থ্রেট কালচার বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে নামেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷

RG Kar threat culture: থ্রেট কালচারে বন্ধে কড়া আরজি কর! দশ ডাক্তারি পড়ুয়াকে বহিষ্কার, বড় শাস্তি বাকিদেরও

কলকাতা: থ্রেট সিন্ডিকেটের শিকড় উপড়ে ফেলতে কড়া ব্যবস্থা নিল আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ অভিযুক্ত ৫৯ জন ডাক্তারি পড়ুয়া সহ জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মূলত ১৪ ধরনের অভিযোগ পেয়েছেন তদন্ত কমিটির ৭ জন সদস্য৷ তদন্ত শেষে শনিবারই থ্রেট কালচার, যৌন হয়রানির মতো অভিযোগে অভিযুক্ত দশ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে আরজিকর হাসপাতাল থেকেই বহিষ্কার করা হয়েছে৷

এমন কি, শাস্তি পাওয়া এই জুনিয়র চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে কি না, তা মূল্যায়ন করে দেখতে মেডিক্যাল কাউন্সিলকেও সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি৷ বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷

যে দশ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন, সৌরভ পাল, আশিস পাণ্ডে, অভিষেক সেন, আয়ুশ্রী থাপা, নির্জন বাগচি, শরিফ হাসান, নীলাঙ্গি দেবনাথ, অমরেন্দ্র সিং, সৎপাল সিং এবং তনভির আহমেদ কাজি৷

আরও পড়ুন: সাড়ে আটটা বাজতেই আমরণ অনশনে ৬ জুুনিয়র চিকিৎসক! নেই আরজি করের কেউ

অভিযুক্ত এই ৫৯ জনের মধ্যে আরজি কর হাসপাতালের হাউজ স্টাফ, ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও ছিলেন৷ তাঁদের বিরুদ্ধে মূলত ১৪ ধরনের অভিযোগ পেয়েছিল তদন্ত কমিটি৷ এই অভিযোগগুলির মধ্যে ছিল পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি, যৌন হেনস্থা ও দুর্ব্যবহার, পড়ুয়াদের থেকে টাকা তোলা, গভীর রাতে মদ্যপান, ড্রাগ সেবনে বাধ্য করা, ইচ্ছের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সমাবেশে যোগ দিতে বাধ্য করার মতো গুরুতর অভিযোগ৷

যে দশজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কলেজ ক্যাম্পাসে মহিলাদের হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। আরজি কর মেডিকেল কলেজের ইন্টারনাল কমিটির কাছে বিভাগীয় তদন্তের আবেদন তদন্ত কমিটির। অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির কাছেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই দশজনের উপরে চিরকালের জন্য হোস্টেলের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি শাস্তি প্রাপ্ত দশ জনের নামেইমেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে অভিযোগ, মেডিক্যাল রেজিস্ট্রেশন মূল্যায়ন এবং রাজস্তরের গঠিত গ্রিভান্স কমিটির কাছে অভিযোগ জানানো হবে। এই দশজন ডাক্তারি পড়ুয়ার অভিভাবকদের মেইল করে গোটা অভিযোগের কথা জানানো হয়েছে এবং তাঁদেরকে সশরীরে এসে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে।

মূল অভিযুক্ত দশজন ছাড়া আরও ২৭ জন ডাক্তারি পড়ুয়ার উপরে এক বছরের জন্য মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ তবে তাঁদেরও কলেজ হস্টেল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে৷ ছ মাসের জন্য বাতিল করা হয়েছে ইন্টার্নশিপ৷ হাউজ স্টাফশিপও বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে তদন্ত কমিটি৷ এমবিবিএস পাঠরত ছাত্রদের জন্য পরীক্ষা বাদ দিয়ে এক বছরের জন্য কলেজে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷

এ বাদে আরও ১৬ জন অভিযুক্তের তিন মাসের জন্য ইন্টার্নশিপ বাতিল হয়েছে৷ এই ১৬ জনের মধ্যে এমবিবিএস পড়ুয়ারা অন্যান্য শাস্তির পাশাপাশি পরীক্ষা বাদ দিয়ে ৬ বছরের জন্য কলেজে ঢুকতে পারবেন না৷ আরও ছয় অভিযুক্তের অভিভাবকদের ডেকে সতর্ক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷