দুর্গা প্রতিমা

Durga Puja 2024: ৭০০ বছরের প্রাচীন খড়দহের ক্ষেত্রপাল ঠাকুরবাড়ি, কালিকাপুরাণ মতে হয় দেবি আরাধনা

৭০০ বছরের এই পুজোয় আজও কমেনি যৌলুস। পুজো আসলেই সাজসাজ রব পড়ে যায় খড়দহের ক্ষেত্রপাল ঠাকুরবাড়িতে (তথ্য ও চিত্র: রুদ্র নারায়ণ রায়)
৭০০ বছরের এই পুজোয় আজও কমেনি যৌলুস। পুজো আসলেই সাজসাজ রব পড়ে যায় খড়দহের ক্ষেত্রপাল ঠাকুরবাড়িতে (তথ্য ও চিত্র: রুদ্র নারায়ণ রায়)
প্রাচীন এই পুজোকে ঘিরে আজও এলাকায় রয়েছে নানা মিথ। শোনা যায়, শান্তিপুরের বাবলা গ্রামের বাসিন্দা দুই ভাই ছিলেন নিধুরাম ভট্টাচার্য (নেউড়) এবং ভৃগুরাম ভট্টাচার্য (বেউড়) দুজনেই ছিলেন তান্ত্রিক। তাঁরা মাঝেমধ্যেই খড়দহের নাথুপাল শ্মশানঘাটে গঙ্গাস্নানে আসতেন। সে সময়ে রাধাকান্ত মন্দিরের প্রধান পুরোহিত কামদেব পন্ডিত ওই দুই যোগী পুরুষকে খড়দহে এসে বসবাসের অনুরোধ জানান
প্রাচীন এই পুজোকে ঘিরে আজও এলাকায় রয়েছে নানা মিথ। শোনা যায়, শান্তিপুরের বাবলা গ্রামের বাসিন্দা দুই ভাই ছিলেন নিধুরাম ভট্টাচার্য (নেউড়) এবং ভৃগুরাম ভট্টাচার্য (বেউড়) দুজনেই ছিলেন তান্ত্রিক। তাঁরা মাঝেমধ্যেই খড়দহের নাথুপাল শ্মশানঘাটে গঙ্গাস্নানে আসতেন। সে সময়ে রাধাকান্ত মন্দিরের প্রধান পুরোহিত কামদেব পন্ডিত ওই দুই যোগী পুরুষকে খড়দহে এসে বসবাসের অনুরোধ জানান৷
সেই থেকে প্রাচীন রীতি মেনে দুই ভাইয়ের হাত ধরেই মায়ের পুজো হয় কালিকাপুরাণ মতে। প্রতিপদে চণ্ডীঘট তুলে দুর্গাদালানে মায়ের আরাধনা শুরু হয়। পঞ্চমীতে দালান লাগোয়া বেলতলায় অধিষ্ঠান করেন মা দুর্গা। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় মা ফের আসেন দুর্গাদালানে
সেই থেকে প্রাচীন রীতি মেনে দুই ভাইয়ের হাত ধরেই মায়ের পুজো হয় কালিকাপুরাণ মতে। প্রতিপদে চণ্ডীঘট তুলে দুর্গাদালানে মায়ের আরাধনা শুরু হয়। পঞ্চমীতে দালান লাগোয়া বেলতলায় অধিষ্ঠান করেন মা দুর্গা। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় মা ফের আসেন দুর্গাদালানে
প্রতিপদের দিন থেকেই মাকে অন্নভোগ দেওয়া হয়। তাতে থাকে অন্ন, খিচুড়ি, পাঁচ রকম ভাজা, শুক্তো, ডাল, নানা উপাদেয় তরকারি, পায়েস, মিষ্টান্ন। রাতের শীতল ভোগে থাকে লুচি, সুজি, সব্জি, রাবড়ি, কাঁচা দুধ ও রকমারি মিষ্টি
প্রতিপদের দিন থেকেই মাকে অন্নভোগ দেওয়া হয়। তাতে থাকে অন্ন, খিচুড়ি, পাঁচ রকম ভাজা, শুক্তো, ডাল, নানা উপাদেয় তরকারি, পায়েস, মিষ্টান্ন। রাতের শীতল ভোগে থাকে লুচি, সুজি, সব্জি, রাবড়ি, কাঁচা দুধ ও রকমারি মিষ্টি
সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর দুপুরে এ সব ভোগের পাশাপাশি থাকে পোলাও, ধোকা, মুগের ঘণ্ট, মালপোয়া, দই ও নানা পদ। নবমীর রাতে ভাত, কচু শাক, ভাজা, ডাল, তরকারি, পায়েস রান্না করে তুলে রাখা হয়। দশমীতে মায়ের ভোগ হিসেবে তা অর্পণ করা হয়। একই সঙ্গে মাকে দেওয়া হয় পান্তা ভোগ
সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর দুপুরে এ সব ভোগের পাশাপাশি থাকে পোলাও, ধোকা, মুগের ঘণ্ট, মালপোয়া, দই ও নানা পদ। নবমীর রাতে ভাত, কচু শাক, ভাজা, ডাল, তরকারি, পায়েস রান্না করে তুলে রাখা হয়। দশমীতে মায়ের ভোগ হিসেবে তা অর্পণ করা হয়। একই সঙ্গে মাকে দেওয়া হয় পান্তা ভোগ
পুজোর ক'দিন কুলদেবতা ক্ষেত্রপাল, শিব, নারায়ণ, জগদ্ধাত্রী, গোপাল, চণ্ডী যান না শয়নে। দেবী মায়ের সিংহাসনে দশমীর ঘট বিসর্জনের আগে পর্যন্ত জেগে থাকেন তারা। রীতি অনুযায়ী মায়ের বিসর্জনের পর তাঁরা নিজেদের সিংহাসনে ঘুমোতে যান। আজও বিশ্বাস মেনে পুজো হয়ে আসছে এই খড়দহ ক্ষেত্রপাল বাড়ির দুর্গা প্রতিমা
পুজোর ক’দিন কুলদেবতা ক্ষেত্রপাল, শিব, নারায়ণ, জগদ্ধাত্রী, গোপাল, চণ্ডী যান না শয়নে। দেবী মায়ের সিংহাসনে দশমীর ঘট বিসর্জনের আগে পর্যন্ত জেগে থাকেন তারা। রীতি অনুযায়ী মায়ের বিসর্জনের পর তাঁরা নিজেদের সিংহাসনে ঘুমোতে যান। আজও বিশ্বাস মেনে পুজো হয়ে আসছে এই খড়দহ ক্ষেত্রপাল বাড়ির দুর্গা প্রতিমা