রক্ষকই ভক্ষক! প্রশাসনই প্রমাণ লোপাটের চেস্টা করেছিল, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে কী বলছেন নির্যাতিতার বাবা-মা!

RG Kar: ‘ আরজি কর আমার এক মেয়েকে কেড়েছে, কিন্তু লাখ-লাখ ছেলে-মেয়ে এনে দিয়েছে’

কলকাতা: বুধবার ঠিক রাত ৯টায় কর্মসূচি শুরু করলেন আরজি করের আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। হাসপাতালে ধর্নামঞ্চের সামনে আলো নেভানো হল, জ্বালানো হয়েছে মোমবাতি এবং প্রদীপ। আরজি করে নির্যাতিতার স্মরণে নীরবতা পালন করা হল। দু’মিনিট নীরবতা পালন করেন চিকিৎসকেরা। ‘আগুনের পরশমণি’ গান ধরেন প্রতিবাদীরা।

বিচার পেতে আলোর পথে, প্রদীপ জ্বালিয়ে অভিনব প্রতিবাদে আরজি করের পড়ুয়ারা। নাগরিক সমাজকেও প্রতিবাদ করার আবেদন জুনিয়র চিকিৎসকদের। আরজি কর হাসপাতালে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন নির্যাতিতার বাবা, মা এবং পরিবারের সদস্যেরা। মোমবাতি হাতে নিয়ে ‘বিচার চাই’ স্লোগানে গলা মেলাচ্ছেন তাঁরা। নির্জাতিতার মায়ের কথায়, ”আর জি কর যেমন আমার একটা মেয়েকে কেড়ে নিয়েছে, তেমনি লাখ-লাখ ছেলে মেয়েকে আমার কাছে এনে দিয়েছে। আমাকে অনেক শক্ত করেছে। আমি বিচার চাই। আমার যেমন প্রতিটা দিন, প্রতিটা রাত্রি ঘুমহারা, দোষীদের-ও যেন সেই অবস্থাই হয়।”

১৪ অগাস্ট পথ দখল করেছিল তামাম রাজ্য। চাহিদা একটাই, আরজি করের নিহত চিকিৎসক-পড়ুয়ার খুনের বিচার চাই। গর্জে উঠেছিল কাতারে-কাতারে মানুষ। মধ্যরাতে রাস্তায়-রাস্তায়, মোড়ে-মোড়ে মানুষের ঢল নেমেছিল। কার-ও হাতে মোববাতি,কারো হাতে মশাল। মুখে স্লোগান। কোথাও বা অনুষ্ঠিত হয়েছিল পথ-নাটিকা, কোথাও বা রাস্তাজুড়ে আঁকা হয়েছিল গ্র্যাফিটি। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। এই কর্মসূচির ডাক ছিল সমাজমাধ্যমে হওয়া পোস্টের মাধ্যমে। এ বার সরাসরি কর্মসূচির ডাক দিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। ‘বিচার পেতে আলোর পথে’ নামে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে আরজি করে। প্রথমে বলা হয়, শহরবাসী যেন ঘরের বৈদ্যুতিন আলো নিভিয়ে মোমের আলোয় প্রতিবাদ জানান। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে বলা হয়, মোমের আলোয় আলোর পথ তৈরি হোক। রাজি হন জুনিয়ার চিকিৎসকদের দলও।

আরজিকর থেকে যাদবপুর, কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা- গোটা শহর জুড়ে চলছে প্রতিবাদ মিছিল। বর্ধমানের কার্জন গেটে রাত দখল পালন করলেন মানবীরা। রাত নটা থেকে ঘন্টা খানেক জিটিরোডে অবস্থান করেন তাঁরা। উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান দেন তাঁরা। গানের মাধ্যমে আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদ জানান জুনিয়র ডাক্তাররা।আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিল ধূপগুড়িতে। মিছিলে হাটলেন ৮ থেকে ৮০ সকলে।মিছিল গোটা শহর পরিক্রমা করে। ধূপগুড়ি বাসস্ট্যান্ড চৌপতি এলাকায় নাগরিক মঞ্চের তরফে মোমবাতি হাতে প্রতিবাদ জানানো হয়।রায়গঞ্জের দেহশ্রী মোড়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে আর জি করের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদের শামিল হলেন সাধারণ মানুষ।