কলকাতাঃ নবান্নে পৌঁছেও বৈঠকে ঢোকেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন চিকিৎসকেরা। ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থানে জুনিয়র ডাক্তারেরা। সোমবার থেকে দুপক্ষের মধ্যে চেলেছে ইমেল চালাচালি। অবশেষে, আজ নবান্নে বৈঠকে গেলেন জুনিয়ার ডাক্তারা। নবান্নের সভাঘরে এসে উপস্থিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। তবে, এখনও তাঁরা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবিতে অনড়।
নবান্ন সূত্রে খবর, জুনিয়ার ডাক্তারদের কথা মেনেই ৩০জনকে ঢুকতে দেওয়া হল নবান্নের সভাঘরে। তবে, লাইভ স্ট্রিমিং হবে কিনা সেই নিয়ে কোনও স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি। প্রথম থেকেই নিজেদের পাঁচ দফা দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা। আলোচনা সভা শুরু আগে, শেষ মূহুর্তে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন আন্দোলনরত ডাক্তারেরা। তাঁদের প্রথম থেকেই অন্যতম শর্ত ছিল লাইভ স্ট্রিমিং। তবে, প্রশাসন সেই দাবি মেনে নিতে নারাজ। জুনিয়ার ডাক্তদের সঙ্গে সেই বিষয়ে বারবার কথা বলছেন, এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার, সিপি হাওড়া। মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব বেরিয়ে এলেন কথা বলতে। স্বরাষ্ট্র সচিব কথা বলছেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। অন্যদিকে, ডিজি পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে আলাদা কথা বলছেন।
নবান্নের চিঠির উত্তরে জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ‘আমরা মনে করি যে সদর্থক বার্তা এসেছিল সেটাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা বৈঠকে যাব। যে পথে ছিলাম, সেই পথেই থাকব। ৩০ জন মিলে যাব। সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে। তাঁদের কথায়, লাইভ সম্প্রচার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথ। সুপ্রিম কোর্টে লাইভ স্ট্রিমিং হয়, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা লাইভ করা হয়, তাহলে সমস্যা কোথায়? আমরা আমাদের বাসে যাব…’
গত দু’দিন ধরে নবান্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনার রফাসূত্র মেলেনি।নবান্নর তরফে চিঠিতে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় ফের আলোচনার প্রস্তাব পাঠানো হল। সর্বাধিক ১৫ জন আসতে পারবেন। কিন্তু লাইভ হবে না। কিন্তু রেকর্ড করা যাবে। নবান্নের হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হবে। তার প্রেক্ষিতেই এই বক্তব্য জুনিয়র ডাক্তারদের। সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির প্রিন্সিপাল বা অধিকর্তার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে বেলা দু’টোর মধ্যে কতজন জুনিয়ার ডাক্তার কাজে যোগ দিয়েছেন।