‘এই কঠিন সময়ে কেরলের মানুষের পাশে আছি’, ভূমিধ্বস বিধ্বস্ত ওয়ানাডে ত্রাণ পাঠাল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন

Wayanad: ‘এই কঠিন সময়ে কেরলের মানুষের পাশে আছি’, ভূমিধ্বস বিধ্বস্ত ওয়ানাডে ত্রাণ পাঠাল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন

ভূমিধ্বসে বিধ্বস্ত ওয়ানাডের পাশে দাঁড়াল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। ইতিমধ্যেই ত্রাণ পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন ওয়ানাড গঠনে পাশে থাকার প্রতিশ্রতিও দিয়েছে সংস্থা। শুধু তাই নয়, দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের রূপরেখাও জানানো হয়েছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে। তাতে রয়েছে ত্রাণ থেকে পুননির্মাণের সামগ্রিক পরিকল্পনা।

কেরলের নজিরবিহীন বিপর্যয়ে শোকপ্রকাশ করে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি বলেছেন, “এই বিপর্যয়ে আমরা গভীরভাবে ব্যথিত। ভূমিধ্বসের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ওয়ানাডের মানুষ। প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি এবং পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের টিম ওয়ানাডে রয়েছে। এই কঠিন সময়ে আমরা কেরলের জনগণের পাশে আছি।’’

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন জিনিস বাগানে সবুজ, বাজারে কালো আর ‘বাড়িতে লাল’ হয়? রান্নাঘরেই আছে কিন্তু! ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন

ওয়ানাডে সরকার এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। ত্রাণশিবিরগুলিতে দুধ, ফল-সহ পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে কেরলের দুর্ভোগ পীড়িত মানুষের জন্য তাৎক্ষণিক, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি সহায়তার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সংস্থা। এর আগে ২০১৮, ২০১৯, ২০২১-এর বন্যা এবং করোনা মহামারীর সময়ও কেরলে ত্রাণ ও অন্যান্য সহায়তা নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন।

ওয়ানাড এবং দেশের অন্যান্য বিপর্যয় সঙ্কুল এলাকায় ত্রাণ এবং সবরকমভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। এই মুহূর্তে ওয়ানাডবাসীর হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে –

পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার – এর মধ্যে ফলমূল-সহ রয়েছে রেডি-টু-ইট খাবার। পাঠানো হয়েছে দুধ, শুকনো রেশন, বাসনকোসন, স্টোভ ইত্যাদি। যাতে ত্রাণশিবিরে আশ্রিতরা নিজেরাই রান্না করে খেতে পারেন।

জল, স্যানিটেশন এবং হাইজিন – পাঠানো হয়েছে পানীয় জল এবং স্বাস্থ্যবিধি ও মৌলিক স্বাস্থ্যের জন্য যা যা অপরিহার্য, সেই সব জিনিস।

অস্থায়ী আশ্রয় – ক্ষতিগ্রস্থদের অস্থায়ী আশ্রয় এবং জীবনযাপনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন বিছানা, সৌরলন্ঠন, টর্চ, পোশাক ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: শখ করে হাতে-পায়ে রাখা বড় বড় নখ? পাঁচ পাঁচটি রোগের আঁতুড়ঘর, কতদিন অন্তর কাটা উচিত? জেনে নিন

বীজ, পশুখাদ্য, সরঞ্জাম – এই বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। ফের শুরু করতে হবে নতুন জীবন। সেই লক্ষ্যেই চাষের বীজ, পশুখাদ্য এবং অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। মানুষ যাতে নতুন করে জীবিকা শুরু করতে পারেন।

শিক্ষা – ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া পড়ুয়াদের জন্য বই পাঠানো হয়েছে। সঙ্গে ছোটদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে খেলনা।

যোগাযোগ – বিপর্যস্ত এলাকায় স্থাপন করা হচ্ছে, জিও ডেডিকেটেড টাওয়ার। দেওয়া হচ্ছে জিও ভারত ফোন। ওয়ানাডবাসী, উদ্ধারকর্মী এবং বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দলগুলির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনই মুখ্য উদ্দেশ্য।

মানসিক-সামাজিক সহায়তা – ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন ওয়ানাডের মানুষ। তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।