কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে নয়া মোড়। এবার সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ তিন ডাক্তারি পড়ুয়াকে তলব করল সিবিআই। ওই ডাক্তারি পড়ুয়ারা হলেন আশিষ পাণ্ডে (হাউস স্টাফ, পেডিয়াট্রিক মেডিসিন), নির্জন বাগচি (ইন্ট্রার্ন), শরিফ হাসান (ইন্ট্রার্ন)। সেই তলব অনুসারে, সিজিওতে আজই যেতে বলা হয়েছিল তিন জুনিয়র চিকিৎসককে। সেই অনুযায়ী, বুধবার ওই চার জন উপস্থিত হলেন সিজিও কমপ্লেক্সে। চার জনেরই বয়ান রেকর্ড করবে সিবিআই।
এদিকে, সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি করে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পরেও দমে যাননি সন্দীপ ঘোষ। NeoNatal care unit-এর ইনজেকশন অ্যাম্পিউলের বরাত নিজের লোককে পাইয়ে দিতে শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েছেন সন্দীপ। অগাস্টের ৭ তারিখ তৎকালীন এমএসপিভি সঞ্জয় বশিষ্ঠের সই করা টেন্ডার নোটিশ ইস্যু হয়। নিউ নেটাল কেয়ার ইউনিটের জন্য ইনজেকশন অ্যাম্পিউলের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১৪ অগাস্ট।
আরও পড়ুন: অবশেষে আলোচনায় রাজি হলেন জুনিয়র ডাক্তাররা, তবে মানতে হবে একাধিক শর্ত
ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরেও এই বরাত পাইয়ে দিতে বিপ্লব সিংয়ের মধ্যস্থতায় এক ওষুধ সরবরাহকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে গিয়েছিলেন সন্দীপ। এমনই দাবি সিবিআইয়ের। অচলাবস্থার সুযোগ নিয়ে চুপিসারে এই টেন্ডারও নিজের লোককে পাইয়ে দিয়ে মুনাফা পেতে পিছু হঠেননি সন্দীপ।
এই টেন্ডার সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছে সিবিআই। ইতিমধ্যে সঞ্জয় বশিষ্ঠকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বর্তমান এমএসভিপির থেকেও খোঁজ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের দাবি, ঘটনার পর এই টেন্ডার ক্লোজ করে দেওয়া উচিত ছিল। ক্লোজ না করে নেক্সাস চালিয়ে গিয়েছেন সন্দীপ।