রহস্য, সত্যি বলতে কী, আর কিছুই নয়! একেবারে দরিদ্র পরিবারের এক ছেলে কীভাবে দেশের প্রথম সারির চলচ্চিত্র পরিচালক হয়ে উঠল, সেই বৃত্তান্ত। যা সম্প্রতি নিজে মুখে দ্য হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে এক ইন্টারভিউতে জানিয়েছেন সঞ্জয় লীলা বনশালি।
অনেকেই এটা জানেন না যে, বনশালি বিধু বিনোদ চোপড়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন, ৮ বছর তিনি এই কাজ করেছেন।” আমার পক্ষে ছবির দুনিয়ায় আসা অসম্ভব ছিল। যে ছেলেটা ভিন্ডি বাজারের কাছে থাকে, সে কী করে এই দুনিয়ায় আসবে! সে কারও সঙ্গে গুছিয়ে কথা বলতে পারে না, কোনও বন্ধু নেই, সাহায্য করার জন্য কোনও প্রভাবশালী নেই- আছে শুধু অনেকটা খোলা পথ পড়ে সামনে”, বলছেন পরিচালক।
আরও পড়ুন: বলুন তো কোন প্রাণীর দুধ থেকে ‘দই’তৈরি করা যায় না? খুব চেনা সকলের, তাও ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন
জানিয়েছেন, এই সময়ে দিদি বেলা সেহগল তাঁর ছবির দুনিয়ায় আসায় প্রথম পদক্ষেপ নেন। তিনি বিধু বিনোদ চোপড়ার টিমে কাজ করতেন। বেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে সঞ্জয়কে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য বিধু বিনোদ চোপড়ার প্রথম স্ত্রী রেণু চোপড়াকে অনুরোধ জানান। “তিনিই বিধু বিনোদ চোপড়াকে আমায় দলে নিতে জোর করেছিলেন। বিধু বিনোদ চোপড়া অবশ্য দেখা করার পর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে আমায় খারিজও করে দেন। পরে স্ত্রী জোর করায় আমায় কাজ দেন”, বলছেন বনশালি।
“ওঁর দলে কাজ করা আমায় যেন ইস্পাতে পরিণত করেছে। ওঁর সঙ্গে ৮ বছর কাজ করার পরে কোনও সমস্যার মুখে দাঁড়াতেই আর ভয় পাই না। এখনও ওঁর ফোন এলে উঠে দাঁড়িয়ে কথা বলি। যিনি আমার জীবন আমূল বদলে দিয়েছেন, তাঁর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতাবোধ এমনই”, অকপট স্বীকারোক্তি বনশালির।
আরও পড়ুন: আদৌ চা পাতা তো? সকাল সকাল পেটে যাচ্ছে ভেজাল! ঝাঁঝরা করছে শরীর, ‘আসল চা’ চেনার উপায় জানুন
বলে রাখা ভাল, বিধু বিনোদ চোপড়ার ১৯৪২: আ লাভ স্টোরি ছবির সহ-লেখক ছিলেন বনশালি। পরিন্দা ছবির তিনি ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর। ১৯৯৮ সালে দুজনের করিব ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার কথা ছিল। যদিও বনশালি ছবিটা পরিচালনার ভার প্রত্যাখ্যান করেন। বদলে তাঁর পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে খামোশি: দ্য মিউজিক্যাল দিয়ে।