তাঁর দাবি, সকাল ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ তিনি ওই দেহ পড়ে থাকার খবর পেয়েছিলেন। তবে সূত্রের মতে, সিবিআই-কে দেওয়া বয়ানে সন্দীপের গাড়ির চালক দাবি করেছেন, ভোর ৬টা নাগাদ একটি ফোন পেয়ে নিজের বাসভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তবে সন্দীপ ঘোষ কেন তাড়াহুড়ো করেছিলেন, তাঁকে ১৫ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং দুটি লাই-ডিটেকশন টেস্ট করিয়েও সেই কারণ স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।

RG Kar Case: আরজি করের ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন! এদিকে প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা করছে সিবিআই; উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তে আপাতত সিবিআই-এর সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে ময়নাতদন্ত এবং ফরেন্সিক রিপোর্ট। CNN-News18-এর কাছে একটি সূত্র দাবি করেছে যে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এটুকু স্পষ্ট যে, শারীরিক নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। তবে ফরেন্সিক রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সঙ্গে তারা নতুন কিছু প্রমাণের ইঙ্গিতও দিয়েছে। যা স্পষ্ট ভাবেই প্রমাণ লোপাটের দিকে ইঙ্গিত করছে। আর এই একই অভিযোগ এনেছে নিহত চিকিৎসকের পরিবারও।
কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তে আপাতত সিবিআই-এর সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে ময়নাতদন্ত এবং ফরেন্সিক রিপোর্ট। CNN-News18-এর কাছে একটি সূত্র দাবি করেছে যে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এটুকু স্পষ্ট যে, শারীরিক নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। তবে ফরেন্সিক রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সঙ্গে তারা নতুন কিছু প্রমাণের ইঙ্গিতও দিয়েছে। যা স্পষ্ট ভাবেই প্রমাণ লোপাটের দিকে ইঙ্গিত করছে। আর এই একই অভিযোগ এনেছে নিহত চিকিৎসকের পরিবারও।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন যে, সিবিআই-এর হাতে নতুন প্রমাণ রয়েছে। তার উপর তদন্ত করে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্য়ে তাদের নতুন রিপোর্ট পেশ করতে দেওয়া হোক। নিহত চিকিৎসকের মা-বাবার অভিযোগ, ওই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার জন্য কলকাতা পুলিশ তাঁদের টাকা অফার করেছিল। সেই সঙ্গে নির্যাতিতার দেহ তড়িঘড়ি পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। যদিও নির্যাতিতার পরিবারের এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে পুলিশ। উল্টে তারা জানায় যে, ওই ঘটনায় দ্রুততার সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মামলার দায়িত্ব সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল তারা।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন যে, সিবিআই-এর হাতে নতুন প্রমাণ রয়েছে। তার উপর তদন্ত করে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্য়ে তাদের নতুন রিপোর্ট পেশ করতে দেওয়া হোক। নিহত চিকিৎসকের মা-বাবার অভিযোগ, ওই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার জন্য কলকাতা পুলিশ তাঁদের টাকা অফার করেছিল। সেই সঙ্গে নির্যাতিতার দেহ তড়িঘড়ি পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। যদিও নির্যাতিতার পরিবারের এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে পুলিশ। উল্টে তারা জানায় যে, ওই ঘটনায় দ্রুততার সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মামলার দায়িত্ব সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল তারা।
এদিকে সিবিআই সূত্রের মতে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে শারীরিক নিগ্রহের প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু ফরেন্সিক রিপোর্টে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, কেউ শ্বাসরোধ করার কারণেই ওই মহিলা ডাক্তারের মৃত্যু হয়েছে। এর সঙ্গে জোর করে যৌন সঙ্গমের মেডিকেল নমুনাও পাওয়া গিয়েছে। আবার তৃতীয় নথিতে বলা হয়েছে যে, নির্যাতিতার শরীর থেকে মেলা ডিএনএ নমুনার সঙ্গে ওই ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের ডিএনএ নমুনা মিলে গিয়েছে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টের কাছে জানান যে, ফরেন্সিক রিপোর্টে অসঙ্গতি রয়েছে। এমনকী, জরুরি এই সমস্ত নমুনা সংগ্রহ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এদিকে সিবিআই সূত্রের মতে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে শারীরিক নিগ্রহের প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু ফরেন্সিক রিপোর্টে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, কেউ শ্বাসরোধ করার কারণেই ওই মহিলা ডাক্তারের মৃত্যু হয়েছে। এর সঙ্গে জোর করে যৌন সঙ্গমের মেডিকেল নমুনাও পাওয়া গিয়েছে। আবার তৃতীয় নথিতে বলা হয়েছে যে, নির্যাতিতার শরীর থেকে মেলা ডিএনএ নমুনার সঙ্গে ওই ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের ডিএনএ নমুনা মিলে গিয়েছে।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টের কাছে জানান যে, ফরেন্সিক রিপোর্টে অসঙ্গতি রয়েছে। এমনকী, জরুরি এই সমস্ত নমুনা সংগ্রহ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
তাঁর কথায়, "এটা গুরুতর। ওই ব্য়ক্তি ঢুকছে, নির্যাতিতার দেহে কোনও কাপড় নেই। তাঁর নগ্ন দেহে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। অথচ ফরেন্সিক ল্য়াবের রিপোর্ট দেখুন। কে এই নমুনা সংগ্রহ করেছেন?"যে ফরেন্সিক টেস্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, সেটা পশ্চিমবঙ্গের একটি পরীক্ষাগারে করানো হয়েছে। আরও তদন্তের জন্য সিবিআই আপাতত এই রিপোর্টটি এইমস এবং সমস্ত কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠাবে। আর যেভাবে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে, সেটাও কেন্দ্রীয় সংস্থা খতিয়ে দেখবে।
তাঁর কথায়, “এটা গুরুতর। ওই ব্য়ক্তি ঢুকছে, নির্যাতিতার দেহে কোনও কাপড় নেই। তাঁর নগ্ন দেহে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। অথচ ফরেন্সিক ল্য়াবের রিপোর্ট দেখুন। কে এই নমুনা সংগ্রহ করেছেন?”
যে ফরেন্সিক টেস্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, সেটা পশ্চিমবঙ্গের একটি পরীক্ষাগারে করানো হয়েছে। আরও তদন্তের জন্য সিবিআই আপাতত এই রিপোর্টটি এইমস এবং সমস্ত কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠাবে। আর যেভাবে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে, সেটাও কেন্দ্রীয় সংস্থা খতিয়ে দেখবে।
সুপ্রিম কোর্ট মিসিং চালানের বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছে। যা অটোপ্সির জন্য প্রয়োজনীয় ছিল। সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিব্বল আবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনিও চালান পেশ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। চালানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কলকাতা পুলিশ CNN-News18-এর কাছে দাবি করেছে যে, কিছুই মিসিং নয়। ওই নথি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সেখানে ঘটনার সময় নির্যাতিতার পরনে থাকা পোশাকের বিবরণ রয়েছে। সূত্রের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, ওই ডাক্তারের পরনে ছিল গোলাপি রঙের টপ। কিন্তু তাঁর অন্তর্বাস পাওয়া যায়নি।
সুপ্রিম কোর্ট মিসিং চালানের বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছে। যা অটোপ্সির জন্য প্রয়োজনীয় ছিল। সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিব্বল আবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনিও চালান পেশ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। চালানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কলকাতা পুলিশ CNN-News18-এর কাছে দাবি করেছে যে, কিছুই মিসিং নয়। ওই নথি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সেখানে ঘটনার সময় নির্যাতিতার পরনে থাকা পোশাকের বিবরণ রয়েছে। সূত্রের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, ওই ডাক্তারের পরনে ছিল গোলাপি রঙের টপ। কিন্তু তাঁর অন্তর্বাস পাওয়া যায়নি।
ওই সূত্রের আরও দাবি, নির্যাতিতার মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ নিয়েও ঘাঁটাঘাঁটি করা হয়ে থাকতে পারে। তাঁর দেহের পাশ থেকে একটি নোটপ্যাড-সহ দুটি ডিভাইস মিলেছে। তবে নোটপ্যাডের কিছু শিট পাওয়া যায়নি। আর সবথেকে বড় বিষয় হল, ওই সমস্ত গ্যাজেটে কারও আঙুলের ছাপও মেলেনি।
ওই সূত্রের আরও দাবি, নির্যাতিতার মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ নিয়েও ঘাঁটাঘাঁটি করা হয়ে থাকতে পারে। তাঁর দেহের পাশ থেকে একটি নোটপ্যাড-সহ দুটি ডিভাইস মিলেছে। তবে নোটপ্যাডের কিছু শিট পাওয়া যায়নি। আর সবথেকে বড় বিষয় হল, ওই সমস্ত গ্যাজেটে কারও আঙুলের ছাপও মেলেনি।
নির্যাতিতার মা-বাবার অভিযোগ, মামলা তাড়াতাড়ি রফা করার জন্য তাঁদের টাকা দিতে চেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। এই অভিযোগের পরে সিবিআই-এর একটি দল তাঁদের সঙ্গে দেখা করে। বিশেষ করে তাঁদের অভিযোগের আঙুল ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (নর্থ)-এর বিরুদ্ধেই। পুলিশের এ হেন অফারের পিছনে কী উদ্দেশ্য ছিল, সেটাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। আবার অভীক দে-ও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। আসলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নির্যাতিতার মা-বাবার অভিযোগ, মামলা তাড়াতাড়ি রফা করার জন্য তাঁদের টাকা দিতে চেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। এই অভিযোগের পরে সিবিআই-এর একটি দল তাঁদের সঙ্গে দেখা করে। বিশেষ করে তাঁদের অভিযোগের আঙুল ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (নর্থ)-এর বিরুদ্ধেই। পুলিশের এ হেন অফারের পিছনে কী উদ্দেশ্য ছিল, সেটাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। আবার অভীক দে-ও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। আসলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পুলিশ তাঁকে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ বলে সনাক্ত করেছে। কিন্তু ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সেই দাবি উড়িয়ে জানিয়েছে যে, অভীক দে আসলে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। যার জেরে অভীকের উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এখানেই শেষ নয়, ডা. সন্দীপ ঘোষ গত ৯ অগাস্টের ঘটনা প্রসঙ্গে ঠিকঠাক বয়ান দিয়েছেন কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। আসলে ওই দিনই মহিলা ডাক্তারের দেহ আরজি করের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল।
পুলিশ তাঁকে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ বলে সনাক্ত করেছে। কিন্তু ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সেই দাবি উড়িয়ে জানিয়েছে যে, অভীক দে আসলে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। যার জেরে অভীকের উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এখানেই শেষ নয়, ডা. সন্দীপ ঘোষ গত ৯ অগাস্টের ঘটনা প্রসঙ্গে ঠিকঠাক বয়ান দিয়েছেন কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। আসলে ওই দিনই মহিলা ডাক্তারের দেহ আরজি করের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল।
তাঁর দাবি, সকাল ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ তিনি ওই দেহ পড়ে থাকার খবর পেয়েছিলেন। তবে সূত্রের মতে, সিবিআই-কে দেওয়া বয়ানে সন্দীপের গাড়ির চালক দাবি করেছেন, ভোর ৬টা নাগাদ একটি ফোন পেয়ে নিজের বাসভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তবে সন্দীপ ঘোষ কেন তাড়াহুড়ো করেছিলেন, তাঁকে ১৫ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং দুটি লাই-ডিটেকশন টেস্ট করিয়েও সেই কারণ স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।
তাঁর দাবি, সকাল ১০টা ২০ মিনিট নাগাদ তিনি ওই দেহ পড়ে থাকার খবর পেয়েছিলেন। তবে সূত্রের মতে, সিবিআই-কে দেওয়া বয়ানে সন্দীপের গাড়ির চালক দাবি করেছেন, ভোর ৬টা নাগাদ একটি ফোন পেয়ে নিজের বাসভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তবে সন্দীপ ঘোষ কেন তাড়াহুড়ো করেছিলেন, তাঁকে ১৫ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং দুটি লাই-ডিটেকশন টেস্ট করিয়েও সেই কারণ স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।