পলিগ্রাফ ফেল! সঞ্জয়ের নার্কো পরীক্ষার অনুমতি দিল আদালত, কাটবে কি আরজি কর জট?

Sanjay Rai Narco Test: সিবিআই চাইছে, কিন্তু সঞ্জয় নয়! নারকোর অনুমতি দিল না আদালত, আরজি কর কাণ্ডে আরও বাড়বে রহস্য?

কলকাতা: সঞ্জয় রাইয়ের নার্কো পরীক্ষার অনুমতি দিল না আদালত। শুক্রবার বেলায় আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হয়। ২টো নাগাদ তাকে আবার আদালত থেকে বের করে আনে সিবিআই।

সিবিআইয়ের তরফ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। বিচারকের চেম্বারে বিচারকের সামনে সঞ্জয় রাইয়ের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল, সেই সময় উনি সম্মতি দেননি। এর পর আদালতে সঞ্জয়ের আইনজীবী সঞ্জয় সম্মতি দেননি।  আইনজীবীর তরফেও জানানো হয় তিনিও সম্মতি দিতে চান না। ভিন রাজ্যে নিয়ে গিয়ে সিবিআই নারকো পরীক্ষা করাতে চাইছে, তাতেও আপত্তি রয়েছে ।

বিচারক জানান, সম্মতি ছাড়া কারও নারকো পরীক্ষা করা যায় না। করা হলে তার মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়। ২০১০ সালের কর্ণাটকের এক রায় উদ্ধৃত করে বলেন সেখানে কোনও অভিযুক্তর সম্মতি ছাড়া নারকো পরীক্ষা করা হলে সেটা হবে অসাংবিধানিক। এরপরই আদালত সিবিআইয়ের নারকো পরীক্ষার আবেদন খারিজ করে।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গত ৮ অগাস্ট রাতে জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে ধৃত সঞ্জয় রাই আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছে। পলিগ্রাফ টেস্টের সময় দোষ স্বীকার করেনি অভিযুক্ত সঞ্জয়। আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সে কোনও ভাবে জড়িত নয় বলেই জানায়। এর পরই তদন্তে গতি আনতে সঞ্জয়ের নার্কো পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই।

আরও পড়ুন- রাতে ঘুমনোর আগে নাভিতে ফেলুন ফোঁটা ফোঁটা তেল…কোন তেল আপনার জন্য? জেনে নিন!

গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চার তলার সেমিনার রুম থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। এক দিনের মধ্যে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। হাই কোর্টের নির্দেশে এই ধর্ষণ এবং খুনের মামলার তদন্তভার পায় সিবিআই।

আরও পড়ুন- আবর্জনা তোলার সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ! রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার ২ সাফাইকর্মী…আতঙ্ক হাওড়ায়!

এর আগে সিবিআই ধৃত সিভিকের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করায়। সিবিআই সূত্র মারফত জানা যায়, পলিগ্রাফ পরীক্ষায় ১০টি প্রশ্ন করা হয়েছিল অভিযুক্তকে। প্রতি ক্ষেত্রেই তিনি দাবি করেন, ওই অপরাধের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। প্রেসিডেন্সি জেলেই হয় এই পরীক্ষা। বর্তমানে ওই জেলেই বন্দি রয়েছেন অভিযুক্ত। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত মিথ্যা বলছেন কি না, কিংবা তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন কি না, তার কিছুটা আভাস পাওয়া যায় পলিগ্রাফ পরীক্ষায়।

সম্প্রতি অভিযুক্তের লালারস এবং কামড়ের নমুনা বা ‘টিথ ইমপ্রেশন’-ও সংগ্রহ করেছে সিবিআই। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, নিহত চিকিৎসকের শরীরে যে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল, সেগুলির সঙ্গে ওই কামড়ের নমুনা এবং লালারস মিলিয়ে দেখা হবে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবের সাহায্য নিচ্ছে তারা। এ ক্ষেত্রেও নিম্ন আদালতের অনুমতি নিয়েছিল সিবিআই। আদালত সম্মতি দেওয়ায় প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।