নয়াদিল্লি: লরেন্স বিষ্ণোইয়ের চাচাতো ভাই রমেশ বিষ্ণোই বলেছেন যে, কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় বলিউড তারকা সলমন খানের বিরুদ্ধে পুরো বিষ্ণোই সম্প্রদায় জেলে থাকা গ্যাংস্টারের পাশে দাঁড়িয়েছে। রমেশ অভিযোগ করেছেন যে সলমন খান বিষ্ণোই সম্প্রদায়কে অর্থের প্রস্তাব করেছিলেন, কিন্তু তারা তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন : “আমি কৃষ্ণসারটিকে গুলি করিনি”, সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট বলেছিলেন সলমন খান! ভাইজানের সেই ভিডিও ভাইরাল
লরেন্স বিষ্ণোই একজন গ্যাংস্টার যাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে৷ তিনি বর্তমানে গুজরাটের সবরমতি জেলে বন্দী। কৃষ্ণসার শিকারের মামলার পর সলমন খান লরেন্স বিষ্ণোই এবং তার দলের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সলমন খান বিষ্ণোই সম্প্রদায়কে অর্থের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, এনডিটিভির এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে কথা বলেছেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের চাচাতো ভাই রমেশ বিষ্ণোই। তিনি বলেন, সলমন খান এর আগে বিষ্ণোই সম্প্রদায়কে অর্থের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। রমেশ বলেন- “তাঁর বাবা সেলিম খান বলেছেন লরেন্স গ্যাং টাকার জন্য এটা করছে। আমি তাঁকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, তাঁর ছেলে আমাদের কাছে একটি চেকবুক এনেছিল, এবং তাদের ক্ষতিপূরণ বাবদ যত টাকা দরকার নিতেও বলেছিল। আমরা যদি টাকার জন্য ক্ষুধার্ত থাকতাম, তখনই তাহলে সব নিয়ে নিতাম।”
আরও পড়ুন : ঘন ঘন খুনের হুমকি, একাধিক শ্যুটিং বাতিল ভাইজানের! মাথায় হাত সিনেমার পরিচালকদের
তিনি আরও বলেন, “সেই সময় প্রতিটি বিষ্ণোইয়ের রক্ত ফুটছিল…”৷ লরেন্স বিষ্ণোইয়ের চাচাতো ভাই রমেশ আরও বলেন, “যখন কালো হরিণের ঘটনা ঘটে, তখন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের প্রত্যেক সদস্য ক্ষুব্ধ হয়। প্রতিটি বিষ্ণোইয়ের রক্ত ফুটছিল। আমরা আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য এটি ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু সমাজকে ঠাট্টা করা হলে সমাজের ক্ষোভ স্বাভাবিক।” রমেশ আরও বলেন, পুরো বিষ্ণোই সম্প্রদায় লরেন্সের পাশে দাঁড়িয়েছে।
সলমন খানের বিরুদ্ধে কালো হরিণ শিকারের অভিযোগ ছিল, যা বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের দ্বারা পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। এ মামলায় তাকে কারাগারে যেতে হলেও জামিনে খালাস পান তিনি। ৩০ আগস্ট সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এবং ২০২৩ সালে টিভি চ্যানেলের সাথে এক সাক্ষাৎকারে লরেন্স বিষ্ণোই বলেছিলেন যে, সলমন খান কালো হরিণ হত্যা করে বিষ্ণোই সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন।
এই বছরের ২৪ এপ্রিল, নভি মুম্বই পুলিশ মুম্বাইয়ের কাছে পানভেলে সলমন খানকে তার ফার্মহাউসে হত্যার ষড়যন্ত্র করার জন্য বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ১৮ জন চিহ্নিত করে৷ তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে৷