বিনোদন ‘সলমন চেকবুক এনে বলেছিলেন, যত টাকা চান লিখে নিন’, দাবি লরেন্সের খুড়তুতো ভাই রমেশ বিষ্ণোইয়ের Gallery October 25, 2024 Bangla Digital Desk কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় অভিনেতা সলমন খানকে খুনের হুমকি দিয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোই। এই মামলায় গোটা বিষ্ণোই সমাজ তাঁর পাশে রয়েছে বলে জানিয়ে দিলেন গ্যাংস্টারের খুড়তুতো ভাই রমেশ। তাঁর অভিযোগ, ঘটনার পর সলমন টাকা দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁরা নেননি। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি-সহ একাধিক অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। চলেছে ডজন খানেক মামলাও। লরেন্স বর্তমানে গুজরাতের সবরমতী জেলে বন্দী। সেখান থেকেই চালাচ্ছেন সাম্রাজ্য। এমনকী জেল থেকেই সলমনকে বারবার খুনের হুমকিও দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সলমন বিষ্ণোই সমাজকে টাকা দিতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করেন লরেন্সের খুড়তুতো ভাই রমেশ বিষ্ণোই। তিনি জানান, ঘটনার পর যখন সবাই উত্তেজিত, তখন টাকা দিয়ে বিষয়টা মিটিয়ে নিতে চেয়েছিলেন সলমন। রমেশের কথায়, “ওঁর বাবা সেলিম খান বলেছেন, টাকার জন্য লরেন্সের গ্যাং এই সব করছে। তাঁকে মনে করিয়ে দিতে চাই, তাঁর ছেলেই বিষ্ণোই সমাজের কাছে চেকবুক নিয়ে এসে বলেছিল, ‘যত টাকা চান লিখে নিন।‘ যদি টাকার জন্যই এত কিছু হত, তাহলে তখনই নিয়ে নিতাম।” এরপরই লরেন্সের পাশে দাঁড়ান তিনি। রমেশ বিষ্ণোই বলেন, “কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের ঘটনায় বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের প্রত্যেক সদস্য ক্ষুব্ধ। প্রত্যেক বিষ্ণোইয়ের রক্ত ফুটছে। আমরা সিদ্ধান্ত আদালতের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলাম। সম্প্রদায়ের অবমাননা করলে সমাজের রাগ হওয়া স্বাভাবিক। আজ পুরো বিষ্ণোই সমাজ এই মামলায় লরেন্সের পাশে রয়েছে।” প্রসঙ্গত, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন সলমন খান দলবল নিয়ে কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। বিষ্ণোই সমাজ কৃষ্ণসার হরিণকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মানে। এখান থেকেই ঝামেলার শুরু। এই মামলায় সলমনকে জেলেও যেতে হয়। পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পান তিনি। সংবাদসংস্থা পিটিআই- এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লরেন্স বিষ্ণোই বলেছিলেন, কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করে গোটা বিষ্ণোই সমাজকে অপমান করেছেন সলমন। পনভেলের ফার্মহাউসে অভিনেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করার অভিযোগে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের ১৮ সদস্য এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে মুম্বই পুলিশ। সলমনের বান্দ্রার বাড়ির সামনে গুলি চলার পরই এই ঘটনা ঘটে। এর কয়েকদিন পর বাবা সিদ্দিকি খুন হন। তারপরই সলমনের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা চেয়ে একটি হুমকি মেসেজ পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, “লরেন্সের সঙ্গে শত্রুতা মিটিয়ে নিতে চাইলে ৫ কোটি টাকা পাঠান। বিষয়টি হালকাভাবে নেবেন না। না হলে পরিণতি বাবা সিদ্দিকির চেয়েও খারাপ হবে।”