SBI Life Spell Bee Season 13 নিয়ে আসতে চলেছে ‘স্পেল মাস্টার্স অফ ইন্ডিয়া

নয়াদিল্লি: ভারতে প্রায় 1.44 বিলিয়ন মানুষের বাস, যার মধ্যে 600 মিলিয়নের বেশি মানুষের বয়স এখন 18 এবং 35 বছরের মধ্যে, এই পরিসংখ্যানের মধ্যে আবার 65% এর বয়স 35 বছরের কম। ভারতের এই ডেমোগ্রাফিক বৈচিত্র্য অন্ততপক্ষে 2055–56 সাল পর্যন্ত থাকবে বলে আশা করা হয় এবং 2041 সালে তা শীর্ষে পৌঁছবে, যখন কাজে নিযুক্ত জনসংখ্যা অর্থাৎ 20 থেকে 59 বছর বয়সীদের সংখ্যা- 59% এ পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যা যত বেশি হবে, সেই দেশের অর্থনৈতিক প্রগতির সম্ভাবনা তত বৃদ্ধি পাবে।

এখনও পর্যন্ত প্রচুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে যাতে এই ডেমোগ্রাফিক বৈচিত্র্য দ্বারা ভারত সামগ্রিক ভাবে উপকৃত হয়, যেমন বিভিন্ন চাকরির সুযোগ তৈরি করা, ইন্ডাস্ট্রির ডেভেলপমেন্ট, মেক ইন ইন্ডিয়া-র উপরে জোর দেওয়া ইত্যাদি। এরই মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটি হল শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের জন্য বিনিয়োগ করা। শিক্ষা হল একটি শক্তিশালী হাতিয়ার যা যে কোনও দেশের প্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে শিশুদের এমন শিক্ষা দেওয়ার উপরে জোর দেওয়া উচিত যা তাদের ক্রিটিকাল থিঙ্কিং, প্রবলেম সলভিং, সহনশীলতা, সৃষ্টিশীলতা এবং উদ্যোগ নিতে শেখাবে।

সামগ্রিক বৃদ্ধির মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক, ইন্টালেকচুয়াল, ইমোশনাল, কগনিটিভ এবং সোশ্যাল এবিলিটির বিকাশ ঘটানো যেতে পারে। এই স্কিলগুলি একত্রিত ভাবে, তাদের সামগ্রিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা তাদের পরবর্তী কালে জীবনের বিভিন্ন অংশে সাফল্য পেতে সাহায্য করবে।

ফলে, একথা বলা যেতেই পারে যে শিশুদের শিক্ষায় বিনিয়োগের অর্থ হল দীর্ঘ মেয়াদে দেশের সমৃদ্ধি, স্থায়ীত্ব এবং প্রগতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি কৌশলগত বিনিয়োগ করা। সামগ্রিক শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে, আমরা তরুণ মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ ক্ষমতা আনলক করতে পারি। এর মাধ্যমে সাস্টেনেবেল ডেভেলপমেন্ট নিশ্চিত করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব।

গ্লোবাল এমপ্লয়মেন্ট হাব হিসেবে দেশের ভূমিকাকে আরও পোক্ত করে তুলতে, সামগ্রিক শিক্ষা চালু করা জরুরি। এই ভাবনাকে সঙ্গী করেই, SBI Life ইনস্যুরেন্স শিশুদের জন্য বিনিয়োগ করছে, যারা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ। এই সংস্থা সম্প্রতি এমনই একটি উদ্যোগ চালু করেছে, যার নাম হল SBI Life স্পেল বী ‘স্পেল মাস্টার্স অফ ইন্ডিয়া’ – এমন একটি উদ্যোগ যা দেশের ভবিষ্যৎ পথপ্রদর্শকদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এই উদ্যোগের 13তম সিজনের থিম হল “প্রগতির পথে সদা চলি, প্রগতির বানান সঠিক বলি,” যা এই ব্র্যান্ডের মূল উদ্দেশ্য প্রতিধ্বনিত করা, অর্থাৎ তরুণদের স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষা পূরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। একথা এখন অনেকেই স্বীকার করবেন যে প্রগতি শুধুই অ্যাকাডেমিক সাফল্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। SBI Life এই মঞ্চকে ব্যবহার করেছে সেই সমস্ত সম্ভাবনাময় তরুণদের খুঁজে বের করার জন্য যারা দেশের নানা প্রত্যন্ত স্থানে থাকে। এর উদ্দেশ্য হল তাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলে, তাদের সাফল্যের গল্প তৈরি করা, যার মাধ্যমে দেশের প্রগতি নিশ্চিত করা সম্ভব।

এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে নজরকাড়া বিষয়টি হল প্রতিযোগীদের মধ্যে বৈচিত্র্য। এখানে 30টির বেশি শহরের 350+ স্কুল থেকে প্রায় 1.5 লক্ষের বেশি সংখ্যক পড়ুয়া অংশগ্রহণ করেছে, যার ফলে SBI Life দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আশা প্রতিভাবান তরুণদের সাথে জড়িত হওয়ার এবং ভবিষ্যতের পথিকৃৎদের তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছে। এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য শুধুমাত্র শিশুদের মধ্যে ভাষার দক্ষতার গুরুত্বের উপরে জোর দেওয়া নয়, বরং এই প্রতিভাবান তরুণদের সামগ্রিক বিকাশ ঘটানো।

SBI Life স্পেল বী সিজন 13-এ 75 জন পড়ুয়া অংশগ্রহণ করেছিল এবং গ্র্যান্ড ফিনালে-তে মাত্র দুই জন পড়ুয়া একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতা করেছে জাতীয় শিরোপা জিতে নেওয়ার জন্য। জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং টেলিভিশন উপস্থাপক মন্দিরা বেদী তাঁর ব্যক্তিত্বের জাদুতে এই প্রতিযোগিতা চলাকালীন এক মুহূর্তের জন্যও খুদে প্রতিযোগীদের বাড়ির অভাব বোধ করতে দেননি। রায়ান নাভিদ সিদ্দিকি এবং অধিতা নাগ ফাইনাল রাউন্ডে পৌঁছেছে। এই পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য এই দুই জন বহু কঠিন কঠিন শব্দের সঠিক বানান বলে তাক লাগিয়ে দিয়েছে, যে শব্দগুলির বানান জানতে চেয়েছিলেন স্পেল মাস্টার অফ দ্য ডে- শ্রী. সুমন্ত চট্টোপাধ্যায়। কঠিন প্রতিযোগিতার পরে, রায়ান জিতে নিয়েছে সম্মানীয় ‘স্পেল মাস্টার অফ ইন্ডিয়া’-র শিরোপা, SBI Life স্পেল বী সিজন 13-তে। প্রতিভাবান ছেলেটি এই শিরোপা জিতে তার স্কুল এবং বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করার পাশাপাশি বাবা-মায়ের সাথে ডিজনিল্যান্ডের একটি ট্রিপ এবং তার সাথে নগদ পুরস্কার জিতেছে।

এই প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র শিশুদের মধ্যে ভাষার দক্ষতা বাড়ায়নি, বরং তাদের এমন একটি মঞ্চ প্রদান করেছে যেখানে তাদের পরস্পরের সাথে কথা বলার ক্ষমতা উন্নত হয়েছে, জ্ঞানের পরিধি বেড়েছে, নিজেদের প্যাশান খুঁজে নেওয়ার জন্য নানা অজানা পথে হাঁটার সাহস বেড়েছে এবং আমাদের দেশের প্রগতিতে যোগদান করার সুযোগ পেয়েছে। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে, এই শিশুদের মধ্যে উচ্চ মাত্রার কম্পিটিটিভ স্পিরিট, স্পোর্টসম্যানশিপ, নিয়মানুবর্তিতা এবং আত্মবিশ্বাস জন্মেছে। এই গুণাবলী তাদের এমন সর্বগুণসম্পন্ন মানুষ হতে সাহায্য করবে যারা আগামী বছরে আমাদের দেশের সাফল্যকে প্রভাবিত করতে পারবে।

আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে, আরও বেশি সংখ্যক কর্পোরেটদের এই রকম শিক্ষামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত, যা প্রতিভাবান তরুণদের এমন একটি মঞ্চ প্রদান করবে যেখানে তারা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে পারবে এবং এর মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে পারবে। সময়ের সাথে, এই রকম উদ্যোগগুলি শিক্ষার মাধ্যমে সামগ্রিক বিকাশের গুরুত্ব প্রচার করতে সাহায্য করবে, যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বড় হয়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার উপযোগী করে তুলবে।