Satish Kaushik Passes Away: সতীশ কৌশিকের প্রয়াণে শোকবার্তা অজয়-অনুপম-কঙ্গনা-নেহার, মেনে নিতে পারছে না বলিউড!

মুম্বই: বলিউড এখন ধূসর। হোলির রেশ কাটতে না কাটতেই অন্ধকারে টিনসেল নগরী। গোটা দেশকে সোকস্তব্ধ করে চলে গেলেন সতীশ কৌশিক। ৬৬ বছর বয়সেই প্রয়াত অভিনেতা-পরিচালক। তাঁর কৌতুকাভিনেতা, তাঁর পরিচালনা সহজে ভোলার নয়। মাত্র দেড় দিন আগেই হোলির রঙে মেতে উঠেছিলেন সতীশ। ৭ মার্চ জুহুতে জানকি কুটিরে বলিউডের অন্যান্য তারকাদের সঙ্গে পার্টি করেছিলেন অভিনেতা। তার ছবি নিজেই পোস্ট করেছিলেন সোশ্য়াল মিডিয়ায়। পার্টিতে ছিলেন আয়োজক জাভেদ আখতার, মহিমা চৌধরি, শাবানা আজমি, রিচা চড্ডা, আলি ফজলের মতো তারকারা। তাই কেউ বিশ্বাস করতে পারছেন না সেই মানুষটি আর নেই।

হোলির পরদিনই শোকের ছায়া বলিউডে। বৃহস্পতিবার গোটা বলিউডের ঘুম ভাঙছে খারাপ খবরে। অনুপম খের, কঙ্গনা রানাউত, মধুর ভান্ডারকার, নেহা ধুপিয়া, রেণুকা সাহানে প্রমুখ তারকাদের শোকবার্তায় ভরে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া।

আরও পড়ুন: প্রয়াত অভিনেতা সতীশ কৌশিক, হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু! হোলির আবহে বেরঙিন বলিউড

৯ মার্চ সকাল বেলা অনুপম খের সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃসংবাদ দিলেন। অভিনেতা লিখলেন, ‘জানি, এই বিশ্বে মৃত্যুই একমাত্র সত্য। কিন্তু আমি কখনও ভাবিনি, নিজে বেঁচে থাকতে থাকতে আমার সবথেকে প্রিয় বন্ধুকে নিয়ে এটা লিখব! ৪৫ বছরের বন্ধুত্বে হঠাৎ দাঁড়ি পড়ল। সতীশ, তোমাকে ছাড়া জীবন আর কোনও দিন আগের মতো হবে না। ওম শান্তি।’

কঙ্গনা রানাউতের পরবর্তী ছবি ‘এমার্জেন্সি’তে জগজীবন রামের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সতীশ। কিন্তু ছবি মুক্তির আগেই চলে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। কঙ্গনা ৯ মার্চ সকালে সোশ্য়াল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘ঘুম ভাঙল এরকম ভয়াবহ খবরে। তিনি আমাকে সবসময়ে উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। সফল অভিনেতা, পরিচালক। সতীশ কৌশিকজি ব্যক্তি মানুষ হিসেবেও প্রচণ্ড অমায়িক ছিলেন। ‘এমার্জেন্সি’তে ওঁকে নির্দেশনা দিতে ভাল লেগেছিল। তাঁর কথা মনে পড়বে। ওম শান্তি।’

রেণুকা সাহানে লিখলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না সতীশ কৌশিক আর নেই। গতকালই ওঁর কিছু অপূর্ব ছবি দেখলাম হোলি পার্টিতে। আজকেই তাঁর মৃত্যুর খবর শুনতে হবে! জীবন কতটা অনিশ্চয়তায় ভর্তি।’

অজয় দেবগণের কথায়, ‘এরকম একটা খারাপ খবরে ঘুম ভাঙল! সতীশ কৌশিকজি আর নেই! পর্দার সামনে এবং পিছনে ওঁর হাসিতে হাসি মিলিয়েছি কতবার। ফ্রেম ভরিয়ে রাখার ক্ষমতা ছিল তাঁর। যেখানে দেখা হত, ওঁকে দেখে মুখে হাসি ফুটত আমার।’

নেহা ধুপিয়া লিখলেন, ‘সিনেমার জন্য ধন্যবাদ। হাসির জন্য ধন্যবাদ। সতীশ কৌশিকজি, যেখানেই থাকবেন, শান্তিতে থাকবেন।’

রীতেশ দেশমুখের কথায়, ‘বিশ্বাস করতে পারছি না আপনি চলে গেলেন সতীশজি। আপনার হাসি চিরকাল মনে থাকবে। সহ-অভিনেতা হিসেবে এত সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ। নীরব শিক্ষক হওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার কথা মনে পড়বে খুব।’


সোনু সুদ লিখলেন, ‘মুম্বই আসার পর প্রথম  পরিচালক, যাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলাম, তিনিই সতীশজি। কিছু জিনিস শিখিয়েছিলেন, যা আজও আমার সম্বল।’

হোলি খেলে মুম্বই থেকে দিল্লিতে এক আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সতীশ। গুরুগ্রামেই হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পথেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ময়না তদন্তের পর মুম্বইয়ে নিয়ে আসা হবে তাঁর দেহ।