বাংলাদেশ – ২২৭ এবং ২৩১
ভারত – ৩১৪ এবং ১৪৫/৭
ভারত জয়ী তিন উইকেটে
#মিরপুর: লক্ষ্য মাত্র ১৪৫ রানের। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে এমন লক্ষ্য দিয়ে জয়ের আশা করা তো বাড়াবাড়িই। তবে অবিশ্বাস্য কিছুর স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন বোলাররা। ভারতের বিপক্ষে এর আগে কখনও টেস্ট জেতেনি বাংলাদেশ। দলকে ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছিলেন সাকিব-মিরাজরা। ১৪৫ তাড়া করতে গিয়ে যে ৭৪ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল ভারত।
তবে টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষ সারির দলটি এমন পরিস্থিতি থেকেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। অষ্টম উইকেটে শ্রেয়স আইয়ার আর রবিচন্দ্রন অশ্বিন অবিচ্ছিন্ন ৭১ রানের জুটিতে ঠাণ্ডা মাথায় জয় বের করে নিয়ে এসেছেন। মিরপুর শেরে বাংলায় রোমাঞ্চ ছড়ানো এই টেস্টে চতুর্থ দিনের সকালে এসে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে ভারত।
দুই ম্যাচের সিরিজ তারা জিতেছে ২-০ ব্যবধানে। আগের দিন ৩৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল ভারত। চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ওভারেই আশা আরও বড় করেন সাকিব আল হাসান। জয়দেব উনাদকাটকে (১৩) এলবিডব্লিউ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৫৬ রানে ভারত হারায় ৫ উইকেট। উনাদকাট অবশ্য নাইটওয়াচম্যান ছিলেন।
2⃣2⃣2⃣ runs in 2 Tests ?
Highest score of 1⃣0⃣2⃣* ?Congratulations to @cheteshwar1 on being named the Player of the Series ??
Scorecard – https://t.co/CrrjGfXPgL#TeamIndia | #BANvIND pic.twitter.com/C7xkq9GtJJ
— BCCI (@BCCI) December 25, 2022
বাংলাদেশের জয়ে মূল বাধা ছিলেন ঋষভ পন্ত আর শ্রেয়স আয়ার। এর মধ্যে উনাদকাটের পরই ভয়ংকর পন্ত (৯) মেহেদি হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন সমর্থকরা। পরের ওভারে মিরাজ বোল্ড করেন অনেকটাই সেট হয়ে যাওয়া অক্ষর প্যাটেলকেও (৩৪)।
তবে এরপর আর পারেনি বাংলাদেশ। অশ্বিন-আইয়ারের জুটির কাছে হার মানতে হয়। অশ্বিন ৪২ আর আইয়ার ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। মেহেদি হাসান মিরাজ ৬৩ রানে নেন ৫টি উইকেট। সাকিব নেন দুটি। অশ্বিন শেষদিকে ছক্কা এবং চার মেরে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন। পাশাপাশি বুঝিয়ে দেন কেন টেস্ট ক্রিকেটে তিনি এই দলটার সম্পদ। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন তিনি। সিরিজের সেরা হয়েছেন চেতেশ্বর পূজারা।