বিতর্কে ইতি, নৈশভোজে রাহুলকে বুকে টেনে নিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, ভাইরাল ছবি

কলকাতা: ভরা মাঠে অধিনায়ক কে এল রাহুলের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। এক সপ্তাহ আগে সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আক্রোশে ফেটে পড়ে গোটা ক্রিকেট-বিশ্ব। শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। এবার বিশেষ নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়ে রাহুলকে বুকে টেনে নিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। উষ্ণ আলিঙ্গনের সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। লখনউ সুপার জায়ান্টস শিবির বলছে, “অল ইজ ওয়েল”।

৮ মে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামে লখনউ সুপার জায়ান্টস। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬৫ রান। সানরাইজার্সের হয়ে ওপেন করতে নামেন ট্রাভিস হেড আর অভিষেক শর্মা। মাঠে নেমেই ঝড় তোলেন দুই ব্যাটার। ১০ ওভারে ম্যাচ জিতিয়ে দেন তাঁরা। এরপর মাঠেই লখনউ অধিনায়ক কে এল রাহুলের উপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন দলের মালিক তথা শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা।

আরও পড়ুন – Cyclone Remal: কলকাতার থেকে সাইক্লোনের দূরত্ব মাত্র ৯০ কিমি! ল্যাজের ঝাপটায় হাওয়া-বৃষ্টির যুগলবন্দি, রইল ওয়েদার আপডেট

এখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। গোয়েঙ্কার এমন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানান প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। ক্ষুব্ধ ভক্তরাও। ভারতীয় ক্রিকেটারের এ হেন অপমান হজম করতে পারেননি কেউই। শিল্পপতিকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়। অন্য দিকে, লখনউ সুপার জায়ান্টস শিবিরের নীরবতা আগুনে ঘি ঢালে। রাহুল অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন, ছড়িয়ে পড়ে এমন খবর। এমনকী রাহুলকে লখনউ আর ধরে রাখবে না বলেও শোনা যায়। পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকে।

এর মধ্যেই সামনে এল এই ছবি। কে এল রাহুলকে বুকে টেনে নিচ্ছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। নৈশভোজে দু’জনের মধ্যে কী কথা হয়েছে জানা যায়নি। তবে ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন লখনউ সুপার জায়ান্টস কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাহুল ও গোয়েঙ্কার মধ্যে মাঠে কী কথা হয়েছিল, জানিয়েছেন তিনি। ল্যাঙ্গারের দাবি, “ভিডিওতে কথোপকথনটা আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছে বটে, আদতে তা নয়, পরিস্থিতি ঠান্ডাই ছিল”। ল্যাঙ্গারের কথায়, “আমাদের কোনও পরিকল্পনা কাজে আসেনি। গোটাটাই বিপর্যয়। খেলার পর মি. গোয়েঙ্কা মাঠে এসে কে এল-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হয়েছে? আমাদের পরিকল্পনা কাজে লাগল না। এখন আমরা কী করব?’ তারপর আমরা এই নিয়ে কথা বললাম। আওয়াজ বন্ধ থাকায় কী কথা হয়েছে কেউ শুনতে পায়নি। আক্রমণাত্মক দেখাতে পারে, কিন্তু পরিস্থিতি শান্ত ছিল৷’’