![এবারের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় ক্রিকেট দল। সুপার এইটে ভারত মুখোমুখি হয়েছিল আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের। তিনটি ম্যাচই জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/Indian-Cricket-Team-2024-07-9fa33e86a28b4114c8b6e7aa6ccc6ecf.jpg)
![সুপার এইটে প্লেয়িং ইলেভেনে ছিলেন না বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ।তাঁকে ভারতের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল কারণ জানলে অবাক হওয়ার সীমা থাকবে না৷ তিনি দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এবং টিম বাসে উঠতে পারেননি৷](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/Ind-vs-Ban-2024-07-d204994524b164b3184354e4456454b3.jpg)
![তবে, এই ফাস্ট বোলার এই দাবি অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি দলের কোঅর্ডিনেশনের অভাবের কারণে। ২২ জুন অ্যান্টিগায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫০ রানে হারতে হয়েছিল। ভারত বনাম বাংলাদেশ দলে একটি পরিবর্ত এসেছিল৷ তাসকিনের জায়গায় খেললেন জাকির আলী।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/Taskin-Ahamed-2024-07-40d1d9b87924eb0512e644b393e892a8.jpg)
!['ইএসপিএনক্রিকইনফো' ঢাকা ভিত্তিক সংবাদপত্র আজকের পত্রিকা থেকে তাসকিনকে উদ্ধৃত করে বলেছে, "আমি একটু দেরিতে পৌঁছেছিলাম কিন্তু টসের আগে আমি মাঠে পৌঁছেছিলাম।"](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/Taskin-Ahamed-1-2024-07-70816c1e2f66c3fed9b6157cea20ad76.jpg)
![তাসকিন বলেন, “আমি টসের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট আগে মাঠে পৌঁছেছিলাম। আমি টিম বাসে উঠতে পারিনি। সকাল সাড়ে ৮টায় বাসটি হোটেল থেকে ছাড়ে। আমি ৮:৪৩ এ মাঠের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাসের সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় মাঠে পৌঁছে গেলাম। এমন নয় যে আমি দেরিতে এসেছি বলে তারা আমাকে বেছে নেয়নি। আমি কোনওভাবেই খেলছিলাম না৷’’](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/Taskin-Ahamed-2-2024-07-f3bb668ce9ef25bac41a9b26c057afc3.jpg)
![২৪ জুন আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচে তাসকিন প্লেয়িং ইলেভেনে ফিরে আসেন। তাসকিন এর জন্য ক্ষমা চাইলেও অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ও সাবেক অধিনায়ক শাকিব আল হাসান বলেন যে ফাস্ট বোলার দেরিতে আসার কারণে তাঁর নির্বাচন 'কঠিন' হয়ে গিয়েছিল৷](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/07/Taskin-Ahamed-3-2024-07-2989240b9354bc76918b8abf765091c5.jpg)
Ind vs Ban: ICC T20 World Cup: আমেরিকায় পৌঁছনোর ২ দিনের মধ্যেই ক্রিকেট ম্যাচ খেলে ফেলল ভারতীয় ক্রিকেট দল৷ নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিজেদের প্র্যাকটিশ ম্যাচে স্বাভাবিক ছন্দেই পাওয়া গেল মেন ইন ব্লুকে৷ এদিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত জিতল ৬২ রানে৷
এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা৷ শুরুতেই সঞ্জু স্যামসনকে হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে পন্থ ও শর্মা ধুন্ধুমার ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন৷ মারাত্মক অ্যাক্সিডেন্টের পর এই প্রথম জাতীয় দলের জার্সি গায়ে প্রথম ফিরলেন৷
এদিন তাঁর ৩২ বলে ৫৩ রানের ইনিংসে রয়েছে ৪টি চার , ৪টি ছক্কা৷ রোহিত শর্মা ১৯ বলে ২৩ রান করেন৷ বিরাট কোহলি এদিনের ম্যাচে দলে ছিলেন না৷ ঋষভ পন্থ ঝোড়ো অর্ধশতরান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ সূর্য কুমার যাদব ১৮ বলে ৩১ রান করেন৷ তাঁর ইনিংসে ছিল ৪ টি চার৷ এছাড়াও শেষবেলায় ব্যাট হাতে ভারতের জার্সিতে ২৩ বলে ৪০ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া৷ ২টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল তাঁর ইনিংসে৷ এঁদের ব্যাটে ভর দিয়েই ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮২ রান করে টিম ইন্ডিয়া৷
এদিকে ভারতের দেওয়া টার্গেট তাড়া করতে নেমে কোনও সময়েই স্বচ্ছন্দ্য ছিল না বাংলাদেশ৷ তাঁরা শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে শুরু করে৷ একটা সময়ে ১০ রানে ৩ উইকেট অবস্থা ছিল টিম বাংলাদেশের৷ শুরুর আঘাতটা করেন অর্শদীপ সিং৷
এরপর সব বোলাররাই একটা করে উইকেট পান৷ তালিকায় রয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া, মহম্মদ সিরাজ, অক্ষর প্যাটেল ১ টি করে উইকেট নেন৷ শেষ ওভার বল করতে এসে শিভম দুবে ২ উইকেট তুলে নেন৷
২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২০ রানে থেমে যায় বাংলাদেশ ইনিংস৷ বাংলাদেশের হয়ে মহমদুল্লাহ ২৮ বলে ৪০ রান করেন৷ অভিজ্ঞ শাকিব আল হাসান ৩৪ বলে ২৮ রান করেন৷
#মিরপুর: মিরপুর টেস্ট চতুর্থ দিন সকালে ভারত জিতলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেভাবে কেঁপেছে ভারতীয় দল সেটা ভাল চোখে দেখছেন না সুনীল গাভাসকার। কিংবদন্তি তারকা ক্রিকেটার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ভারতের এই জয় অশ্বিন এবং শ্রেয়স আইয়ার না থাকলে সম্ভব ছিল না। তবে জয় সবসময় জয়। তার কৃতিত্ব দিতেই হবে। কিন্তু এই জয় পেতে ভারতের গাম রক্ত ছুটে গিয়েছে।
সবচেয়ে বড় কথা জঘন্য ফিল্ডিং করেছে ভারতীয় দল। গাভাসকার মনে করেন যে ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় তাদের ফিল্ডিং এত খারাপ কেন হতে পারে? সানি জানিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটে ইতিহাসে দ্রাবিড় অন্যতম সেরা স্লিপ ফিল্ডার ছিল। সেই লোকের দল কেন স্লিপ ফিল্ডিং করার সময় এত দুর্বল?
আরও পড়ুন – বাংলাদেশের মিরাজকে মনে ধরেছে কিং কোহলির! দিয়ে গেলেন নিজের সই করা জার্সি
এটা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। আগেও ভারতের ফিল্ডিং কোচ দিলীপকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল দলের অন্দরমহলে। বোর্ডের অনেকেও দিলিপের কাজে খুশি নয়। কিন্তু কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের হাত রয়েছে তার মাথায়। অনেকেই মনে করছেন রবি শাস্ত্রীর আমলে দলে থাকা ফিল্ডিং কোচ শ্রীধর এর থেকে ভাল ছিলেন।
For his crucial match-winning 42* in the second innings and valuable all-round effort in the second #BANvIND Test, @ashwinravi99 is named the Player of the Match as India win by 3 wickets ??
Scorecard – https://t.co/CrrjGfXPgL pic.twitter.com/cDH48bO2tR
— BCCI (@BCCI) December 25, 2022
গাভাসকার বিরাট কোহলির আগে অক্ষর প্যাটেলকে ব্যাট করতে পাঠানো মেনে নিতে পারছেন না সানি। যদি বিরাট কোহলি নিজে না বলে থাকে তাহলে এটা সঠিক সিদ্ধান্ত নয় মনে হয়েছে তার। সব মিলিয়ে ভারত ২-০ ব্যবধানের টেস্ট জিতলেও দল হিসেবে টেস্টে অনেক উন্নতি প্রয়োজন পরিষ্কার করে দিয়েছেন গাভাসকার। অর্থাৎ যেটা মুখে বলেননি তা হল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বড় দল গুলোর বিরুদ্ধে অবস্থার শোচনীয় হবে ভারতীয় দলের।
বাংলাদেশ – ২২৭ এবং ২৩১
ভারত – ৩১৪ এবং ১৪৫/৭
ভারত জয়ী তিন উইকেটে
#মিরপুর: লক্ষ্য মাত্র ১৪৫ রানের। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে এমন লক্ষ্য দিয়ে জয়ের আশা করা তো বাড়াবাড়িই। তবে অবিশ্বাস্য কিছুর স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন বোলাররা। ভারতের বিপক্ষে এর আগে কখনও টেস্ট জেতেনি বাংলাদেশ। দলকে ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছিলেন সাকিব-মিরাজরা। ১৪৫ তাড়া করতে গিয়ে যে ৭৪ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল ভারত।
তবে টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষ সারির দলটি এমন পরিস্থিতি থেকেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। অষ্টম উইকেটে শ্রেয়স আইয়ার আর রবিচন্দ্রন অশ্বিন অবিচ্ছিন্ন ৭১ রানের জুটিতে ঠাণ্ডা মাথায় জয় বের করে নিয়ে এসেছেন। মিরপুর শেরে বাংলায় রোমাঞ্চ ছড়ানো এই টেস্টে চতুর্থ দিনের সকালে এসে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে ভারত।
দুই ম্যাচের সিরিজ তারা জিতেছে ২-০ ব্যবধানে। আগের দিন ৩৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল ভারত। চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ওভারেই আশা আরও বড় করেন সাকিব আল হাসান। জয়দেব উনাদকাটকে (১৩) এলবিডব্লিউ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৫৬ রানে ভারত হারায় ৫ উইকেট। উনাদকাট অবশ্য নাইটওয়াচম্যান ছিলেন।
2⃣2⃣2⃣ runs in 2 Tests ?
Highest score of 1⃣0⃣2⃣* ?Congratulations to @cheteshwar1 on being named the Player of the Series ??
Scorecard – https://t.co/CrrjGfXPgL#TeamIndia | #BANvIND pic.twitter.com/C7xkq9GtJJ
— BCCI (@BCCI) December 25, 2022
বাংলাদেশের জয়ে মূল বাধা ছিলেন ঋষভ পন্ত আর শ্রেয়স আয়ার। এর মধ্যে উনাদকাটের পরই ভয়ংকর পন্ত (৯) মেহেদি হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন সমর্থকরা। পরের ওভারে মিরাজ বোল্ড করেন অনেকটাই সেট হয়ে যাওয়া অক্ষর প্যাটেলকেও (৩৪)।
তবে এরপর আর পারেনি বাংলাদেশ। অশ্বিন-আইয়ারের জুটির কাছে হার মানতে হয়। অশ্বিন ৪২ আর আইয়ার ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। মেহেদি হাসান মিরাজ ৬৩ রানে নেন ৫টি উইকেট। সাকিব নেন দুটি। অশ্বিন শেষদিকে ছক্কা এবং চার মেরে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন। পাশাপাশি বুঝিয়ে দেন কেন টেস্ট ক্রিকেটে তিনি এই দলটার সম্পদ। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন তিনি। সিরিজের সেরা হয়েছেন চেতেশ্বর পূজারা।
#মিরপুর: রাহুল দ্রাবিড় কেমন এক চরিত্র, যার কাছে প্রয়োজনে বিপক্ষ দলের ক্রিকেটাররাও টিপস নিতে পিছপা হন না। রাহুল এর আগেও পাকিস্তান এবং বহু ভিন্ন দলের ক্রিকেটারদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। তারা উপকৃতও হয়েছেন। এবার ভারতের সাথে ওয়ানডে সিরিজে তিন ম্যাচে করেছেন মাত্র (১৮, ১২ ও ৭) ৩৭। ভারতীয়দের সঙ্গে চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংসেও (২৮ ও ২৩) ব্যাট কথা বলেনি। সব মিলিয়ে সময়টা ভাল কাটছে না।
আরও পড়ুন – লাখো মানুষের মাঝে এমবাপেকে ‘অপমান’ মার্টিনেজের! আর্জেন্টিনার সেলিব্রেশনে নতুন বিতর্ক
শেরে বাংলায় উপস্থিত অল্প সংখ্যক মিডিয়াকর্মির চোখে পড়ল সেন্টার উইকেটের কাছে দাঁড়ানো মুশফিক একান্তে কথা বলছেন রাহুল দ্রাবিড়ের সাথে। মিডিয়া কর্মীদের কেউ কেউ খুব উৎসাহ নিয়ে তা জানার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। মঙ্গলবার মুশফিক মিডিয়ার সাথে কথা বললে হয়তো জানা যেত; কিন্তু ভারতীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশের কেউ প্র্যাকটিসে মিডিয়ার সামনে আসেননি।
Mushfiqur Rahim spotted receiving batting tips from Indian coach Rahul Dravid ?#BANvsIND #CricketTwitter pic.twitter.com/4Qlg0ClUqH
— SportsTiger (@StigerOfficial) December 21, 2022
ওদিকে অন্তর্মুখী স্বভাবের মুশফিক তার আপনজনের সাথেও এ নিয়ে খোলমেলা কথা বলেননি। আসলে তিনি কি বলেছেন, আদর্শ টেকনিক, ব্যাটিং স্কিল আর দুর্দান্ত টেম্পরামেন্টের অধিকারী রাহুল দ্রাবিড়ের কাছে মুশফিকের জিজ্ঞাসা কি ছিল? দ্রাবিড়ের কাছে কি কোনো টেকনিক্যাল বিষয় জানতে চেয়েছিলেন?
তা কারো কাছেই প্রকাশ করেননি মুশফিক। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান এবং উইকেট রক্ষক নিজেও জানেন দল তার ওপর কতটা নির্ভর করে স্কোরবোর্ডে বড় রান তোলার জন্য। তাই খারাপ ফর্ম পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া মুশফিক নিজেও।
#চট্টগ্রাম: সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। শেষ ওয়ানডেতে এসে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ঝাল মেটাচ্ছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। তাসকিন-মোস্তাফিজদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলায় মেতেছেন ইশান কিশান আর বিরাট কোহলি। ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর কিশান-কোহলি মিলে এরই মধ্যে গড়েছেন ২৮০ রানের জুটি। এর মধ্যে বেশি ভয়ংকর কিশান।
৮৫ বলে ঝোড়ো সেঞ্চুরি করা এই বাঁহাতি ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটিকে রূপ দিয়েছেন ডাবলে, ১২৬ বলেই। যেটি কিনা ওয়ানডে ইতিহাসের দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড। ফেরার পথে কিষাণ অভিনন্দন পেলেন বাংলাদেশ দলেরও।
লিটন দাস তো অনেকটা পথ দৌড়ে গিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে এলেন লিটনও। কিষাণের ইনিংসটি ছিল এমনই বিশেষ কিছু। আউট হওয়ার আগে কোহলির সঙ্গে কিষাণের জুটিতে উঠেছে ২৯০ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে ওয়ানডেতে এখন এটিই সর্বোচ্চ।
Ishan Kishan departs after scoring a stupendous 210 ???
Live – https://t.co/ZJFNuacDrS #BANvIND pic.twitter.com/oPHujSMCtY
— BCCI (@BCCI) December 10, 2022
তাসকিনকে তুলে মেরেছিলেন। লং অনে অবশেষে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়লেন। ১৩১ বলে ২১০ রানের রেকর্ড ইনিংস খেলার পর থামলেন ঈশান কিষাণ। ২৪ বাউন্ডারি এবং দশটি ছক্কা মারেন ঈশান। এরপর বিরাট কোহলি একদিনের ক্রিকেটে নিজের শত রান করে ফেললেন। ছয় মেরে সেঞ্চুরি করেন বিরাট। ২০১৯ আগস্ট মাসের পর একদিনের ক্রিকেটে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি।
#চট্টগ্রাম: নিজেদের ঘরের মাঠে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একদিনের পারফরমেন্স শেষ কয়েক বছর ধরে বেশ ভাল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও তারা জিতেছে। পিচ নিয়ে সমালোচনা হলেও সেটার সুবিধে সব দেশ নিয়ে থাকে। তাই সেটা নিয়ে বাংলাদেশকে দোষ দেওয়ার কারণ নেই। ২০১৫ সালের পর ২০২২। ভারতের প্রথম সারির দলের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ দখল করেছে বাংলাদেশ।
আগামী ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে তৃতীয় তথা শেষ ওয়ানডে। সেটি জিতলে প্রথমবারের মতো ভারতকে ধোলাই করবে টাইগাররা। গত দুই ম্যাচে টাইগারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করা অসম্ভব বলে মনে করছেন না খালেদ মাহমুদ সুজন।
এই সিরিজে ছুটিতে থাকা খালেদ মাহমুদ সুজন আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলায় সাংবাদিকদের বলেন, অবশ্যই সম্ভব (হোয়াইটওয়াশ করা)। স্বপ্ন দেখি। কারণ আমরা এখনো আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারিনি। যদিও দুটি ম্যাচ আমরা জিতেছি। তবে টপ অর্ডার থেকে আরো বেশি আশা করি, আরো ভালো ব্যাটিং, আরো ভালো কিছু করতে পারি।
বোলারদের পারফরম্যান্সে আমি খুবই খুশি, বিশেষ করে চাপের মধ্যে তারা যে রকম বোলিং করেছে। দুটি ওয়ানডেতেই বাংলাদেশের টপ অর্ডার বড় রান করতে পারেনি। প্রথম ওয়ানডেতে লিটন আর সাকিব কিছু রান করেছিলেন। বাকিরা কিছুই করতে পারেননি। সুজন বলেন, টপ অর্ডারে একটা বড় জুটি, কারো বড় রান দেখার অপেক্ষায় আছি।
? NEWS ?: Kuldeep Yadav added to #TeamIndia squad for the final ODI against Bangladesh. #BANvIND
Other Updates & More Details ?https://t.co/8gl4hcWqt7
— BCCI (@BCCI) December 9, 2022
চট্টগ্রামের উইকেটে যা খুবই সম্ভব। আমরা যদি ভালো ব্যাট করি, ভালো জায়গায় বল করি, আরেকটা জয় খুবই সম্ভব। ওয়ানডে ক্রিকেটে আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারি। সেই সাহস ও সামর্থ্য আমাদের দুটোই আছে। সেই বিশ্বাস নিয়ে যদি আমরা মাঠে নামতে পারি, চট্টগ্রামেও সম্ভব জয়।
এদিকে ভারতের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ জানিয়েছেন ভারতের পারফরমেন্স কৃপ্ট কারেন্সির মতো পড়ে গিয়েছে। এখন দেখার সম্মান রক্ষার ম্যাচে ভারত জিতে শেষ করতে পারে কিনা? নাকি পদ্মা পার থেকে মুখ পুড়িয়ে দেশে ফেরে!
#অ্যাডিলেড: কোনও দল যখন দারুণ পারফর্ম করে তখন দলের প্রতিটা সদস্যের সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে৷ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা শুধু অনফিল্ড জার্সিধারী পারফরমারদের চিনি, কিন্তু যাঁরা নেপথ্যে থেকে দলের প্রতিটা প্লেয়ারের পারফরম্যান্সকে আরও শানদার করে দেন তাঁদেরকেও একইভাবে কুর্নিশ করা উচিত৷ ভারত বনাম বাংলাদেশ বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বিরাট কোহলি, অর্শদীপ সিং, কেএল রাহুলরা যেরকম নডর কেড়েছেন ঠিক তেমনিই আরেকজনকেও ক্যামেরা অবজ্ঞা করতে পারেনি৷ মাঠে এদিন দেখা যায়৷
এদিন বৃষ্টির পর একজন নীল জার্সিধৈারী মানুষ মাঠ জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, হাতে ছিল একটি ব্রাশ৷ যিনি ঘুরছিলেন তাঁর নাম রাঘবেন্দ্র তবে রঘু নামেই তিনি বেশি পপুলার৷ তিনি ভারতীয় দলের থ্রো ডাউন স্পেশালিস্ট৷ ভারতীয় সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ তিনি প্র্যাকটিশের সময় ভারতীয় প্লেয়ারদের বিশেষভাবে অনুশীলন করতে সাহায্য করেন৷ তাঁর বিশেষ ধরণের অনুশীলন সাহায্য করে প্লেয়ারদের অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশের বাউন্স ও গতিতে ভরা পিচে খেলতে৷
আরও পড়ুন – আজ নিজের সংসদীয় এলাকায় বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত থাকবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, সবার নজর সেখানেই
মাঠের আউটফিল্ড ভিজে থাকায় প্লেয়ারদের জুতো ভিজে গিয়ে দৌড়তে অসুবিধা হচ্ছিল৷ যাতে বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের সময়ে তাঁরা পড়ে না যান তাই রঘু তাঁদের জুতো পরিষ্কার করছিলেন৷
আরও পড়ুন – যা জানতে চান তাই খোঁজেন Google-এ, কিন্তু ভুলেও ‘এই’ সব জিনিস গুগল সার্চে দেবেন না, ঘনিয়ে আসবে বড় বিপদ
সোশ্যাল মিডিয়ায় রঘুকে এই সব কাজের জন্য প্রচুর মানুষ কুর্নিশ করেন৷
Respect Raghu bhai❤️ pic.twitter.com/JoTzCe27c4
— Mehul ?? (@mahzz04) November 2, 2022
India’s sidearm thrower ‘Raghu’ ran around the ground with a brush in his hand to clean the shoes of Indian Players. Due to rain, there was a possibility of players slipping with wet shoes but he ensured it doesn’t happen. Great Job!!#INDvsBAN #ViratKohli? #T20WorldCup2022 pic.twitter.com/0Uc0BYL14d
— Palash Naidu (@NaiduPalash) November 2, 2022
Off field hero of Indian team.?
He is India’s sidearm thrower Raghu who is running around the ground with a brush in hand to clean the shoes of Indian players to avoid the possibility of them sleeping.#T20Iworldcup2022 #INDvsBAN #ViratKohli? #Rain #KLRahul? #T20WorldCup pic.twitter.com/d3BdJkHn5M
— Rajan Rai (@RajanRa05092776) November 2, 2022
ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ বিরাট কোহলি (৪৪ বলে ৬৪ নটআউট), কেএল রাহুল (৩২ বলে ৫০) করেন৷ কিন্তু লিটন দাসের ঝোড়ো ইনিংসে ভারতের করা ৬ উইকেটে ১৮৪ রান হঠাৎই কম পড়ছে বলে মনে হচ্ছিল৷
কিন্তু বৃষ্টির ফলে ডার্কওয়ার্থ লুইস নিয়মে পরিবর্তিত টার্গেট পায় বাংলাদেশ৷ ১৬ ওভারে ১৫১ করতে হত তাঁদের৷ বাংলাদেশ শেষ অবধি ৬ উইকেটে ১৪৫ রান করেন৷ ভারতীয় দল ৬ পয়েন্ট পেয়েছে ৪ ম্যাচ থেকে৷ এবার জিম্বাবোয়েকে হারালেই ভারতের সেমিফাইনাল বার্থ একেবারে নিশ্চিত করে নিয়েছে৷
ভারত – ৫
বাংলাদেশ – ২
#ভুবনেশ্বর: ভারতীয় ফুটবলে পরবর্তী সময় সুনীল ছেত্রীর জায়গা নেবে কে? এই প্রশ্নটা বহুবার শুনতে হয়। তবে সুনীল নিজেও খুশি হতেন অনূর্ধ্ব ২০ সাফ ফাইনালে গুরকিরাত সিং কে দেখতে পেলে। এই ছেলে যে ভবিষ্যতের সুপারস্টার তার প্রমাণ পাওয়া গেল। আইএসএলে মুম্বইয়ের হয়ে খেলেন। তার বাঁ পা ছুরির মত। লিগ পর্বে অপরাজিত থাকা বাংলাদেশ ফাইনালে এসে পথ হারাল।
আরও পড়ুন – Sakshi Malik CWG : মা হওয়া পিছিয়ে দিয়েছিলেন! সোনার স্বপ্ন সফল করে এখন চোখে জল সাক্ষীর
শুরুতেই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ প্রথমার্ধেই টানে সমতা। দ্বিতীয়ার্ধে উদ্যমী বাংলাদেশ এগিয়েও যায়। নব্বই মিনিটের পর অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। দশ মিনিটের মধ্যে তিন গোল হজম করে ফাইনাল হারের হতাশায় ডুবে বাংলাদেশ।
Team India, all your efforts to bring glory to the national team in the SAFF U20 championship just paid off ?? Congratulations on this big win ??? @indianfootball#SAFFChampions #IndianFootball https://t.co/P5oasIyskL
— Akash Mishra (@akashmishra_4) August 6, 2022
ভুবনেশ্বরের কালিঙ্গা স্টেডিয়ামে শুক্রবার সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের কাছে ৫-২ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। স্পট কিক থেকে ভারতকে এগিয়ে নেন গুরকিরাত সিং। বিরতিতে যাওয়ার আগেই সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। ৪৫ মিনিটে রফিকুলের কাটব্যাকে বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের গতির শটে জাল খুঁজে নেন রাজন হাওলাদার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। ভারতের রক্ষণে প্রবল চাপ দিয়ে এগিয়ে যায় পল স্মলির দল। ৪৮ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে ইমরানের লম্বা বল গিয়ে পড়ে ভারতের বক্সে,স্বাগতিকদের এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলে পিয়াসের মাথায় লেগে চলে যায় শাহীনের পায়ে। দেখে-শুনে বাম পায়ের গতির শটে লক্ষ্যভেদ করেন ডিফেন্ডার শাহীন মিয়া।
৬০ মিনিটে সমতায় ফেরে ভারত। ডি বক্সের মুখ থেকে গুরকিরাত সিংয়ের বুলেট গতির শট জালে জড়ায়। অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই বাজিমাত ভারতের। হিমাংশুর গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। পরের মিনিটেই হ্যাটট্রিক পূরণ করে ব্যবধান ৪-২ করে ফেলেন গুরকিরাত সিং।
এরপর আরও বিধ্বংসী ভারত। ৯৯ মিনিটে বক্সের প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের শটে চোখ ধাঁধানো গোল করেন গুরকিরাত। এই ম্যাচে চার গোলসহ টুর্নামেন্টে মোট আট গোল ভারতীয় এই ফরোয়ার্ডের।