আলিপুরদুয়ার:গত বছর এরকম সময়েই ডুবে গিয়েছিল চা বাগান। নদীর কূল ছাপিয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মেচপাড়া চা বাগানে। সেই ১৩ জুলাই আসতে আর বেশি দেরি নেই। আতঙ্কিত আলিপুরদুয়ারের চুয়াপাড়া, মেচপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। অতি বৃষ্টিতে ভুটানের পার্বত্য এলাকার পানা নদীর জল বাড়তেই প্রমাদ গুনছেন এলাকাবাসী।
কালচিনি ব্লকের মেচপাড়া চা বাগানে গতবার বন্যা পরিস্থিতির পর জেলা প্রশাসনের আর্জিতে কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ১৭ জন জওয়ানের একটি দল এসেছিলেন কালচিনি ব্লকের হ্যামিল্টনগঞ্জে। প্রতি বর্ষায় তাঁরা আসবেন এই এলাকাতে, এমনই জানিয়েছিলেন। বৃষ্টি বেশি হতেই ফুঁসে উঠেছে নদীর জল। ইতিমধ্যে নদীটি বালির বাঁধ ভেঙে ফেলেছে। লাগাতার ভারি বৃষ্টি চলতে থাকলে জল গ্রামে প্রবেশ করে ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের। বালির বাঁধ নয়, এলাকায় পাকা বাঁধ দিলে তবেই এই সমস্যা মিটবে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির পরই ভাঙন! বেহাল রাস্তায় আতঙ্কের দিন কাটছে কোচবিহারের নথিবাড়ির
গত বছর ১৩ জুলাই পানা নদীর জল মেচপাড়া চা বাগানে প্রবেশ করায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। বেশ কয়েকঘণ্টা আটকে থাকেন পাকা লাইন এলাকার বাসিন্দারা। বায়ুসেনার জওয়ানরা এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। এ বছরেও একই পরিস্থিতি হতে চলেছে, বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা বাসিন্দাদের।
অনন্যা দে