সন্দেশখালি: সন্দেশখালিতে রাতে মিটিং নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেছিলেন মহিলারা৷ আর সেই অভিযোগ নিয়েই এ বার মুখ খুললেন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো৷ অভিযোগ ছিল, রাতে মহিলাদের মিটিংয়ে ডাকা হত, সেটি অনৈতিক৷ সেই অভিযোগ শুনে বিধায়ক বললেন, ‘এর পর থেকে আর রাতের কোনও মিটিং করা হবে না৷ যা মিটিং হবে তা হবে বিকেল চারটে-পাঁচটার মধ্যে৷ বড়জোর সন্ধ্যার মধ্যে সমস্ত মিটিং শেষ করতে হবে৷’
সন্দেশখালিতে মহিলাদের অভিযোগ ছিল ভুরি ভুরি৷ আর সেই অভিযোগ নিয়ে তাঁরা সংবাদমাধ্যমের সামনে সরবও হয়েছিলেন একাধিকবার৷ সেই বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে চর্চা ছড়িয়ে পড়েছিল দেশজুড়ে৷ সন্দেশখালি অপেক্ষাকৃত শান্ত হওয়ার পর এ দিন এলাকায় এলাকায় মানুষের অভাব, অভিযোগ শুনতে উপস্থিত হয়েছিলেন বিধায়ক সুকুমার মাহাতো৷
বিধায়ককে হাতের সামনে পেয়ে মহিলারা এদিন তাঁদের অভিযোগ জানাতে শুরু করেন৷ তাঁরা বলেন, ‘রাত বিরেতে মহিলাদের মিটিংয়ে ডাকা হত৷ না গেলে তাঁদের হুমকি দেওয়া হত৷’ তখন বিধায়ক বলেন, ‘আমাকে এখন দল দায়িত্ব দিয়েছে পরিস্থিতি ঘুরে দেখার, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার৷ আপনারা যে অভিযোগ জানিয়েছেন, তার ভিত্তিতে বলছি, এর পর থেকে যা মিটিং হবে, বিকেলের মধ্যে শেষ করতে হবে৷ খুব বেশি হলে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে মিটিং শেষ করতে হবে৷’
সন্দেশখালির জনসাধারণের মধ্যে আস্থা ফেরানো, আতঙ্ক দূর করা ও অভাব অভিযোগ শুনতে এ দিন ঘরে ঘরে পৌঁছে যান বিধায়ক৷ এর আগে আমরা দেখেছিলাম, সরকারের প্রতিনিধিরা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলেন, সরকারের তরফ থেকে ক্যাম্প করা হয়েছিল এলাকায়৷ ক্যাম্পেও অভিযোগ নেওয়া হয়৷ এর পর বিধায়কও অভিযোগ শুনলেন৷