয়? সুচিত্রা সেনের মন ভাল না হওয়া পর্যন্ত একলা ফেলে আসতে পারো না? ও তোমার কে? আমি তাহলে কী?"
কিন্তু গুলজার সুচিত্রাকে পৌঁছে দিয়ে সুচিত্রার ঘর থেকে বেরোতেই দরজা খুলে দেখলেন সামনে রাখি দাঁড়িয়ে ক্রুদ্ধ মূর্তিতে। রাখি সমস্ত হোটেল চিৎকার করে তুলকালাম করেন বলে শোনা যায়। ঘরে গিয়ে গুলজারের বুকে ভেঙে পড়েন কান্নায়, বলেন “সুন্দরী নায়িকা কি আমার চেয়েও তোমার কাছে বড়? কেন তাঁকে তাঁর ঘরে তোমাকেই পৌঁছে দিতে হয়? সুচিত্রা সেনের মন ভাল না হওয়া পর্যন্ত একলা ফেলে আসতে পারো না? ও তোমার কে? আমি তাহলে কী?”
অভিযোগ, এই তুমুল অশান্তির মধ্যে নাজেহাল গুলজার একটা চড় মেরে দেন রাখিকে। রাখির কাছে সেটা হয়ে দাঁড়ায় আরও ভয়ংকর বেদনাদায়ক। এই সময়ে যশ চোপড়া তাঁর নতুন ছবি ‘কভি কভি’তে নায়িকার রোল অফার করেছিলেন রাখিকে। রাখিকে যথারীতি তখন গুলজার না করে দেন। কিন্তু সেই রাতের পরেই রাখি স্বামীর সব বারণ মুছে ফেলেন রাখি। সাতসকালেই হোটেল থেকে বেরিয়ে যাব।
অভিযোগ, এই তুমুল অশান্তির মধ্যে নাজেহাল গুলজার একটা চড় মেরে দেন রাখিকে। রাখির কাছে সেটা হয়ে দাঁড়ায় আরও ভয়ংকর বেদনাদায়ক। এই সময়ে যশ চোপড়া তাঁর নতুন ছবি ‘কভি কভি’তে নায়িকার রোল অফার করেছিলেন রাখিকে। রাখিকে যথারীতি তখন গুলজার না করে দেন। কিন্তু সেই রাতের পরেই রাখি স্বামীর সব বারণ মুছে ফেলেন রাখি। সাতসকালেই হোটেল থেকে বেরিয়ে যাব।
ঠিক সেদিন সকালেই যশ চোপড়া কাশ্মীরে ‘কভি কভি’ সিনেমার শ্যুটিং স্পট দেখতে এসেছিলেন। রাখি যশ চোপড়ার কাছে গিয়ে নায়িকার রোল করবেন বলে কথা দেন। এভাবেই বিয়ের পরে আবার ফিল্মে কামব্যাক করেন রাখি গুলজার। শর্মিলা বা সুচিত্রার চেয়ে রাখিও কিছু কম নন, এই জবাব গুলজারকে দিতেই কি রাখির এই সিদ্ধান্ত ছিল?
ঠিক সেদিন সকালেই যশ চোপড়া কাশ্মীরে ‘কভি কভি’ সিনেমার শ্যুটিং স্পট দেখতে এসেছিলেন। রাখি যশ চোপড়ার কাছে গিয়ে নায়িকার রোল করবেন বলে কথা দেন। এভাবেই বিয়ের পরে আবার ফিল্মে কামব্যাক করেন রাখি গুলজার। শর্মিলা বা সুচিত্রার চেয়ে রাখিও কিছু কম নন, এই জবাব গুলজারকে দিতেই কি রাখির এই সিদ্ধান্ত ছিল?
পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার রানাঘাট শহরে ১৫ অগাস্ট জন্ম হয় রাখির। বয়ঃসন্ধি পেরনোর আগেই বিয়ে হয়ে যায় রাখির। সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র-নির্মাতা অজয় বিশ্বাসকে বিয়ে করেন রাখি। কিন্তু বেশিদিন সেই বিয়ে টেকেনি। বিয়ের সময় রাখির বয়স ছিল মোটে ১৬। ১৮ বছরে পা দিতে না-দিতেই অজয়ের সংসার ছেড়ে বেরিয়ে আসেন রাখি। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরই সিনেমাজগতে পা রাখেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার রানাঘাট শহরে ১৫ অগাস্ট জন্ম হয় রাখির। বয়ঃসন্ধি পেরনোর আগেই বিয়ে হয়ে যায় রাখির। সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র-নির্মাতা অজয় বিশ্বাসকে বিয়ে করেন রাখি। কিন্তু বেশিদিন সেই বিয়ে টেকেনি। বিয়ের সময় রাখির বয়স ছিল মোটে ১৬। ১৮ বছরে পা দিতে না-দিতেই অজয়ের সংসার ছেড়ে বেরিয়ে আসেন রাখি। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরই সিনেমাজগতে পা রাখেন তিনি।