পঙ্কজ দাশরথী, রামনগর: গত জুলাই মাসের ২০ তারিখ রাতে রামনগরের দেপাল কলেজ মোড়ে ঘটনা। দেড় মাস আগের ঘটনা হলেও ভয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে যাওয়ার সাহস দেখায়নি বলে নির্যাতিতা জানিয়েছেন। গত মঙ্গলবার কাঁথি মহিলা থানায় ২০ জুলাইর ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ জানান নির্যাতিতা ও তার স্বামী।
রামনগরে কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায এবার বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার আরও একজন। তার নাম রাহুল সাঁতরা৷ ধৃতের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। দেপালের ওই মেসেই সে থাকত বলে খবর।
আরও পড়ুন: কালীঘাটের বৈঠকের আগেই চাপ তৈরির কৌশল? জুনিয়র ডাক্তারদের মনোভাব নিয়েই প্রশ্ন তুলল তৃণমূল
বেঙ্গালুরুতে ধৃত রাহুলকে ট্রানজি রিমান্ডে পূর্ব মেদিনীপুরে নিয়ে আসা হচ্ছে৷ কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ কাণ্ডে মোট ধৃতের সংখ্যা বেডে় হল তিন৷
অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই দিন রাতে রামনগর এলাকা থেকে রাজকুমার জানা ও গোবিন্দ জানা নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।ধৃত রাজকুমারের বাড়ি রামনগরের কান্ডগ্রামে আর গোবিন্দর বাড়ি পানিপারুল এলাকায়। শাশুড়ির মেসের দেখাশোনা করে সে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা রামনগর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বাড়ির অমতে গিয়ে বিয়ে করার কারণে স্বামীর সঙ্গে দেপাল এলাকার কলেজ মোড়ের একটি মেসে থাকতেন নির্যাতিতা।
নির্যাতিতার অভিযোগ, গত ১৯ জুলাই কলেজ মোড়ের একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে গিয়েছিল অভিযুক্তরা। রাতে মেসে এসে তার স্বামীর সঙ্গে মদের আসর বসায় তারা। এরপর মেয়েটির স্বামী মদের নেশায় বেহুঁশ হয়ে পড়লে সবাই মিলে তার উপরে অত্যাচার চালায় বলেই লিখিত অভিযোগ জানায় সে। ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি শতদল বেরা, চন্দন পালুই ব্লক যুব তৃণমূল নেতৃত্ব সহ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে।